শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাঙালি জাতির মনের আগুন দেখতে পাইনি, বাংলার আকাশ কান্নারত।এতো বৃষ্টি কোত্থেকে থেকে এলো ? বাংলার আকাশে বিমান, বাংলার মাটিতে শোকের ছায়া, বাতাশে গগনবিদারীত জয় বাংলার শ্লোগান। কারো চোখে পানি, কারো মুখে হাসী, হাসী কান্নার মাঝে অভিমান ছিল।আওয়ামীলীগ বাকশাল সহ দলছুটদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে বিমান বন্দর।
নেত্রী বিমান থেকে নেমে, বাংলার মাটি স্পর্শ করে,দুই হাত তুলে ফরিয়াদ করলেন আমার মাবুদের কাছে। নেত্রীর চোখের জ্বল, আল্লাপাকের রহমতের জ্বল,বৃষ্টির পানিতে একাক হয়েছিল প্রতিবাদের রাজপথ। সমাগম থেকে একজন মানুষও আত্নরক্ষা করে নাই, বৃষ্টির পানি থেকে। র্যালীতে বাঁধা, পিতার বাড়ীতে প্রবেশে বাঁধা। অসহায় স্বজন হারা শেখ হাসিনার জন্য তখনো হাজার হাজার বাঙালি অকাতরে দারিয়ে আছে।সংসদ ভবনের সামনেে সংক্ষিপ্ত করতে হলো। আজ হিতাকাঙ্ক্ষীর রাজনৈতিক’রা অনেক প্রশ্ন করেন,গনতন্ত্রের জন্য মায়া কান্না করেন।পৃথিবীর কোন তন্ত্রের বলে জিয়ার ক্ষমতা গ্রহন ?
একই পরিবারের ১৬ জন স্বজনকে হারিয়ে শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের দায়ীত্ব নিয়েছেন। উন্নয়নের সফলতা ব্যার্থতার বিচারের ভার জনগণের। বিদেশী পভুদের ধমক, হুঙ্কার এখন আর বাংলাদেশে চলে না। বাঙালি জাতিকে আত্ন অহংকার ও সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার অধিকার শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছে। ভারত নিয়ে অনেকের মাথা ব্যার্থা আছে, যারা স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানে না। ভারত নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নাই, ভারতের কাছে ঋনের শেষ নাই,শেখ হাসিনার বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনে ভারতের ভুমিকার জন্য ।
ভারতের রাজনীতি নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। অহিংস ধর্ম নিরপেক্ষ, মানব জাতির প্রশ্ন আপোষহীন ভারতকে খুজে পাচ্ছি না। ধর্ম কে রাজনৈতিক অস্ত্র বানিয়ে একি হচ্ছে ? আমি বাংলাদেশের মৌলবাদী গুষ্টি ও ভারতের মৌলবাদের মাঝে প্রার্থক্য খুঁজে পাই না। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা,মানবিক মানসিকতা কে ভারত কাজে লাগাতে পারতো,দুই দেশের শান্তির বার্তার জন্য। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে,ভারতের বিছিন্নতাবাদীদের থেকে নিরাপদ। বাঙালি জাতি, বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি সাহিত্য বিশ্ব জয়ের পথে। বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে বলতে চাই না।
বিশ্ব রাজনীতিতে, বিশ্ব বাসির জন্য শান্তির বার্তা বহক এখন শেখ হাসিনা,শান্তি প্রিয় দেশগুলোর সহায়তায়, বাঙালির ঐক্যবদ্ধতার জন্য পরাশক্তির আমেরিকার কু রাজনীতিকে প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। বাংলার মাটি থেকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ,দেশ ধ্বংসকারীদের বিষদাঁত উপরে দেওয়া হয়েছে। এতোসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের জন্য। ঐক্যবদ্ধ জাতি উন্নয়নের প্রতিক হয়েছে বাংলাদেশ, নেতৃত্বের বিভাজনের জন্য ৭৪ বছর যুদ্ধরত প্যালেষ্টাইন।আওয়ামীলীগ নেতাদের মুখ থেকে প্রত্যাবর্তনের স্মৃতি চারণে আবেগ জাগতে পারছে না। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, জিয়ার অবৈধ ক্ষমতা মাঝে বক্তব্যের সীমাবদ্ধ। চৈত মাসের ওয়াজ বৈশাখের গল্পের মতো।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।