মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবসে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগ।
আজ ২৬ মার্চ ২০২২ রোজ শনিবার সকালে ঢাকা মহানগর উত্তর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার এর নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ তোফায়েল সিদ্দিক তুহিন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩১, ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রোকসানা আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহাজান খান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এনাম-ই-খোদা জুলু, মোহাম্মদপুর থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নেতৃবৃন্দ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার বলেন, ২৫ মার্চ কালরাতে শহীদদের স্মরণ করছি, শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নির্বিচারে বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করেছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের ইতিহাসে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড আর ঘটেনি। তাই এটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ‘৫১ বছর আগে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় ইয়াহিয়া খানের সামরিক জান্তার নির্দেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঘুমান্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অপারেশন সার্চ লাইটের নামে এক নির্মম গণহত্যায় ঝাপিয়ে পড়ে। এক রাতেই ঢাকা শহরে কয়েক হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়। তাদের এই জেনোসাইড স্বাধীনতার ৯ মাস ধরে চলে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানিদের পরিকল্পনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। বঙ্গবন্ধু এ কারণে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করলেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস লড়াই-সংগ্রাম শেষে স্বাধীনতা অর্জিত হলো। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জানতো না যে, ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করা যায়, কিন্তু তার স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করা যায় না।’ বঙ্গবন্ধুর লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতীক্ষার ইতিহাসটিও নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যেন তারা এগিয়ে যায়।’