ইদানিং লেখালেখি বন্ধই করে দিয়েছিলাম। একেতো লেখালেখির অব্যাস নেই, তার উপর কোনো কিছু আয়রোনিকাল কথা বললেও, অনেকে সেটা, তার উপর লেখা বলে দোষারোপ করেন। যদিও আমার বলা ছিল, আমার অনেক গুলো লেখা,গল্প বা উপন্যাসের মত, করো সাথে, কোনো স্থান, কাল বা পাত্র মিলে গেলে ক্ষমা প্রার্থী। তারপরও পৃথিবীটা যে গোল, ২৪ ঘণ্টায় নিজ অক্ষে ফিরে আসে, সেখানে আমরা ইচ্ছে করলেও অনেক কিছু এড়াতে পারি না। এই গোল পৃথিবীটা যে সাইকেলিক অর্ডারে চলছে, তাও আমরা অনেকে, অনেক সময় ভুলে যাই। তানাহলে মাত্র ১২ বছর আগে উপজিলা নির্বাচনের মাত্র ৪ দিন আগে, এক বড় ভাইর লোকের ইশারায়, আমার নির্বাচনী গাড়ির বহরে রামদা হামলা হয় এবং ঐ বড় ভাইর সাথে ঐদিন, পটুয়াখালীর বাউফল গোলাবাড়ি মোরে গাড়ীর ক্রসিং এর সময় দেখা হয় , তখন ঐ ভাই, আমাকে উপজিলা নির্বাচন থেকে বসে যেতে বলেন। আমি বলেছিলাম, ” এখন নমিনেশন প্রত্যাহারের সময় নাই , আমি ১ ভোট পেলেও নির্বাচনের দিন পর্যন্ত মাঠে থাকবো” আরো বলেছিলাম, ” মানুষ মরে গেলেও তার “ক……………………..র,উপর …………………”। অথচ দুর্ভাইগ্য, ৯ সনে বা ১৪ সনে, ঐ ভাই, যাকে উপজিলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন, সেই ভাই, আমাকে যখন রেজা ভাই বলে সম্বোধন করেন, তখন মনটা ভরে যায় এবং যেটা সে আন্তরিক ভাবেই বলেন। আর ঐ সাবেক উপজিলা চেয়ারম্যান সাহেব, বড় ভাইকে যখন “………………………” বলে সম্বোধন করেন, তখন সত্যি মনে হয় পৃথিবীটা গোল ! আর কেন জানি আমার গোলাবাড়ির ২০০৯ সনের,সেই কথাটাই, বার বার স্মরণ হয়। এবারের লেখাগুলো,পটুয়াখালী এবং বাউফল নিয়ে। ইতিপূর্বেও দুয়েকটি পর্বে এ প্রসঙ্গ এনেছিলাম। বেশ কিছুদিন ধরে আমার একজন কাছের মানুষ, যিনি বাউফলে ছাত্র রাজ্নীতী থেকে আওয়ামী লীগের রাজ্নীতীর সাথে আছেন শুখে এবং দুঃখে। যিনি ২০০৮ এ আমাকে উপজিলা চেয়ারম্যানে প্রার্থী হতে বাধ্য করেছিলেন এবং যাতে তার আন্তরিকতার কোন অভাব ছিলো না এবং আমার উপজিলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রায় শেষ পর্যন্ত আমার নির্বাচনী প্রচারে ছিলেন। কিন্তু আমার ঐ বড় ভাই, যাকে আমার পিতা মরহুম আব্দুল আজিজ খন্দকার, (সাবেক এম পি এ, এম সি এ এবং এম পি) ১৯৭৯ সনে, আওয়ামী লীগের এম পি নমিনেশন পাওয়ার ৩ দিন পরে, এম পি নমিনেশন সেক্রিফাইস করেছিলেন, যিনি ১৯৯৬ সনে, বাউফলে আওয়ামী লীগের এম পি প্রার্থির বিষয় ঢাকার কলাবাগানের মরহুম ফজলুর রহমান রাজু ভাইর ডলফিন অফিসে বসে, তককালীন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির, সভাপতিত্ত্বে, আমাকে ৯৬ নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য লিখিত সমর্থন করেছিলেন এবং যে সমোঝোতা পত্র আমার সেই বড় ভাই এবং তৎকলীন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহেব, জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে জমা নাদিয়ে, কোথায় লুকিয়ে রাখলেন, না ছিড়ে ফেললেন এবং যার একটি ফটোকপি, আমার একজন প্রিয় জাতীয় নেতা, গলায় ঝুলিয়ে রাখতে বলেছিলেন। সেই বড় ভাই, যখন জাতীয় সংসদে একটি বিশেষ দায়ীত্ব পেলেন, তার পরের দিন থেকেই, সব