September 9, 2024, 10:24 pm
শিরোনামঃ
খাগড়াছড়িতে সমন্বয়কদের মধ্যে কোন্দল, হাসনাত আব্দুল্লাহর মঞ্চত্যাগ সমন্বয়কদের কোন্দলে নরসিংদীতে সভা না করেই ফিরলেন সারজিস আলম বাউফল বিএনপির সভাপতির অভিযোগ, সম্পাদক ‘চাঁদাবাজ’ বাউফলে জামায়েতে ইসলামীর শান্তি ও সম্প্রীতির বিশাল সমাবেশ বগুড়ায় আদালত প্রাঙ্গণে হিরো আলমকে কান ধরিয়ে উঠ-বস, এরপর যা ঘটলো খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দিবসে সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা দোয়া চাইলেন: সেলিম রেজা শান্তি সমাবেশে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান: মোঃ সুবিদুর রহমান ওএসডি হলেন মনিরুলের স্ত্রী অতিরিক্ত সচিব সায়লা ফারজানা রাজশাহীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে পিটিয়ে হত্যা আগামীকাল রবিবার জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ, নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা

পর্ব ৯৬ :- ”যে ইতিহাসটি বলা দরকার” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Saturday, October 2, 2021
  • 400 Time View

এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, ডাক্তার দিপু মনি একজন স্বজ্জন ব্যক্তি। রাজনীতির কারনে তার সাথে যে প্রথম পরিচয় হয়, সেই থেকে, তার কাছ থেকে, কখনো তার ব্যবহার বা কথায় কখনো খারাপ লাগেনি। আজ্কের আমার লেখাটা মূলত তার নজরে আনার জন্য । দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সংস্কার হচ্ছে, ভর্তী ব্যবস্থা, সৃজনশীল পদ্ধতি, বিভিন্ন শ্রেণীর পরীক্ষা পদ্ধতি, বিভিন্ন গ্রুপ, টেকনিকাল বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়। আমি শুধু বর্তমানে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি এবং একাদশ শ্রেনীর পরের ভর্ত্তী নিয়ে কিছু প্রসঙ্গে আসবো। যদিও আমি ঐ সব বিষয় কোনো প্রকারেই নুন্যতম বিশেষজ্ঞ নই। আমাদের সময় পড়াশুনা ছিলো, সেই পুরাতন ধাচের। আমি শুধু আমার নিজেদের পরিবারে কিছু প্রশঙ্গ টেনে, কথাগুলো বলার চেষ্টা করবো।আমার মনে আছে, আমি যখন ৬ বছর বয়স,১৯৬১ সনে পটুয়াখালী প্রাইমারী ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ভর্ত্তী হই, তখন ব্লাকবোর্ডে লেখা কয়েকটি প্রশ্নের মাঝে, একটি প্রশ্ন মনে আছে, সেটি হলো, ” সূর্য কোনদিক থেকে উঠে এবং কোন দিকে সূর্য অস্ত যায়” !। এবং ঐ প্রশ্নের উত্তর লিখে ক্লাস ওয়ানে ভর্তী হয়েছিলাম। তারপর ৩য় শ্রেণীতে, পটুয়াখালী সরকারী জুবিলী হাই স্কুল, পটুয়াখালী সরকারী কলেজ, তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে, অনার্স এবং মাস্টারস এবং পরে এল এল বি। আর ঐ আমার ওয়ানে ভর্তীর প্রায় ৪৩ বছর পর, আমার ২য় পুত্র, যে এখন বুয়েটে, ট্রিপল ই তে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র, সে ঢাকা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে ক্লাস ওয়ানে ভর্তী হয়২০০৪ সনে। ক্লাস ওয়ানে ভর্তী হওয়ার আগে সে ৩ ক্লাশ পড়াশুনা করেছে। প্লে গ্রুপ, নার্সারি এবং কে জি ওয়ান। তার মইধ্যেও কিন্তু আছে। আমার ঐ পুত্র, ২০০৪ সনে গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলে ভর্তী হলেও, ২০০৩ সনে সে, ঐ ল্যাবরেটরি স্কুলে প্রথম একবার ভর্তী পরীক্ষায় পাশ করেনি। বাধ্য হয়ে তাকে ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলে, ফিডার শাখায় ২০০৩ এ ক্লাস ওয়ানে ভর্তী করাই। ফিডার শাখায় সে খুব ভালো রেজাল্ট করে। কিম্তু আমার ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রতি দুর্বলতার কারনে, ঐ পুত্রকে ২০০৪ সনে আবার ল্যাবরেটরি স্কুলে, ক্লাস ওয়ানে ভর্তী পরীক্ষা দেয়াই। আমার মনে হয়েছিল, আমি যে, ১৭০০ মার্কের বি সি এস পরীক্ষা দিয়েছিলাম, ঐ পরীক্ষাটি সে রকমই একটি পরীক্ষা। বাহিরে আমার মত শত শত অবিভাবক অপেক্ষা করছেন। ২ শিফটে সম্ভাবত ৪৮০ জন ছাত্র ভর্তী হবে। আল্লাহর রহমতে আমার ছেলেটা মর্নিং শিফটে এলাউ হল। ঐ দীর্ঘ ২ বছরের ভর্তী পরীক্ষায় বাহিরের শিক্ষক ছাড়াও আমিও তাকে পড়িয়েছি। এখানেই শেষ নয়।