সরকার বিরোধী আন্দোলনের মুলমন্ত্র জনগণ, জনগণ কে সম্পৃক্ত করতে না পারলে, দুই-চারজন পুলিশ মেরে গাড়ী পুড়িয়ে সরকার হটানো যাবে না, দেশের সম্পদ নষ্ট করে বিদেশীদের খুশী করা যাবে। বিএনপি জামাত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। পাকিস্তান সরকার হটাতে সুদীর্ঘ ২৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে, মুক্তির বার্তা স্বাধীনতার অর্থ বুঝাতে ও বুঝতে। জনসমর্থন ছাড়া, মিথ্যে ও ছলচাতুরী মাধ্যমে অর্জন হয় না। চাঁদে সাঈদি, বাইডেন উপদেষ্টা জমিনে,জনগণকে এতো বুকা মনে করেন কীভাবে ? জনগণের সমর্থন আদায় করতে পারলে তত্ত্বাবধায়ক, নিরপেক্ষ কোনো পক্ষের দরকার নাই।
জনগণের চাইতে বড় পক্ষ, বড় শক্তি আর কে আছে ? পাকিস্তান সরকারের অধিনে বঙ্গবন্ধু নির্বাচন করে, জনগণের শক্তির পরিচয় দিয়েছে, পৃথিবীর মারনস্ত্র জনগণের কাছে টিকতে পারে না, ৭১ বাশে লাঠি দিয়ে আমেরিকার সপ্তম নৌ বহর ফেরত পাঠিয়ে ছিলাম। ৭০ নির্বাচনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নৌকার বিজয় আটকাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলন করেছে, জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করেনি, সরকারের কোনো বাহিনীর উপর আঘাত করেননি, প্রয়োজন হয়নি। একটি আঙুলের ইশারায় চলছে গণআন্দোলন, গনমানুষের দাবী ও মনের কথাগুলো সম্পৃক্ত ছিলো বলে।
কোনো বিদেশী শক্তি বঙ্গবন্ধুর আঙুল নোয়াতে পারেনি। বিএনপি জামাতের আন্দোলন দেখে হাসবো না কাঁদব ? হাসি পায় হরতাল ডেকে কোনো নেতা মাঠে থাকে না বলে। কান্না পায় পুলিশ আনসার বাহিনীর লাশ পরে থাকতে দেখে। আমেরিকার কী বলবেন জাতীয় সম্পদ ধ্বংস কারীদের জন্য ? শেখ হাসিনার সরকার হটাতে চাইলে জনগণের সমর্থন আদায় করতে হবে। শেখ হাসিনার চাইতে যোগ্য নেতৃত্ব আবিস্কার করতে হবে। পদ্মাসেতু, কর্ণফুলি টানেল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ মেট্রোরেলের চাইতে বড় মেগা প্রকল্প বাংলাদেশ কে উপহার দিতে পারবে। পশ্চিমাদের রক্তসুলের কারণ যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা থেকে বাংলাদেশ কে রক্ষা করতে, এমন একজন নেতা আবিস্কার করতে হবে। গণআন্দোলনের জন্য গনমানুষের প্রয়োজন,যার আঙুলের ঈশারায় বাংলাদেশ চলবে, অপেক্ষা করুন। যতদিন না পারবেন আমেরিকার ও পশ্চিমা শক্তি আপনাদের কে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না।
আপনাদের পুর্ব ও বর্তমান ইতিহাস নোংরা, পুলিশ মারা, গাড়ী ভাঙা জ্বালাও পোড়াও দেশের মানুষ গ্রহন করে না। ভালো কিছু করার চেষ্টা করুন, সেবামুলক সৃষ্টির জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য আমেরিকার প্রয়োজন হবে না, বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের কে কোলে তুলে ক্ষমতায় বসি দিবে। গাড়ী পুড়িয়ে, পুলিশ মেরে গনআন্দোলন হয় না, ধ্বংসকারীর ক্ষ্যাতাব অর্জন করা যাবে,লক্ষ্য পুরণ হবে না। চেষ্টা করে দেখুন, নিজেদের ধ্বংস অনিবার্য।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।