প্রানি সম্পদ ৫৫০ টাকায় মাংস বিক্রি করে, মাংস ব্যবসায়ীরা কেনো পারে না, নিউজ ২৪ প্রশ্নের উত্তরে মহাসচিব রবিউল আলম। মাংসের ব্যবসা প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়, ডেইরি ফার্মার এসোসিয়েশন, ভারতে বিজেপি ও তৃণমূল সরকারের কিছু দালাল’রা করলে মাংস ব্যবসায়ীদের কী প্রয়োজন ? সরকারের কোটি কোটি টাকা ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের গরু আত্মসাৎ এর নীলনকশা বলতে পারেন ৫৫০ টাকায় মাংস বিক্রি। প্রথমদিনেই মুখোশ উন্মোচন করেছে দৈনিক সমকাল। বিস্তারিত বলতে চাই, মন্ত্রী শোনতে চাইলে। মাংসের বাজারদর ও স্বাস্থ্যসম্মতের বিষয় দেখাশোনা বিষয় কেউ আছে বলে মনে হয় না। ৪৫ বছর নিয়ন্ত্রণের পরে, কার দমকে মাংসের মুল্য নির্ধারন বন্দ করা হলো ? রমজানের ২৮ দিনে ২৮ হাজার কেজি মাংস ঢাকা চট্টগ্রামে বিক্রি করতে সরকারের কোটি কোটি টাকার ভর্তুকি কারস্বার্থ রক্ষা হচ্ছে ? সরকার যেই টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে, সেই টাকা দিয়ে ৪০ হাজার মানুষকে বিনে পয়সায় মাংস দেওয়া যেতো, সরকারী গরু প্রয়োজন হতো না। ৫৫০ টাকার নাটক জনগণের সাথে এর চেয়ে বড় প্রতারণা আর কি হতে পারে ? আমার মনে হয় প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তা ও ফার্মার এসোসিয়েশন নেতাদের যোগসাজশে সাভার, সিলেট, ফরিদপুর সহ সরকারের ডেইরি ফার্মের গরু ও অর্থ আত্মসাৎ এর নীলনকশা হতে পারে।মন্ত্রী-সচিবকে অভিহিত করার জন্য উন্মুক্ত আলোচনার প্রয়োজন। মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও রপ্তানির বাজার উন্মুক্ত রাখতে চাইলে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে মুল্য নির্ধারনের আলোচনা সভা অভ্যাহত রাখতে হবে। ভারতীয় গরু ও মাংস আমদানি বন্দ করতে হবে। বাংলাদেশের চর অঞ্চল পশুপালনের আওতায় আনতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বাড়ী একটি খামারকে পশুপালনের আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশের মিষ্টি পানি, আবহাওয়া ও কৃষক পশুপলনে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট। প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধিদপ্তরের অদক্ষতা, অব্যাবস্থাপনা ও হীনমন্যতার জন্য কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কাজের চেয়ে কথা বেশী। প্রতিবছর ঢাকঢোল পিটিয়ে অসত্য বলছে, বাংলাদেশ পশুপালনে সয়ংসম্পুর্ণ। প্রতিবছর ভারতীয় মাংস ও পশু পাচার হয়ে আসছে। ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা পাচার হলেও কারো কোনো খবর আছে ? প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয় রমজানের মাংস বিক্রির নামে যেই গরু ও টাকা ভর্তুকি দিলেন, সেই টাকায় একটি চরকে পশুপালনের প্রজ্জলন কেন্দ্র গড়ে তুলা যেতো। ভুটান, নেপাল, হরিয়ানা, অষ্টেলিয়া,সুইজারল্যান্ট থেকে উন্নত জাতের পশুর বিছনের মাধ্যমে বিশ্ব জয় করা যেতো। মাংসের দাম অতিরিক্ত হওয়াতে মাংস ব্যবসায়ীরা নিঃশেষ হওয়ার পথে। হাজার হাজার মাংসের দোকান ইতিমধ্যে বন্দ হয়ে গেছে। পেশা পরিবর্তন করেছে। তাদেরকে রক্ষা করতে না পারলে বাংলাদেশের পশুর বর্জ্য রপ্তানীখাত ধ্বংস অনিবার্য। ভারতীয় মাংস আমদানি বন্দ করতে না পারলে চামড়া শিল্পের আত্নহত্যা প্রতক্ষ করতে হবে। তারপরেও প্রানি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাংস শ্রমিকের প্রশিক্ষনের নামে রাস্তার শ্রমিক দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করছেন। মাননীয় মন্ত্রী ও মেয়ররা এখনো কি ঘুমিয়ে থাকবেন ?
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।