জনাব রবিউল আলমঃ ভারত, রাশিয়া, চীন নিয়ে গঠিত বলয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির আলো ছায়ায় এখন বাংলাদেশ। মাঝে একটি বিস্ফোরার নাম মিয়ানমার, জমির আয়তনে বাংলাদেশের পাঁচ গুন একসময় ধনশালী বার্মাতে অনেক দেশের মানুষেরই আক্রশন ছিলো। নেতৃত্বের অযোগ্যতার জন্য আজ বাংলাদেশের কাতারে। নেতৃত্বের গুনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উল্লখযোগ্য দেশ। দেশের চেয়ে নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা কতগুন, তার ব্যাহ্মার প্রয়োজন আছে কী ? মাও সেতু, স্টালিন, লেলিন, জজ ওয়াশিংটন, শেখ মজিব থেকে শেখ হাসিনা। একি দেশে মৌলবাদীদের থাপায় ছির্ণভির্ন্ন জরাজীর্ণ অর্থনীতি থেকে আজকের বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমার প্রার্থক্য খুজার ব্যার্থ চেস্টা অনেক বুদ্ধিজীবী খুজতে পারেন, মিলাতে পারবেন না। মিয়ানমার একলা চলো নীতি, চীনের বলয় থেকে মুক্তি কখনো অর্জন করতে পারবেন না। বলয় নির্ভর দেশে বহিঃবিশ্বের পুজি বিনিয়োগ হবে না। নেতৃত্বের ব্যার্থতায় ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, মিসর, সৌউদী আরব সহ আফ্রিকার দেশ গুলোতে হা-হাকার চলে, মিয়ানমার সেই হা-হাকারের অংশ। ইরান, তুরস্ক নেতৃত্বের গুনে জ্বলে উঠেছে, বাংলাদেশ এ থেকে আলাদা নয়। বহিঃবিশ্বের রক্ত চোহ্মু থেকে বাংলাদেশ ও বাঙালীকে রহ্মা করাই ছিলো শেখ হাসিনার অদ্বিতীয় গুন। সামরিক বাহিনীর মাঝে দেশপ্রেম সৃষ্টি করা বহিঃবিশ্ব থেকে আলাদা বিষয়। আমাদের সামরিক বাহিনী আজ বিশ্বের বিশ্বাস অর্জনের পথে।কোনো লোভ লালশাই জাতির কাছ থেকে, দায়ীত্ব পালন থেকে আলাদা করতে পারেনি। অংসান সুচির নিজেই হ্মমতার লোভে নীতি বিশ্বর্জন দিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর ফাদে। আমেরিকা নিজের গনতন্ত্রের ফাঁদে, বিশ্বের গনতন্ত্র রহ্মার দায়ীত্ব কীভাবে পালন করবেন ? প্রশ্নবোদক। আল-জাজিরার মুসলিম রহ্মার দারক বাহকের ভুমিকার দাবিদার,বাংলাদেশকে প্রতিদন্দি করে তুলেছেন মিথ্যে সংবাদের বাহারী প্রচার করে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব মুসমিল দেশগুলো বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা যেমুহুর্তে অনুভব করছেন, সেই মুহূর্তে আল-জাজিরার এই দ্বিমুখী নীতির প্রচার কীসের ইঙ্গিত বহন করে ? আরব আমিরাত,ভারত, সৌদি আরবে, ইজরাইল সম্পর্ক বিশ্বে বহুল প্রচারিত হলেও কোনো বক্তব্য নাই, বাংলাদেশের মিথ্যে সম্পর্কের প্রচার নিয়ে ব্যাস্ত। যুদ্ধপরাধীর বিচার নিয়ে আল-জাজিরার রক্তচক্ষুর বহিঃপ্রকাশ হয়েছিল। লণ্ডনবিক্তিক কিছু নষ্ট সাংবাদিক সেই সুযোগ নিয়ে সরকার বিরোধী বলয় গড়ে তুলছেন। কনক সারোয়ার, ইলিয়াস, বার্গান ও তারেক রহমানের নীলনকশা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হয়েছেন আল-জাজিরার। এতো সস্তায় একটি বিশ্বহ্ম্যাত সংবাদ মাধ্যম বিক্রি হতে পারে ব্যাক্তিস্বার্থে, আমি কল্পনাও করতে পারি না। বিশ্ব মুসলিম রোহিঙ্গাদের রহ্মায় এগিয়ে আসবেন কোন দেশের সহায়তা নিয়ে ? আমার ভাবতেও অভাগ লাগছে। বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের জীবনী টানলে কর্মহ্মেত্রের সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবেনা, ব্যাক্তিজীবনে আত্নীয় তাকে অস্বীকার করা যায় না। মিয়ানমার সামরিক শাসনের সময় বাংলাদেশের সেনাপ্রধান নিয়ে প্রশ্ন তোলা ও ব্যাক্তিজীবনের নিয়ে নেতিবাচক প্রচার আল-জাজিরার সংবাদ আজ প্রশ্নবিদ্ধ। বিশ্ব মুসলিম, ওআইসি, চীন, রাশিয়া,ভারত কী অর্জন করবেন বদ্ধ মিয়ানমা থেকে ? বাংলাদেশ তাই দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে, বিশ্ব বিনিয়োগ এখন আমাদের দেশে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।