পর্ব ৯০: “যে ইতিহাসটি বলা দরকার”: এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Monday, August 30, 2021
273 Time View
এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ
একজন ভদ্রলোক কে, আরেক পরিচিত ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলো, “ভাই আপনার অফিসটি কোথায়। তখন ঐ ভদ্রলোক জবাব দিলেন, মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের Deposite এ”। তখন প্রথম ভদ্রলোক বলে বসলেন, ” Deposit না Opposite এ “। তখন ২য় ভদ্রলোক উত্তর দিলেন, ” ঐ একই কথা, Man is mortal, মানুষ মাত্রই ভুল করে “! এটা কোন বাস্তবতা নয় , জোকস বা গল্পের অংশ মাত্র। আসলে এখন সময়টা, কেমন হয়ে গেছে। কোথায় কোনটা বলা দরকার আর কোনটা বলা যায় না, কোথায় কোনটা করা যায়, কোনটা করা যায় না,সেটা এখন আর কেউ ভাবে না। বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়া এবং সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, অনেকে বিভিন্ন স্টেটাস দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন মন্তব্য করছেন, যার অনেক গুলোই , আমাদের দলের এবং সরকারের নীতি আদর্শের বিপক্ষে যাচ্ছে। সম্প্রতিক সময়, নোয়াখালীর বসুর হাটে, ঢাকায় এবং অতিসম্প্রতি বরিশালের বিষয় নিয়ে , আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু নেতৃবৃন্দ এবং সরকারী কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরাও, ইলেকট্রনিকস মিডিয়া এবং সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন সব কথা বলেছেন, যা নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, পক্ষে এবং বিপক্ষে অনেক কথা হচ্ছে। দুর্ভাইগ্য যাদের প্রায় সকলেই আমাদের দলের নেতৃবৃন্দ এবং সমর্থক। বয়স কম হওয়ার পরও আমার স্নেহভাজন মেয়র, সাদিক আবদুল্লার অবস্থান আমার ভলো লেগেছে। প্রশাসন ক্যাডার এবং অন্যান্য ক্যাডার এর বৈষম্য নিয়ে বিগত পর্ব গুলোতে অলোচনা করেছি, একজন “লোক প্রশাসন” বিভাগের ছাত্র হিসেবে। যেখানে আমি আমেরিকার মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ফ্রেডারিক টেইলরের ” সাইন্টিফিক ম্যানেজমেন্ট তত্ত্ব ” নিয়েও বললেও, প্রশাসন এবং রাজ্নীতী যে পরস্পরের পরিপূরক তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাই এই বিষয়গুলোর উপর, যখন তখন, যে কোন পর্যায়ের, কারো কিছু বলা ঠিক না। অর্থাৎ যার যেটার জুরিসডিকশন নেই, তার সে বিষয় বলা উচিত না। অথচ অনেকে দিব্যি বলে যাচ্ছেন।এই তো কিছুদিন পূর্বে এরকম জুরিসডিকশন না জানা, একজন অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ কে ১০ জন কর্মকর্তা নিয়ে, ৩ মাসের মইধ্যে ঠিক করে দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরেও, সাসপেন্ড হয়েছেন !। ঐ ভদ্রলোক কত আন্তরিকতার কথা বলেছেন, অথচ সাসপেন্ড হলেন ! সম্ভাবত ভদ্রলোকটির কোন বিশেষ বিষয়ের উপর প্রশিক্ষনের দুর্বলতা ছিল। রাজনীতিবীদ দের বেলায় এমনটি হচ্ছে অনেক সময়। যে কথাগুলো জনসভার মঞ্চের বক্তব্য, সে ভাষায় টেলিভিশন টকশোতে বলে দিচ্ছেন। যখন বিজ্ঞ আদালতের কোনো ধরনের আদেশ নিয়ে, সেই আদালত ছাড়া বা উচ্চতর আদালত নগিযে, অন্য কোথায়ও কথা বলা যায় না, তখন অনেকেই আদালতের বাহিরে, আদালতের আদেশের সমালোচনা করেন যা সিরিয়াস আদালত অবমাননা। প্রশাসন এবং রাজ্নীতিতেও আমাদের সে বিষয়টি স্মরন রাখা দরকার। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের মত একটি ঐতীর্যবাহী দলের নেতা,কর্মী এবং সমর্থকদের জন্য খুবই অপরিহার্য। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ইতিহাসে, কোন ষড়যন্ত্র, সামরিক ক্যু,বা অন্য কোন পথে,কোন ক্ষমতা নেয়া বা কোন সুবিধা নেয়ার কোন ইতিহাস নেই।আর যখন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আজীবনের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে, জননেত্রী শেখ হাসিনা , এই শান্তির বাংলাদেশ কে, ২০৪১ এ একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরম্তন চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সে সময় আমাদের সকলকে যার যার অবস্থান থেকে সর্বাত্ত্বক ভাবে কাজ করে যেতে হবে এবং সেটি খুব মেধা,মনন এবং পরিশ্রম দিয়ে, যা কোন ভাবেই, সেই অতিরিক্ত সচিব বা অন্য সচিব বা সম্প্রতিক সময়ে নোয়াখালি বা ঢাকায়,কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের বক্তব্যের মত করে নয়। আমাদের সবচেযে বড় কথা, আমাদের মুল চেতনা মহান জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমাদের দল, সরকার এবং জাতির নেতৃত্ত্বে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর পর আমাদের কালের শ্রেষ্ট কৃষকদরদী, জননেত্রী শেখ হাসিনা। (ক্রমশঃ) এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ২৯ আগস্ট ‘২০২১