জনাব রবিউল আলমঃ
বাঙালি জাতির মুক্তির নির্দেশনা ছিলো ৭ মার্চের ভাষনে। বাংলাদেশ গঠনে নির্দেশনা দিয়েছিলেন ১০ জানুয়ারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্রে। সমাজতন্ত্র গনতন্ত্র, ধর্মনিরপক্ষ ও বাঙালি জাতীয়বাদের বিচ রোপন করেছিলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রের চরিত্র গঠনের দিনটিকে স্মরনীয় বরনীয় করার জন্য ১০ জানুয়ারীকে প্রতিটি বাঙালি অবিস্মরনীয় দিন হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সকাল ৭ টা বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের জন্য হাজির হয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্পণ শেষে সবার জন্য উন্মুক্ত ছিলো। বেদীর কাছাকাছি গিয়ে অনেকক্ষণ দারিয়ে থাকতে হলো, তার উপর ধাক্কাধাক্কি। একদল নারীনেত্রী দাঁরিয়ে আছেন বেদীকে ঘিরে। কারন যান্তে চাইতেই অভিহিত করা হলো, ক্যামেরা নাই। ক্যামেরা না-কি মন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়েছে। ক্যামেরা ছাড়া ফুল দেওয়া যাবে না। অযথা ঢাকা মহানগর উত্তর আঃলীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান সহ আমাদের দারিয়ে থেকে নিরবে ধাক্কাধাক্কি শিকার হতে হলো। পিতাকে স্মরনে এক মিনিট নিরবে চোখের পানি ছাড়া হলো না, দারিয়ে থাকার উপায় অন্ত ও ছিলো না। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবশকে ও রাজনৈতিক যন্ত্রণা মুক্ত করতে পারছিনা। শ্রদ্ধা ভক্তি ও মনের রাজনৈতিক খোরাক অর্জনের স্থান ৩২ নম্বরের পবিত্রতা কি ক্যামেরা মাঝে সীমাবদ্ধ হয়ে থাকবে ? না-কি জাতির জন্য মনটাকে পরিস্কার করার রাজনৈতিক অর্জনের স্থান হিসেবে চিহ্নিত হবে ? অনেক প্রশ্ন মনের মাঝে,উত্তর জানানাই। যান্তে ও বুঝতে পারছি না পুষ্পমাল্য, মাল্যদানের মর্মতা।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।