বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাহমুদ গোলাম ছালেক (৯০) বাধ্যর্কজনিত কারণে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহির….রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ১ কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাতেই তাকে দাফন করা হবে।
নগরীর কালীবাড়ি রোড এলাকার বাসিন্দা মাহমুদ গোলাম ছালেকের জন্মস্থান গৌরনদী উপজেলার গেরাকুল গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মিঞাবাড়িতে। তিনি (মাহমুদ গোলাম ছালেক) নিজ গ্রামে তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠাতা করেছেন গেরাকুল বেগম আখতারুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও তিনি গেরাকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা, গেরাকুল মিঞাবাড়ি জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা, গেরাকুল মিঞাবাড়িতে অবস্থিত মাহিলাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমিদাতা । বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক গেরাকুল মিঞাবাড়ির কৃতি সন্তান মাহমুদ গোলাম ছালেক ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি।
২০০৩-২০০৪ সালে তিনি বরিশাল শহর বিএনপির সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, জেলা বাস মালিক সমিতি এবং আঞ্জুমান-ই হেমায়েত-ই ইসলামের সভাপতি ছিলেন।
তার স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বর্ষীয়ান বিএনপি নেতা মাহমুদ গোলাম সালেকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আরট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান তপন, মহাসচিব ইমামুল হাসান শামীম, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন।
আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।আল্লাহ মরহুম কে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন – আমিন।
তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক, সামাজিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।