মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ মাত্র ২২ দিনের ব্যবধান। ২২ দিন আগে কমলাপুর স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ট্রফি জয় করেছিল আবাহনী। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দের রেশও কাটেনি। এই ২২ দিনের ব্যবধানে আরও একটা ট্রফি আবাহনীর ঘরে উঠল। এবার ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হলো।
৯ জানুয়ারি ২০২২ রোজ রবিবার রাতে টুর্নামেন্টের ফাইনালে আবাহনী ২-১ গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
কলিন্দ্রেস, রাকিব ও রহমতগঞ্জের ফিলিপ গোল করেছেন। ফুটবল মৌসুমে পরপর দুটি টুর্নামেন্টের ট্রফি আবাহনীর ঘরে উঠল। ফেডারেশন কাপের এক ডজন ট্রফি নিয়ে গেলো আবাহনী। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছেন আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েলটন ও রহমতগঞ্জের ফিলিপ।
ট্রফি জয় করে আবাহনীর ফুটবলারদের জন্য আর্থিক বোনাসও ঘোষণা করে দিয়েছেন ক্লাবটির ভারপ্রাপ্ত ডাইরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ। মাঠে খেলোয়াড়দের উল্লাস চলছিল। ফটোসেশন চলছিল। গোলকিপার সোহেলের স্ত্রী ও সাড়ে তিন বছরের পুত্র, ইরানি ফুটবলার মিলাদ শেখের স্ত্রী মাঠে দাঁড়িয়ে সেলফোনে ছবি তুলছিলেন। ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েলটন, রাফায়েল অগাস্ত একজন আরেকজনকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। টুর্নামেন্ট-সেরা এবং ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় কোস্টারিকার দানিয়েল কলিন্দ্রেসের দিকে ছুটলেন সংবাদকর্মীরা। কিন্তু কিছুতেই ধরা দিচ্ছিলেন না। রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলে আসা এই ফুটবলারের বড় অবদান, আবাহনী দুটি ট্রফি ঘরে তুলেছে। তার সঙ্গে কথা বলতে ছুটছিলেন সংবাদকর্মীরা। কলিন্দ্রেস একটা কথাও বলেননি। অন্যান্য ফুটবলার বললেন, কলিন্দ্রেসের মা অসুস্থ। ফাইনালের আগে এ কথা সবাই জেনে গিয়েছিলেন, তাই সব খেলোয়াড় শপথ নিয়েছিলেন কলিন্দ্রেসের মায়ের জন্যই ভালো খেলতে হবে।
আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় কাজী নাবিল খেলোয়াড়দের ভিড়ে ঢুকলেন। ২৫ লাখ টাকা বোনাস ঘোষণা করেন। নাবিব নেওয়াজ জীবন বলে উঠলেন, আরেকটু বাড়ানো যায় না? নাবিল জানতে চাইলেন, কত দিতে হবে? জীবন বলার জড়তায় ভুগছিলেন। নাবিল নিজেই বললেন, ‘ওকে, ২৫ নয়, ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ২৫ লাখ এবং এখন ৫০ লাখ, সব মিলিয়ে দুই টুর্নামেন্টে ৭৫ লাখ টাকা বোনাস একসঙ্গ পাবেন খেলোয়াড়েরা। ইরানি ফুটবলার মিলাদ শেখ টুমরো বোঝাতে চাইলেন, কালকেই দিয়ে দাও। ফাইনালের পুরস্কার তুলে দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।