জনাব রবিউল আলমঃ আওয়ামী লীগ হ্মমতার মসনদে সুদীর্ঘ ১২ বছর। শেখ হাসিনার উন্নয়নের ম্যাজিক জাতিকে বিষ্ময়কর আশার আলো দেখিয়েছে। ভোটের ব্যবদান আকাশ কুসুম। প্রতিপহ্ম রাজনৈতিক শক্তি জ্বালাও পোড়াও থেকে বিলুপ্তির পথে। মৌলবাদের রাজনীতি ও ধ্বংসাত্মক জামাতের রাজনীতিকে মোকাবেলা করতেই হেফাজতকে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল শফি হুজুরের গঠনমুলক সামাজিকতার উপর নির্ভর করে। সুযোগ ও সাহস এতোটাই বিস্তর করে নিয়েছে হেফাজত, প্রতিটি মসজিদ, মাদ্রাসার কমিটিতে আঃলীগাদের নাই করে দিয়েছে। স্কুল কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি বাজার কমিটির নেতৃত্বেও বেশির ভাগই আঃলীগ বিরোধী। যাদেরকে আমরা এমপি মন্ত্রী, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান বানালাম। এমপি ভুক্ত শিহ্মা প্রতিষ্ঠানেও আঃলীগারদের স্থান হয় না। ভোটের জন্য নেতাদের আপোষ রফা চোখে পরার মত। বাঁধাহীন ১০ টা মাদ্রাসা থেকে ছাত্ররা আসলই বিশাল বিশাল সমাবেশ পরিলক্ষিত হয়। হুঙ্কার দিতে অসুবিধা কোথায়। প্রতিদিন জর্ন্ম নিচ্ছে হাজার হাজার আওয়ামী বিরোধী মত। জনপ্রতিনিধিদের শিহ্মা প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্বের জন্য জবাবদিহি করতে হয় না। ছলিমুদ্দিন কলিমুদ্দিনের একটা নাম জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়ে দিলেই হলো। ওয়ার্ড, ইউনিয়নের আঃলীগ নেতাদের মতামত নেওয়া হয় না, তাদেরকে কমিটিতেও নেওয়া হয় না।মাদ্রাসার বাচ্চাদের মিছিলে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। মসজিদ গুলোতে পিরদের সপ্তাহি মিটিং হচ্ছে জিকিরের নামে। খুধবায় উসকানিমূলক বক্তব্য বাধাহীন, তার উপর সাকা চৌধুরীদের অবৈধ টাকা, বহিঃবিশ্বের ষড়যন্ত্রকারীদের টাকাতো আছেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনার এমপি মন্ত্রী, চেয়ারম্যান কাউন্সিলরকে এবং নগর মহানগর, জেলা উপজেলা কমিটিকে নির্দেশ দিন, প্রতিটি শিহ্মা প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে আঃলীগ যোগ করতে। তা না হলে হেফাজতকে হেফাজত করা যাবেনা। ব্যার্থ জনপ্রতিনিধিদের থাকার অধিকার নাই। প্রতিটি নির্বাচনি এলাকা থেকেই জবাবদিহিতায় আনতে না পারলে দলের সাংগঠনিক বিত নষ্ট হতে পারে। মনে রাখবেন এ দেশের মানুষ একটু শান্তির জন্য আপনাকে ভোটদের, আপনার কথায় অনেক অখাদ্য কুখাদ্যকেও দেয় নৌকা মার্কার জন্য। জাতির জনকের জন্য। বাঙালীর অধিকার রহ্মার জন্য। হেফাজতের সাথে আপোষ করার জন্যে নয়। আপনার দলের আপোষকারী নেতারা তাদের নির্বাচনি এলাকার মসজিদ গুলোতে হেফাজতকে জিকিরের নামে মিটিং করতে দেওয়াকেই চিহ্নিত করতে হবে। কয়জন আঃলীগারকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, রিপোর্ট দিতে হবে। নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে রাজনীতির। খলকে বিশ্বাস করলেও বাবু নগরী ও মামুনুলদের বিশ্বাস করা যায় না। তাদের কাছে থাকা অবৈধ সম্পর্তি সরকারের হেফাজতে নিতে হবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।