নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ জামাল হোসেন মুন্না বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ক্রীড়াপ্রেম ও দেশপ্রেম একই সুতায় গাঁথা। বঙ্গবন্ধু ছোট বেলায় দারুণ ফুটবল খেলতেন। বঙ্গবন্ধু গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে ফুটবল টিমের অধিনায়ক ছিলেন। শুধু গোপালগঞ্জে নয়; ৪০-এর দশকে ওয়ান্ডারার্সের হয়ে ঢাকায় গিয়েও ফুটবল খেলেছেন তিনি।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ রোজ শুক্রবার বিকাল ৫টায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধক হিসাবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন বলেন, খেলা পাগল বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশও খেলাধুলাকে ভুলে থাকেননি। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গঠন করেন। বাংলাদেশে ঘরোয়া খেলাধুলার শুরু থেকেই আর্থিক সংকটের মধ্যেও দেশের খেলাধুলার অবকাঠামো উন্নয়নে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যান বঙ্গবন্ধু। দেশের শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো তার হাতেই গড়া।
স্থানীয় যুবসমাজ কর্তৃক আয়োজিত খেলায় আলফাডাঙ্গা ফুটবল একাদশ বনাম পাঁকুড়িয়া ফুটবল একাদশ অংশ নেয়। ৭০ মিনিটের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে আলফাডাঙ্গা ফুটবল একাদশ চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলোয়াড়দের নৈপূণ্যময় ফুটবল খেলা প্রদর্শনে মুগ্ধ হন হাজার হাজার ক্রীড়ামোদী দর্শক।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বুড়াইচ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. মকিবুল হাসান বাবলু, ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাসমত হোসেন তালুকদার তপন, যুগ্ম আহবায়ক এস এম জানে আলম জনি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি খান মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, বুড়াইচ ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ। সবশেষে অতিথিগণ চ্যাম্পিয়ন দল ও রানার্সআপ দলের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।