বন্ধু সমাজের মানবন্ধনে নেতৃবৃন্দ ; দেশবাসীকে সু-পথে থেকে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে হবে
Reporter Name
Update Time :
Friday, October 23, 2020
173 Time View
দেশের চলমান অসহিষ্ঞু পরিবেশ রোধে এবং শান্তিময় পরিবেশ তৈরীতে সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ড পরিহার করে দেশের বিপথগামী মানুষসহ দেশবাসীকে সুপথে থেকে কলহ-দ্বন্ধ-সংঘাত ও সন্ত্রাসমুক্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এফ., আহমেদ খান রাজিবের সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমীন, সিলেটের বন্ধু কলযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, হবিগঞ্জের বন্ধু মজিবুর রহমান, কন্ঠশিল্পী শরিফুল ইসলাম, কন্ঠশিল্পী আজগর আলী, সাংবাদিক ডিএম আমিরুল ইসলাম অমর প্রমুখ।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, আদিকাল থেকেই মানব সমাজে হিংসা-প্রতিহিংসা ও অনৈকিতার কারণে বিপর্যয় ঘটেছে। যার ফলশ্রæততে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে মানবসভ্যতাকে রক্ষা করতে হেদায়েদকারী প্রেরন করেছেন। হযরত রাসুল (সা.) এর পর আর কোন হেদায়েতকারী আসবে না।
তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে হিংসার-প্রতিহিংসা দূরিভুত করে শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের সমাজে কাজ করতে হবে। সেই কাজে রাষ্ট্র ও সমাজের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, বন্ধুত্ব সার্বজনিন, বন্ধুত্বের বলয়ের মধ্য দিয়েই সম্ভব হিংসা-খলহ থেকে রাষ্ট্র ও সমাজকে রক্ষা করা। শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় বন্ধুত্বের কোন বিকল্প নাই। ভিন্নমত ও পথ থাকতে পারে, তবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বন্ধুত্ব সৃষ্টির মধ্য দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হবে। এই বিষয়ে দায়িত্বশীলদের আরো বেশী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এফ আহমেদ খান রাজিব বলেন, দেশের চলমান সামাজিক পরিবেশ উত্তপ্ত করতে কোন কোন পক্ষ উষ্কানি ও সংঘাতমুলক আচরন করছে। আবার কিছু ব্যাক্তি ধর্ষনসহ নানাবিধ ঘৃণিত কর্মকান্ড করে সমাজ ও দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। এমতাবস্থায় কলহ-দ্বন্ধ-সংঘাত ও সন্ত্রাসসহ সকল অনৈতিক কর্মকান্ড রোধে সকলের মাঝে বন্ধুত্বের বলয় সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার সূচনায় অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দিবসের ন্যায় আগামী ২৩ নভেম্বর “হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস” পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বন্ধু সমাজের এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাধেশ বন্ধ’ সমাজকে জাতীয়করণ বা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানপূর্বক দায়িত্ব পালনের লক্ষে শান্তিপূর্ণ সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সংগঠনকে কাজ করার পথ আরো বেগবান করবেন।
“সু-পথের আহ্বান” বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের এই কর্মসূচীর আজকের সূচনা পর্বের পর দেশের সকল মহানগর/জেলা/ উপজেলায় এই কর্মসূচী পালন করা হবে।