মোঃ ইমামুল ইসলামঃ আগামী ১৫ই জুন ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী শুক্রবার (২৭ মে) চার মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরমধ্যে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল পেয়েছেন নারকেল গাছ প্রতীক। প্রতীক পেয়ে কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল বলেন, আমি খুশি। নারকেল গাছ আমাদের গ্রাম বাংলার চিরায়ত সবুজের একটি বিরাট অংশ। খুবই পরিচিত। ভোটারদের কাছে খুব সহজে পৌঁছানো যাবে।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই ভোটারদের দুয়ারে ছুটতে শুরু করেছেন এই মেয়র প্রার্থী। এতে আনন্দ-উল্লাস দেখা যায় প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকদের মধ্যেও। প্রতীক পেয়েই সকাল হতে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত পথে ঘাটে চায়ের দোকানে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার –প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় ও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন তিনি। এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানাজায়, হিজলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ছাত্র ও যুব সমাজের মাঝেও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দীর্ঘদিন রাজপথে সরব থাকা এ নেতাকে মেয়র হিসেবে চান দল-বল নির্বিশেষে সকলেই।
তিনি পৌরসভার প্রতিটি এলাকার মাদক সন্ত্রাস জুয়া বাল্যবিবাহ, বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে বিরুদ্ধে, আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। পৌরসভার একাধিক ব্যক্তি জানান, হিজল তরুন-প্রজন্মের জনপ্রিয় নেতা। সব সময় তাকে মাঠে পাওয়া যায়, বিপদে-আপদে, মহামারী করোনা-কালীন সময়ে তার অনেক অবদান রয়েছে।
কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল বলেন, আমি নির্বাচিত হলে, এলাকাবাসীকে পরিছন্ন, বেকারত্ব সমস্যা সমাধান, বাল্যবিবাহ বন্ধ, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাবান্ধব উন্নত নাগরিক সুবিধা প্রদান করবো। মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণ মোকাবিলায় আমি এলাকায় কাজ করেছি । আমি যতটুকু পেরেছি আমার এলাকাবাসীকে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছি।
এক নজরে কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহিদী হিজলঃ সচেতন নাগরিকগণের জানার কথা ঝিনাইদহের নারিকেল বাড়ির জমিদার ছিলো কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী (হিজল) এর দাদা, একজন প্রবল প্রতাপশালী জমিদার, বংশপরম্পরা জমিদার। সেই নারিকেল বাড়ির জমিদারের ছেলে হলেন মরহুম ভাষাসৈনিক জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া। যিনি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে শৈশবে ঝিনাইদহের হাল ধরেছিলেন, পরবর্তীতে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ভাষা আন্দোলনের নেত্বৃত্ব দেন, যেকোনো অান্দোলনে ছিলেন অগ্রভাগে, বঙ্গবন্ধু ও মওলানা ভাসানীর ছিলেন প্রিয়জন। ১৯৬৭-৬৮ সালে ঝিনাইদহ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, বহুবার এমপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। সত্য কথা বলতে গেলে ঝিনাইদহের রাজনৈতিক প্রাণ পুরুষ ছিলেন জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া। যার হাতে গড়া বহু নেতা কর্মীই এম পি, মন্ত্রী হয়েছেন, এখনো নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঝিনাইদহ তে। জমিদার বাবার এক মাত্র সন্তান মুসা মিয়া, জনগণের ভাগ্যন্ন্যায়নে কাজ করেছেন সারাজীবন, জমিদার বাবার সব সম্পত্তি ই মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন। জীবন ছায়ান্হে প্রতিষ্ঠা করেছেন
