রবিউল আলমঃ
বই মেলার সাথে বাস্তবতাকে মিলাতে পারছি না, পারছি না মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। মিলাতে জীবনের প্রতিটা স্পন্দন, বন্দ হয়ে যাওয়ার আগে একটি বটগাছ সংরক্ষণের আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছিলাম বই মেলায়। মিডিয়ার অপরিশোধিত ভালোবাসায় দেশের প্রথিযোসা বুদ্ধিজীবীদের অকুণ্ঠ সমর্থন আদায়ে সক্ষম হন, আমার দেখা রায়ের বাজার বদ্ধভুমি এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তে ভেজা একটি বটগাছ বই।
ইতিহাস বিদ অধ্যাপক ডঃ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ইতিহাস বিদ ডঃ মুনতাসীর মামুন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের মতো স্বনামধন্যর বটগাছটি রক্ষা আবেদন করেন। দুঃখ জনক হলেও সত্য, অবৈধ দখলদার’রা রাতের আধারে গাছটি কেটে ছেটে নিশ্চিহ্ন করা শুরু করে দিয়েছে, দেখার কেউ আছে বলে মনে হয় না। আমার জানামতে গাছটি কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে।
একাত্তর প্রজর্ম্ম, বুদ্ধিজীবীদের সন্তানরা কি ঘুমিয়ে থাকবেন ? বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের দায়ীত্ব কি শুধু বিজ্ঞতির মাঝে সীমাবদ্ধ ? সরকারের দায়িত্বশীল কর্তাদের নাকে কি সরিষার তেল ? রাজনীতি ত্যাগের না ভোগের, বুঝতে পারছি না। এটিএন নিউজের জন্য প্রতিবেদন করতে গিয়ে চোখে পড়লো, বটগাছ কাটার দৃশ্য। মুক্তির বার্তা নিয়ে, বুদ্ধিজীবীদের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এখন নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। কেনো বটগাছ ও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের কে নিয়ে লেখতে গেলাম, এতোদিন বটগাছটা নিঃশব্দে ছিলো, লেখার পরেই আঘাতে আঘাতে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে। প্রতিকার প্রতিরোধের ভাষা জানানাই বলে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।