মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ বাউনিয়া আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাউনিয়া আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজয়, কুইজ, চিত্রাঙ্কনসহ নানা প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার প্রদান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাউনিয়া আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়।
বাউনিয়া আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মো. আবুল হোসেন মাস্টারের সভাপতিত্বে বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি-২০২৩ এর আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দিন জল সোহেল ফাউন্ডেশন ও সভাপতি, উত্তরা ফ্রেন্ডস্ ক্লাবের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল সোহেল।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি হালিম, ডিএনসিসি’র ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মো. ফরিদ আহমেদ, আলহাজ্ব মো. দেলোয়ার হোসেন মেম্বার, মো. সুরুজ আলী মাদবর, মো. এডভোকেট সানোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব মাহাবুবুল ইসলাম ইকবাল, মো. ইব্রাহিম গণি মেম্বার, মোহাম্মদ সামছুল ইসলাম আজিম সহ বাউনিয়া আবদুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় এর সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান উদযাপন করেন।
বাঙালির চিরদিনের গৌরব, অসমসাহস, বীরত্ব ও আত্মদানে মহিমান্বিত অর্জন মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন ১৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিন দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মরণপণ যুদ্ধের শেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল বীর বাঙালি। পাকিস্তানি হানাদার বর্বর ঘাতক সেনাবাহিনী অবনত মস্তকে অস্ত্র নামিয়ে রেখে গ্লানিময় আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছিল ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)। বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকার স্থান পাওয়ার দিন ১৬ ডিসেম্বর।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করার পরও ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে। এরই এক পর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার সেনারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঘুমন্ত নিরীহ নিরস্ত্র সাধারণ বাঙালিদের ওপর চালায় মানব ইতিহাসের ঘৃণ্যতম গণহত্যা। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে। এর আগেই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে হানাদারদের প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম আর বিপুল ক্ষয়ক্ষতির বিনিময়ে অর্জিত হয় চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর পরাক্রমের কাছে মাথা নত করে পাকিস্তানি ঘাতক দল। পৃথিবীর বুকে অর্ধশত বছর আগের এই দিনে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। বাঙালি ঊর্ধ্বলোকে তুলে ধরে প্রাণপ্রিয় লাল-সবুজ পতাকা।