নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিপাদ্য গুণাবলীর শতভাগই আমরা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মধ্যে দেখতে পাই। বেগম মুজিবের কাছে সাহায্য চেয়ে কেউ কখনো খালি হাতে ফিরে যেত না।
আজ ৮ আগস্ট ২০২১ রোজ রোববার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় তিনি বলেন, মানুষের ভালবাসার কাঙ্গাল ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসতেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর কর্মীবান্ধব সকল গুণাবলী আমরা বেগম মুজিবের কাছে দেখতে পাই।
দেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে বেগম মুজিবও বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা করেছেন উল্লেখ করে এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, দলীয় কর্মীদের সুখ-দুঃখের সাথে ছিলেন তিনি। হোক সেই রাজনৈতিক কর্মী কিংবা সাধারণ মানুষ। ছাত্ররাজনীতির সময়ও বেগম মুজিব তাঁর পৈতৃক সম্পত্তির অর্জিত অর্থ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সাহায্য করেছিলেন। রাজনৈতিক কাজে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করা এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি তার গহনা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে বেগম মুজিব সৎ পরামর্শ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতা করেছেন। ১৯৪৬ সালের দাঙ্গার সময় বেগম মুজিব নিজেই অসুস্থ থাকা অবস্থায়ও বঙ্গবন্ধুকে দাঙ্গা উপদ্রুত এলাকায় যেতে নিষেধ করেননি। সেসময় বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুকে চিঠিতে লিখেছেন-‘আপনি শুধু আমার স্বামী হওয়ার জন্য জন্ম নেন নি, দেশের কাজ করার জন্য জন্ম নিয়েছেন। দেশের কাজে আপনার সবচাইতে বড় কাজ। আপনি নিশ্চিন্তভাবে সেই কাজে যান। আমার জন্য চিন্তা করবেন না। আল্লাহর উপর আমার ভার ছেড়ে দিন’।
বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন-সংগ্রামে সঙ্গী বেগম ফজিলাতুন্নেসার স্মৃতিচারণ করে তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণের প্রেরণাদাত্রী ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধু কে মহান বিবেকের উপর ভর করে বক্তৃতা করবার জন্য আশ্বাস দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পাশে বেগম মুজিবের মত প্রজ্ঞাপন নারী থাকার হয়তো ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’নামক মহাকাব্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।