খাস খবর বাংলাদেশ নিউজ ডেস্কঃ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিরোধের জেরে গৌরনদীর মাহিলাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুসহ ৩ জনকে কুপিয়ে যখম করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক হারিছুর রহমানের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
আহতদের স্বজন ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার ( ২ মে) সন্ধ্যায় একটি জানাজার উদ্দেশ্য মাহিলাড়া থেকে বাটাজোর যাওয়ার পথে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়া ও সৈকত গুহ পিকলুসহ তাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের অপর প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থকরা।
এ সময় দেলোয়ার হোসেন দিলুর নেতৃত্বে ২০ / ৩০ জনের একটি দল প্রথমে গুলি ছোঁড়ে পরে কুপিয়ে জখম করে।
পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ জানান, তার শ্বামী চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, তার সহকারী পলাশ ও মামুন খানের ওপর হামলা চালায় দিলু ও তার বাহিনী। এ ঘটনায় হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, কালু, রাসেল হাওলাদার ও তাদের বাহিনীর সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এদিকে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানেও চিকিৎসা কার্যক্রমে বাধা দেয় হারিস বাহিনী। পরে পুলিশ উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে হারিসের সমর্থকরা। উল্টো তাদের মারধর ও গুলি করেছে চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু ও তার সমর্থকরা এমন অভিযোগ করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তারা।
বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ সৌরভ সুতার জানান, আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
বরিশালের পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, হারিছ বাহিনীর সাথে পিকলু বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার। এ ঘটনায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো এলাকা জুড়ে।