পর্ব ৯২ :- ” যে ইতিহাসটি বলা দরকার ” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Saturday, September 4, 2021
192 Time View
এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা :
কোন একজন মনীষী নাকি বলেছেন, “বন্ধুর সাথে এমন আচরন কর, ভবিষ্যতে সে, তোমার শত্রুও হতে পারে এবং শত্রুর সাথে এমন আচরন কর, ভবিষ্যতে সে, তোমার বন্ধু হতে পারে”। অথচ এর সত্যতা পেতে আমার খুব বেশী দুর যেতে হয়নি। এইতো, কয়েক বছর আগে, বাংলাদেশে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক থাকার সময়,আমার এক বন্ধু, কৃষক লীগ নেতার এলাকায় কাউন্সিল করতে যাই। পথে কত কি বললেন, আমার বন্ধু, আরেক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঐ নেতাও আমার কাছের মানুষ। কাউন্সিলে, কাউন্সিলারদের মতামত নিয়েই কমিটি করেছি, তাতে আমার বন্ধু নেতা, খুব খুশি এবং অপর নেতা, তিনি একটি সভাপতি বা সাধারন সম্পাদক পদের জন্য অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু রাখতে পারিনি। পথেও আমার বন্ধুটি, তার বিরুদ্ধে অনেক কিছু বললেন,ওই আওয়ামী লীগ নেতাও সেটা জানতেন। অথচ এখন শুনছি, ঐ নেতা কিছুদিন পূর্বে, তার বেয়াই হয়েছেন, সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুন্দর সুন্দর ছবিও পোস্ট দিচ্ছেন। আমার সাথে ২২ বছর হবে, একজনের সাথে পরিচয় ছিল, সে এখন একটি সংগঠনের দায়ীত্বপুর্ণ পদে আছে। সে নাকি আমার সাথে, সম্পর্ক আছে, এমন করো নাম শুনলেই, তার নাম কেটে দেয়। সে জন্য নাকি তারা, প্রকাশ্যে আমার সাথে কোন যোগাযোগ রাখে না। আরেক জনের সাথেও, আমার বছর ৯ আগে পরিচয় হয়েছিল, সে এখন ভুলেও আমার পথ মারায় না। আসলে এসব হচ্ছে বলেই হয়তো, ঐ দুষ্ট মনীষীরা, ঐ সব তথাকথিত আদর্শের কথাগুলো বলে বেড়াচ্ছেন। আবার এক শিল্পীতো, আরো খারাপ কথা বলছেন, “কোনটি সত্য আর মিথ্যা, নির্দেশ করে দেন তারা, ওরা কারা ওরা কারা “। আসলে পৃথিবীর বিধানটাই বোধ হয় এমন। তানাহলে যে নেতার অনুরোধে, আমি ২০০৯ সনের বাউফলের উপজেলা নির্বাচনে, চেয়ারম্যান পদে, প্রার্থী হয়েছিলাম এবং যে নেতা বলেছিলেন ২০০৮ সনের সংসদ নির্বাচনের পর পরই, আমার পক্ষে নামবেন। অথচ ঐ নেতা সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পরই, আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে নেমে যান। অথচ ঐ মহান নেতাকে, আমার আব্বা,মরহুম আব্দুল আজিজ খন্দকার ১৯৭৯ সনে, বাউফলে, আওয়ামী লীগের সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন সেক্রিফাইস করেছিলেন। আমার পিতা ১৯৫৮ সনে পটুয়াখালী মহকুমা আওয়ামী লীগের এবং পরে পটুয়াখালী জেলা হলে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ আওয়ামী লীগের এম পি ছিলেন, ৭১ এবং ৭৫ এ যার ভুমিকা ছিলো অনেক অনেক। যিনি বাউফল সহ পটুয়াখালী অঞ্চলে, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্টায় ব্যাপক ভুমিকা রেখেছিলেন, যাকে বঙ্গবন্ধু, পটুয়াখালী আওয়ামী লীগের প্রাণ বলতেন। তার ছেলে, যার ৭৫ পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে বিরাট ভুমিকা ছিল, পটুয়াখালী জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক ছিল এবং পরে বাংলাদেশের কৃষক লীগের বিভিন্ন দায়ীত্ত্বে ছিল প্রায় ২৮ বছর, তাকে সেই বাউফলের এম পি সাহেব,২০০৯ সনের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে,নওমালা স্কুলের সেন্টারে মাত্র ২ ভোট দিয়েছিলেন। অথচ ঐ স্কুলে, নির্বাচনের মাত্র ২ দিন আগে, ৫০০ জন কর্মী নিয়ে রাত ৯ টা পর্যন্ত মিটিং করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য,যাকে এম পি সাহেব, বাউফলের, ২ বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন, সেই মানুষটি বর্তমানে আমাকে, ভাই বলে সম্বোধন করেন এবং তাকে কি বলে এখন সম্বোধন করেন, তা এখানে বলতে চাইনা। অথচ সে এম পি সাহেব, মাত্র বছর ৩ আগে, যার এলাকায়,একটি স্কুলের মাঠে, যার সহযোগিতায় একটি জনসভা করে, ২ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান এর কাছে, , জনগনের ভোট ফেরত চেয়েছেন। অথচ সেই নেতা, যার সহযোগিতায়, ঐ সভা হয়েছিল, সে এখন বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবং সেই নেতাই, এখন পারলে, এম পি সাহেবর কাছে, জনগনের ভোট ফেরত চান !,৭৫ এ বরিশালের ঘটনা সহ আরো কত কি বলছেন। এজন্য হয়তো শুনতে পাই, কোন অপরাধই প্রতিকার বিহীন ভাবে যাবে না। অথচ অনেক ঐতিহ্যের এবং শিক্ষিত মানুষের বাউফল কে, সকলে মিলে, ২০০৯ সন থেকে একটি” সুন্দর বাউফল ” গড়তে পারতাম। তাহলে এই ১৩ বছরে, আমাদের দলের অনেক কর্মীর অকালে প্রাণ যেত না। আমার আত্মীয়, আওয়ামী পরিবারের নিবেদিত, কেশবপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং কেশবপুর কলেজের অধ্যক্ষের ২ ভাইকে এভাবে আমাদের অন্ত দন্দে প্রাণ হারাতে হত না। অথচ আমরা সবাই আদর্শের কথা বলি, দুর্নীতির বিরদ্ধে কথা বলি, শান্তির কথা বলি, উন্নয়নের কথা বলি। অথচ যেটা আমাদের কাজ না,সেটাই করছি । অথচ আমরা, মহান জাতির, মহান জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শের অনুসারি এবং মহাননেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের কর্মী। (ক্রমশঃ) এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারন সম্পাদক,বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ৪ সেপ্টেম্বর’ ২০২১