প্যালেস্টাইন জনগণের রাস্ট্রের অধিকার ছাড়া বিশ্ব কে শান্তির বার্তা দিতে পারবেনা,এই কথা বিশ্বের পরাশক্তি, আরব বিশ্বের অজানা নয়। ইহুদি রাস্ট্রের দখলদারদের রক্ষার জন্য দ্বি-রাষ্ট্রের দাবীকে অস্বীকার করা হচ্ছে। রাফায় হামলার পরে ইতিহাস সম্পর্কে ইসরায়েল কী অভিহিত ? ইতিমধ্যে পশ্চিমা বিশ্বের জনগণ বিক্ষোভে টালমাটাল। ইসরায়েল রাষ্ট্র কে অস্ত্র বিক্রির হাতিয়ার করা হয়েছে আমেরিকা পশ্চিমা বিশ্বের পরাশক্তিদারা। ইসরায়েল হয়েছে লাঠিয়াল, ইহুদী জাতিকে নর ঘাতক এর উপাধী বহন করতে হচ্ছে। বিশ্বের আলোচিত, আমেরিকা যার বন্ধু, তার জন্য বহিঃবিশ্বে শ্রত্রুর প্রয়োজন হবে না।আফগান,ভিয়েতনাম, ইউক্রেন দেখার পরে ইসরায়েল কেনো হুঁশে আসছে না ? যুগের পর যুগ আরব বিশ্বে অস্ত্র বিক্রির জন্য আমেরিকার লাঠিয়াল হয়ে থাকতে হবে ইহুদী জাতি কে ? জীবন দিবে ফিলিস্তিনিরা, ঘাতক হবেন ইহুদীরা, মজা করবেন আমেরিকা ?
আজ বিশ্ব বিবেক জাগ্রত, জাগ্রত ইহুদীরা ইসরায়েলের মাটিতে গণবিক্ষোভ করে, আরব জাতির নীরবতায় প্রশ্ন উঠছে।তবে কী প্যালেষ্টাইনের জনগণের রক্তের বিনিময়ে আরবদের ব্যবসা বানিজ্য সম্পসারনে দরদাম হচ্ছে ? আমেরিকা রাশিয়া চীনের অস্ত্র প্রতিযোগীতার জন্য ইসরায়েল ফিলিস্তিন কে ব্যবহার করা হচ্ছে ? সমাধানের জন্য কোনো রাষ্ট্র এগিয়ে আসবে না, আমার মনে হয়। ইহুদী ও প্যালেষ্টাইনের জনগণের ঐক্যবদ্ধ গনজাগরণই বিশ্ব শান্তির প্রতিক হতে পারে।আমেরিকা ইসরায়েলকে মরতে দিবে না লাঠিয়াল হারানোর ভয়ে। ফিলিস্তিনের জন্য আরব জাতির ঐক্য হতে পারবে না, নিজেদের স্বার্থ বিনষ্ট হওয়ার জন্য। মারো আর মরোতে আর কতকাল জাতিগত বৈষম্যের লড়াই বাঁচিয়ে রাখা হবে ? ভারতের মোদি ধর্মের রাজনীতি করে ক্ষমতার জন্য।
নেতানিয়াহুর জাতিগত যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বিশ্বের অস্ত্র বিক্রির জন্য। হিন্দু মুসলিম, ইহুদী খৃষ্টানের দাঙ্গা হাঙ্গামার ইস্যু ছাড়া বিশ্বে এখন আর রাজনীতি হচ্ছে না মানব জাতির কল্যানের জন্য, কোনো রাষ্ট্রের কোনো নেতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মানব জাতিকে নিয়ে কল্যানের রাজনীতির জন্য। মহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সহ অসংখ্য নেতাকে জীবন দিতে হয়েছে।নেস্যলে মেন্ডেলা ২৫ বছর কারাগারে, ইয়াসিন আরাফাতকে প্রতিরোধে হামাস সৃষ্টি করা হলো। নবাব সিরাজ দৌল্লাহ বাঙালি প্রেমিক কে জীবন দিতে হলো, বাঙালি জাতির মির্জারের হাতে।ইন্দিরা গান্ধী কে কাঠগড়ায় ধারাতে হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য।
বিচিত্র এই পৃথিবীর,বিচিত্র রাজনীতির হাতিয়ার শুধু জনগণ।
জীবন দিতে ও নিতে জনগণকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ইস্যু হবে হিন্দু মুসলিম, ইহুদী খৃষ্টান।ধর্মের বিভাজন ছাড়া গনতন্ত্রের রাজনীতি হচ্ছে না। সমাজতন্ত্র রক্ষার জন্য যুদ্ধের বিকল্প খুঁজে পাচ্ছে না। রাজতন্ত্র রক্ষার জন্য তোষামোদকারী হতে হচ্ছে আরব নেতাদের। ইমরান খান তোষামোদের ঠিকানা পরিবর্তন করার জন্য ক্ষমতাচ্যুত জেলখানার কয়েদী।বাঙালি জাতির ঐক্যের প্রতিক মানবতাবাদী নেতা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেনি, জীবন নাশের ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি পশ্চিমা বিশ্ব। শেখ হাসিনার কথা, জীবন তো একটাই পৃথিবীতে এক বার, মানব জাতির কল্যানের জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করে যাবো। ইহুদি মুসলিম জনগণ ঐক্যের ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারলে,নেতানিয়াহুর ও আমেরিকার তাঁবেদারী থেকে বাহির হয়ে আসুন হত্যা, ধ্বংসের রাজনীতি থেকে মুক্তির পথ আবিস্কার করি। বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব মানব জাতির কল্যাণে বাকশাল রাজনীতিকে বুকে ধারন করে, নতুন একটি বিশ্ব গড়ার ইতিহাস সৃষ্টি করি। ধর্ম নয়, রাষ্ট্র নয়,অস্ত্রের ভাষায় নয়, মানব জাতির ঐক্য চাই। ক্ষুধার্ত পৃথিবীর মুক্তি দিতে হবে ।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।