বঙ্গবন্ধুর ও শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রার্থক্য আপনার রাজনৈতিক পরিবর্তন অনিবার্য
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Wednesday, May 18, 2022
205 Time View
রবিউল আলমঃ
আনন্দ বেদনার স্ব মিসরনে বাংলার মাটি স্পর্শ করেছিলেন জাতির পিতা ও তার কণ্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে প্রত্যাবর্তন ছিলো বেদনার মাঝে আনন্দের পুর্বাভাস। মুক্ত স্বাধীন বাঙালি জাতির ইতিহাস। শত জনমের পরাধীনতার মুক্ত বাতাসের নিঃশ্বাস। চোখে জ্বল ছিলো,মনে ছিলো আনন্দ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিলো স্বজন হাড়া, বুকফাটা কান্নার আওয়াজ। কুর্মিটোলা বিমান বন্দরের মাটি স্পর্শ করা মাত্র শেখ হাসিনার চোখের পানি বাংলার মাটিতে ঝড়ে পরার সাথে সাথে, আকাশ বাতাসের ও বাঙালি চোখের পানি ঝড় বেগে একাকার হয়ে যায়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে ৬০ মাইলের ঝড়েও একজন বাঙালিকে রাজপথ থেকে সরাতে পারেনি। বিমান বন্দর থেকে শেরে-বাংলা নগর ছিলো লোকে লোকারন্য। বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়ীতে জিয়াউর রহমান প্রবেশ করতে দেন নি। শেখ হাসিনার দুই হাত তুলে ফরিয়াদ আল্লাপাক কবুল করেছিলেন বিচারের জন্য। আজ বিএনপির পরিনাম সেই কথাই বলছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা মা, ভাই ও বৌদের হারিয়ে, বিদেশের মাটিতে আশ্রয়হীন হয়ে পরেন। হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর দুঃসাহসিক সীদ্ধান্তে কিছুটা আশার আলো দেখেছিলেন। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সহায়তায় ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহন করেন। প্রনব মুখার্জি ছিলো গুরুদায়িত্বে। আওয়ামীলীগের একাধিক গ্রুপে ভাগ হওয়ার সভানেত্রীর দায়ীত্ব নিতে অস্বীকার করেছিলেন। বাকশাল বিলুপ্তির মাধ্যমে রাজ্জাক-মালেক আওয়ামীলীগের ঐক্য শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সহায়ক ভুমিকা পালন করেন। একজন অবোলা, অসহায় আপনজন হাড়া শেখ হাসিনাকেও পরিপূর্ণ রাজনৈতিক বানিয়ে দিয়েছেন, রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে। দলের ভিতরে গাপটি মেরে থাকা মোস্তাকের প্রেতআত্না মুক্ত করা, মজিব সৈনিকদের ফিরিয়ে এনে সাংগঠনিক শক্তি অর্জন,উপদলের কোন্দল নিরসন। স্বৈরাচার, স্বেচ্ছাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ছিলো কঠিন কাজ। বাংলার উন্নয়ন ও পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করতে চাই না, সবি এদেশের মানুষের সামনে। বিশ্ব রাজনীতি আজ শেখ হাসিনাকে অনেকটা অনুসরণ করছে। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে, শেখ হাসিনা নড়ে বিদাতার অনুকূলে। আওয়ামীলীগকে উৎখাত ও নিশ্চিহ্ন করার মনোবাসনা অনেকেই আছে।জনগণের ভালোবাসা অর্জনের সামর্থ অর্জনের যোগ্যতা নাই তাদের।শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবশে মন খুলে বলতে চাই, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হউক বাংলার মেহনতী মানুষের।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।