জাহেদী ফাউন্ডেশনঃ জাহেদী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ গরিব দুঃখী মেহনতী মানুষ উপকৃত হচ্ছেন, এ ফাউন্ডেশনের থেকে শতশত কোটি টাকার সামগ্রী ও অবকাঠামো উন্নয়নে নির্মিত হয়েছে বা হচ্ছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রিড়া, ধর্মীয় ও অন্যান্য মানব সেবার কাজে। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য রেডিয়েন্ট থেকে নির্মিত হতে যাচ্ছে ঝিনাইদহে বিশ্বমানের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ৮ সন্তানের জনক ছিলেন মুসা মিয়া, বড় ছেলে বাংলাদেশের ফার্মাসিষ্ট জগতের দিকপাল, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল আর চতুর্থ সন্তান হলেন কাইয়ূম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল। প্রাচুর্যতা, অর্থ, বৃত্ত, বৈভবের অভাব নাই এ পরিবারের, রাজনীতি থেকে নেওয়ার কিছু-ই নাই জনগণের সেবা দেওয়া ছাড়া। শুধু ঝিনাইদহের মানুষের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে, আধুনিক ঝিনাইদহ গড়ার দায়বদ্ধতা থেকে মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সৎ, যৌগ্য, মেধাবী, পরিশ্রমী, শতশত বছর ধরে জনগণের সেবক এমন পারিবারিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ অনুকরণীয় নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়া সত্যি ই ঝিনাইদহ বাসির জন্য আল্লাহর রহমত।
বর্তমানে কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী (হিজল) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন তারমধ্যে অন্যতম হলোঃ সাধারণ সম্পাদক – ঝিনাইদহ ইটভাটা মালিক সমিতি, সাধারণ সম্পাদক – ঝিনাইদহ রাইফেল ক্লাব, সাধারণ সম্পাদ-ঝিনাইদহ কমিউনিটি পুলিশ, পরিচালক -ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, সাধারণ সম্পাদক – ঝিনাইদহ শুটিং ক্লাব, কাউন্সিলর- এফবিসিসিআই, কাউন্সিলর- বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন, অতিঃ সাধারণ সম্পাদক – ঝিনাইদহ জেলা ক্রিড়া সংস্থা, নির্বাহী সদস্য – জাহেদী ফাউন্ডেশন, সহ-সভাপতি – রাহুল স্মৃতি ক্রিকেট একাডেমি ঝিনাইদহ, সাধারণ সম্পাদক – মুসা মিয়া ডায়াবেটিস সেন্টার, নির্বাহী সদস্য – শামসুল হুদা ফুটবল একাডেমি যশোর, উপসম্পাদক-সাম্প্রতিক দেশকাল, মুসা মিয়া বুদ্ধি প্রতিবন্ধি স্কুলসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা, মসজিদ, ঈদগাহ, ধর্মীও প্রতিষ্ঠান, কলেজ সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এর প্রতিটি জায়গাতেই তাক লাগানো উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। হয়েছেন ঝিনাইদহ জেলার শ্রেষ্ঠ করদাতা। তিনি বাংলাদেশ সরকারের একজন সম্মানিত সিআইপি। নেতৃত্বের গুনে অন্যন্য যাঁর হাত ধরে স্বাধীনতা পরবর্তী গত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন ঝিনাইদহে হয়নি আগামী ৫ বছরে সে উন্নয়ন হবে ইনশাআল্লাহ কারণ পারিবারিক ভাবেই শতশত কোটি টাকা ব্যায় করে মানব সেবায় এ পরিবার তাই ১ টাকাও তছরুপ হবেনা এমনটা আশা করা যায়।
শতভাগ দুর্নীতি মুক্ত, উন্নত, পরিচ্ছন্ন, রোল মোডেল নগরী গড়ে তোলা হবে ঝিনাইদহ কে। পারিপার্শ্বিক জেলা থেকে পিছিয়ে থাকা ঝিনাইদহ কে নেওয়া হবে নতুন উচ্চতায়। ঝিনাইদহের মানুষের কাছে জাহেদী পরিবারের উপরে আস্থা বিশ্বাস প্রশ্নাতীত। এ পরিবারের একজনকে মেয়র হিসেবে পাবে এটা আল্লাহর আশীর্বাদ হিসেবেই মনে করে ঝিনাইদহের জনগণ। এমন ভালো মানুষদের রাজনীতি তে সুযোগ করে দিতে পারলে ঝিনাইদহ নগরী হবে আধুনিক বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নগরী। আশা না বিশ্বাস করি ঝিনাইদহবাসী আগামী ১৫ জুন সে সুযোগ করে দিবে। সমসাময়িক সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থেকে চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ করে হিজল ভাইকে-ই অধিক যৌগ্য মেয়র হিসেবে বেঁচে নিবে ঝিনাইদহের জনগন, এমনটাই প্রত্যাশা