জনাব রবিউল আলমঃ
কুমিল্লার কোনআন অবমাননার গুজব থেকে অনেক কিছুই ঘটতে পারতো। পুলিশ সময় মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে ব্যার্থ হলে। বাংলাদেশ পুলিশের অর্জনের শেষ নাই। জাতিসংঘের অধিনে আমাদের পুলিশ বিশ্বে উল্লেখযোগ্য ভুমিকার জন্য বহু প্রশংষিত হয়েছেন। অনেক অস্বাদ্ধ সাধন করেছেন। নিধারাবাদ হত্যা, ব্যাংক লুট, বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলার ও সমাধান করেছেন। একজন পাঁজারী যেমন পবিত্র গন্থ কোনআন অবমাননা করতে পারে না, একজন প্রকৃত মুসলিম হিন্দু ধর্ম পালনে বাধা ও মন্দিরে হামলা করতে পারে না। বাংলাদেশ একমাত্র সম্প্রদায়ীক সম্প্রতি রক্ষার দেশে। তবে টাকার জন্য অনেকে কিছুই হয়, রানা দাশ গুপ্তের মতো স্বনামধন্য আইনজ্ঞ বর্খাস্ত ওসি প্রদীবের আইনজীবী হতে পারে, ধর্ষক মামুনুল হকরা ধর্মের ও দেশে ধ্বংসের কারন হতে পারে। পবিত্র কোনআন অবমাননা কাকে বলে ? আমার মনে হাজারো প্রশ্ন। কোনআন শরিফ পূজামণ্ডপে যিনি নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি ? না-কি কোনআন রক্ষার জন্য পুলিশে খবর দিয়েছিলেন, তিনি ? না-কি যারা বিশ্বের কাছে কোনআন অবমাননার ডেকুর তুলে ইসলাম ধর্মকে হেওপ্রতিপন্য করলেন, তারা কোনআন অবমাননা করেছেন ? আমি একজন মহা অজ্ঞানী মানুষ। আমার নেতা, নাম প্রকাশ করলাম না। তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে, তার বিরুদ্ধে কোনো কথা হবে না, সবাইকে সাবধান করেদেন। বিরুদ্ধবাদীর জন্য আদর আপ্রায়ন আমাদের চাইতে একটু বারিয়ে দেওয়া হয়। নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে অনেক সময় প্রশ্ন করতে হয়, কেনো। ও বলেছে, তুমি শুনেছো। বিতর্ক হলে ভাইরাল হতে পারে। সাধারন মানুষ সত্য মিথ্যা বিচার করে পরে। ঐ লোকটার কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করার সুযোগ দিতে হবে। আমি রাগ করে ওর গায় হাত তুললে। ওর ধারনা ওর কাছে সঠিক হবে।বাংলাদেশের মানুষ কোনআন অবমাননা করতে পারে, এ কথা বিশ্বাস করাও পাপ। তার উপর যারা বিশ্ব মুসলিমের মনে কোনআন অবমাননার ডেকুর দিয়ে আঘাত করলো, কোনআনকে অবমাননার ভাইরাল করলো, তাদেরকে ঘৃনা করা ছাড়া আমার কাছে বিকল্প নাই। আল্লাপাক তুমি তাদেরকে হেদায়েত করো। আমার নেতা আমাকে হেদায়েতে অনেক চেষ্টা করছে, রাগকে এখনো নিয়ন্ত্রণ ও মিথ্যা হজম করতে পারিনি,চেষ্টা করছি।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।