যেন কেমন হয়ে গেলো, ঐ মোতালেব ভাইকেও আর নির্বাচনে পাইনি আর অন্য ভাইদেরকেও পাইনি। অথচ বাউফলের প্রায় সকল আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আমাকে সমর্থন করেছিলেন এবং কারো কোন আন্তরিকতারও অভাব দেখিনি। অথচ ২০০৯ সনের,ঐ উপজিলা নির্বাচনের ৩ দিন আগে, বাউফলের নওমালা স্কুলে, আমাদের বর্তমানের সন্মানিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বাড়ির কাছে, রাত ৯ টা পর্যন্ত প্রায় ৮০০ লোক নিয়ে মিটিং করেছি, সেখানে, আমার ঐ বড় ভাইর আমলে’ উপজিলা নির্বাচনে, মাত্র ৩ ভোট পেয়েছিলাম। অথচ ঐ পুরো বাউফল সহ ঐ এলাকায়, আমার আব্বাই ১৯৫৮ সন থেকে পটুয়াখালী মহাকুম আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে এবং পরে পটুয়াখালী জেলা হলে, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে আওয়ামী লীগের ভিত্তি গড়েছেন। আর ঐ যে ভাই, এখন উপজিলা চেয়ারম্যান এবং বাউফল উপজিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, যাকে আমি ২০০৯ সনে এবং পরে ১৪ সনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে, নির্বাচন করার অনুরোধ করেছিলাম এবং যিনি মূলত জোর করে ২০০৮ সনে আমাকে উপজিলা চেয়ারম্যান প্রার্থী করেছিলেন,হা সেই মোতালেব হাওলাদারই, যখন বাউফলের বিগত ইতিহাসের ঘটনা গুলো, তার ফেসবুক আইডিতে ধারাবাহিক ভাবে, বলে যাচ্ছেন, বাউফল কার সম্পত্তির মত, কারা বরিশালে ৭৫ এর ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে মিছিল করেছিল, কারা, সিদ্দিক ফরাজীকে উপজিলা চেয়ারম্যান প্রার্থী করে, আবার বড় ভাইর, বড় ভাইকে দাড় করিয়ে, বি এন পির প্রার্থীকে কে জিতিয়েছেন, কারা আওয়ামী লীগের দুর্দিনের নেতা জসিম ফরাজী, এডভোকেট ইউনুস, মজিবর মুন্শি কে রাজ্নীতী থেকে বিদায়ের ষড়যন্ত্র করেছে। অপর দিকে বড় ভাইয়ের পক্ষেও, উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারের বিরুদ্ধে হুমকি দিচ্ছে, তার অবস্থায়ও, সিদ্দিক ফরাজী, জসিম ফরাজী, মজিবর রহমান মুন্শির মত অবস্থা করে দেবেন। বিষয়টি কতো মারাত্তক ! অথচ ভাবা যায়, ঐ মোতালেব হাওলাদারই এতদিন বাউফল উপজিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে, সকল কাজ কর্মের মইধ্যমনি ছিলেন এবং তিনিই মূলত উপজেলা আওয়ামী লীগ সংগঠনটি সেই ধরে রেখেছেন। অথচ তার মুখে সত্যি ঘটনা গুলো শুনছি, আবার তার বিরুদ্ধে কি করা হবে, তাও শুনছি। তারপরও পৃথিবীটি গোল স্বীকার করছি না। আর সে কারণেই বড় ভাই, যার সাথে মিলে ১৯৯৬ সনে আমার সমর্থনের আওয়ামী লীগের এম পি মনোনয়নের সমঝোতা পত্রটি গায়েব করে দিয়েছেন, সেই মুরুব্বি, যিনি আমার পিতার নেতৃত্তে পটুয়াখালী তে রাজ্নীতী করেছেন, তিনি ঐ বড় ভাই সম্পর্কে এখন বলেন, ” তোদের ওখানে কি কোনো ” ………মানুষ নেই”……………..করছো “আসলে পৃথিবীটা এমনই, সবই সাইকেলিক অর্ডারে ঘুরছে, অনেকে মানতে না চাইলেও । আমাদের আমলেই, আমরা কত কিছু দেখে যাচ্ছি, যেখানে কোনো বড় ভাইর জন্য ভিন্নতা নেই !। যেটাকে আমরা নিয়তী বলি। ( ক্রমশঃ এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ১৬ জুলাই’ ২০২১।