মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা, অভিনন্দন আর ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন নব গঠিত বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য বাংলাদেশ কৃষক লীগের অহংকার, ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত আয়ুব বিরোধী সকল আন্দোলনের নেতা, জামাত-বিএনপির পেট্রোল বোমা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাজপথের প্রতিবাদী সৈনিক, গরীব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু, চার দলীয় জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথের লড়াকু সৈনিক, সৎ স্বচ্ছ রাজনীতির প্রতীক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আনুগত্যের নির্ভিক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও সমাজসেবক, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সফল পানি, সেচ ও বিদ্যুৎ বিষয়ক সম্পাদক ভোলা জেলার কৃতি সন্তান এ. কে. এম. নুরুল ইসলাম।
মোহাম্মদপুর থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
নবগঠিত কমিটিতে তাকে উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য নির্বাচিত করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সন্মানীত সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের এমপি, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি কে ধন্যবাদ জানান।
এ. কে. এম. নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত আয়ুব বিরোধী সকল আন্দোলনে অংশগ্রহণ করিয়াছি।
১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীনতা উত্তর, তৎকালীন ঢাকা নগর আওয়ামীলীগএর অধীন মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন পদে থাকায় সততা ও নিষ্ঠার সাথে সংগঠনের কাজ করে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করি।
২০০৩ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ঢাকা মহানগর-উত্তর কৃষক লীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করিয়াছি।
২০১২ সালে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেসনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষক লীগের সাংগঠনিক নেত্রী কৃষক রত্ন শেখ হাসিনা আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সেচ, পানি ও বিদ্যুৎ বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত করেন। আমি ২০১৯ ইং পর্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে সংগঠনের দেওয়া সকল দায়িত্ব পালন করি। সংগঠনের আন্দোলন ও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করিয়া সংগঠনকে সুসংঘঠিত করিতে সহায়তা করিয়াছি এবং আগামীতেও আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবো বলে তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্যঃ গত ১৯ অক্টোবর ২০২০ সোমবার আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের ১১১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত কমিটির চিঠি সংগঠনটির সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির হাতে হস্তান্তর করা হয়। তাদের কাছে চিঠি হস্তান্তর করেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে বলা হয়, দলের গঠনতন্ত্রের ২৫(৭) ধরা মোতাবেক কৃষক লীগ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন। সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে পরামর্শক্রমে কৃষক লীগের নব নির্বাচিত কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা আপনাদের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হলো। এতে আরও বলা হয়, নব নির্বাচিত সকল সদস্য নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা ও সততার সাথে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন এবং সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় জাতীয় কৃষক লীগকে আরও সুদৃঢ়, সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করবেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল “কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও” শ্লোগানে বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। আবদুর রব সেরনিয়াবাদ ছিলেন সংগঠনটির প্রথম সভাপতি।