৩য় শ্রেণীতে যখন ও ফাইনাল পরীক্ষা দেবে, তখন অনেকে বললো, YWCA স্কুলে ভর্তী হলে, ইংরেজিতে ভালো করবে। আবার কোচিং, আবার ভর্তী পরীক্ষা। আমার ছেলে, ওখানেও চান্স পেলো। কিন্তু কোচিং করালাম, ভর্তী পরীক্ষায় এলাউ হলো, কিম্তু ছেলে বললো, খ্রিস্টানদের স্কুলে সে পড়বে না। আবার সেই ল্যাবরেটরি স্কুলেই থাকা। আমার দেখাদেখি এক ভদ্রমহিলার ছেলে, যে ল্যাবরেটরির ছাত্র, সেও YWCA তে গেলো না। এভাবেই আমার মেঝো ছেলের এগিয়ে যাওয়া। এস এস সি এবং আই এস সি তে GPA 5.এবং অতপর ২০১৭ সনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ” জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং” এ, খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিতে আর্কিটেক্ট এ, এবং বুয়েটে এডমিশন টেস্টে,আর্কিটেক্ট এ ২য় এবং ট্রিপল ই তে ৬০ তম, অতপর বুয়েটে ট্রিপল ই তে ভর্তী।শুধু কি তাই,ওর চাচাতো ভাই নাভিল, আই উ টি, গাজিপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছে, সেই শখে সেখানেও পরীক্ষা দিয়েছে এবং সেখানেও সে আর্কিটেক্ট এ এলাউ হয়েছে। আমি একথাগুলো এজন্য আনলাম, আমার বিশ্বাস এবং সে বিশ্বাস এখনো আমার আছে , আমার ছেলের সেই ১ম শ্রেনীর ভর্তী পরীক্ষা, ১ বছর ধানমন্ডি বয়েজে পড়ে, পুনরায় ১ বছর পরে, ল্যাবরেটরি স্কুলে ভর্তী পরীক্ষা এবং ভর্তী এবং পরে ৩য় শ্রেণীতে YWCA এর কোচিং এবং ভর্তী,এসব কারনেই তার বুয়েটে বা কোথায় তার বেগ পেতে হয়নি। আমার স্মরণ আছে,১ম শ্রেনীর ভর্তী পরীক্ষার সময়, ওকে ১০০ টি সেন্টেন্স মেকিং শিখিয়েছিলাম অথচ আমার যে ছেলে নবম শ্রেণীতে পরে, তার ১ম শ্রেনীতে ভর্তির সময়, এভারেজ বয়স নির্ধারণ ছিল ৭ বছর। অথচ ঐ লটারিতে ৫ থেকে ১০ বছরের ছেলেরা অংশ নিয়েছে। ফলে অনেকে ১ম শ্রেনীর আগে ৩ ক্লাশ পড়তে পারেনি। ফলে আমার ৯ম শ্রেনীর ছেলেটি ঐ ১০০ টি সেন্টেন্স মেকিং পারবে কিনা, সেটা আমি জোর দিয়ে বলতে পারিনা। জানিনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভি সি, অরেফিন সিদ্দিকী স্যার কেন বছর ২ আগে, বলেছিলেন GPA পদ্ধতি আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে !। তিনি কি নিয়ে বলেছেন, সেটিতে পরে আসবো। তবে আমি যে বিশ্বাসে আছি, তা স্পটিকের মত স্পষ্ট, সেটি হলো, ভর্তিতে লটারী হলে, সেটা ১ম শ্রেনীতে নয়, লটারি হওয়া উচিত প্লে গ্রুপে। কেননা ১ম শ্রেনীর আগে ৩ টি শ্রেনী পার হয়ে আসতে হয়। কেননা লটারিতে ১ম শ্রেনীতে ভর্তী প্রক্রিয়া থাকলে, জন্ম নিবন্ধনের কারনে বয়স নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। আবার যে ছেলেটা ৩ ক্লাস পড়ে আসবে না, সে ১ম শ্রেণীতে অবশ্যই ভালো করবে না। তাইতো আগে ভালো স্কুল গুলোতে, নিচের দিকে কোনো ফেলের খবর শুনতাম না, কিন্তু এখন শুনি অনেকেই ফেল করে। বিষয়টি সকলকে ভাবার জন্য অনুরোধ করছি (ক্রমশঃ) এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ২৮ সেপ্টেম্বর ‘২০২১

শেয়ার করুন
More News Of This Category
ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102