December 14, 2024, 3:17 am
শিরোনামঃ
‘আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে’ বলা সেই ইউএনওকে পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের মানববন্ধন ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ ভারতকে প্রতিহত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াই যথেষ্ট: জয়নুল আবদিন ফারুক এবার ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ দখলের হুমকি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতার তথ্য উপদেষ্টা নাহিদের বক্তব্য রাজনীতিবিরোধী: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে, আজ অথবা কাল মন্তব্য করায় সদরপুরের ইউএনও আল মামুন প্রত্যাহার যাকে ‘র’ এজেন্ট বলছেন, তাকেই সবচেয়ে বেশি পাশে পেয়েছিঃ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ হারিয়ে যাচ্ছে বাউফলের ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্য টানা দ্বিতীয়বার ডিএমপির শ্রেষ্ঠ অফিসার (ইন্সপেক্টর তদন্ত) মোঃ হাফিজুর রহমান ভাসানী এক মহীরুহের অগ্নিক্ষরা সংগ্রামী জীবন : বাংলাদেশ ন্যাপ

পর্ব ৮১: “যে ইতিহাসটি বলা দরকার” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Tuesday, May 24, 2022
  • 228 Time View
cloudscape in the morning

এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ

বিগত ৮০ পর্বের লেখা দেখে, অনেকে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। বিশেষ করে,একজন মানণীয় প্রতিমন্ত্রীর দুর্দিনের বিষয় নিয়ে কিছু মন্তব্য, ১৯৭৫ সাল থেকে ৮১সনের দুর্দিনের কথা, একজন আওয়ামী লীগের মাননীয় সাংসদ এর টকশোর কথা, পত্রিকার হেড লাইন ” সরকারে আওয়ামী লীগ এবং ক্ষমতায় বি এন পি” নিয়ে এবং একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে, “শেখ মুজিব” বলে তার ছবি টাঙ্গানো নিয়ে বিরূপ মন্তব্য নিয়ে, যে কথাগুলো উপস্থাপনা করেছি, সেই প্রেক্ষিতে আমার কাছের মানুষ, একটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, তিনি আমাকে আমার নিজের সম্পর্কে, ১৯৭৫ থেকে ৮০ এর ছাত্র রাজনীতি এবং কৃষক লীগ নিয়ে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেছেন। আসলে জীবিত মানুষের ইতিহাস কেউ পড়তে চায় না বা বিশ্বাসও করেনা। তারপরও ওই অধ্যক্ষের কথায় লেখা। এমনেতেই আমার শিক্ষকদের প্রতি দুর্বলতা আছে। আমার আব্বা মরহুম আব্দুল আজিজ খন্দকার ১৯৩৮ সনে মেট্রিক পরীক্ষা দিয়ে, রেজাল্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত,বাউফলের একটি ঐতিহ্যবাহী হাইস্কুলে ৩ মাস অঙ্কের শিক্ষকতা করেছেন। আমার শশুর ঢাকার রেসিডেন্টশিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। আমার ডাক্তার ছেলে এবং তার ডাক্তার স্ত্রী একটি মেডিকাল কলেজে ১ বছর শিক্ষিকতা করেছে। আমার স্ত্রীও একটি সরকারী কলেজের প্রফেসর। আমারও মাঝে মাঝে শিক্ষকতা করতে ইচ্ছে করে, কিন্তু এখন আমাকে কেউ কি নিবে !। সৈয়দ রেজাউর রহমান স্যার, একবার ধানমন্ডি “ল” কলেজে পার্টটাইম শিক্ষিকতা করার জন্য বলেছিলে। রাজ্নীতীর কারনে হয়ে উঠেনি। অনেক কথা বললাম। আসলে ১৯৭৫ থেকে ৮০ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতি যারা করেননি বা দেখেননি, তারা অনেক কিছুই দেখেননি। আওয়ামী লীগের দুর্দিন কি, তারাই ভাল বলতে পারবেন। অথচ ঐ সময়ে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বা ছাত্রনেতা ছিলেন,
যাদের সাথে কত দুর্বিসহ জীবন কাটিয়েছি, যাদের সাথে কত বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি, তাদের মইধ্যে, এখন যারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দায়ীত্তপুর্ণ পদে আছেন, তাদের অনেকেই, কেন যেন ভলো করে আমাকে চিনতে পারেননা। ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রথম কাউন্সিলে আমি দপ্তর সম্পাদক হই। দাদা মুকুল বোস সভাপতি হন, মহিবুর রহিম বাবুল সাধারন সম্পাদক হন। ৭৫ এর পর ১৯৭৯ সনের প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ” কাদের-রবিউল ” প্যানেলে সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলাম। কত অন্দোলণ সংগ্রামের ইতিহাস। অথচ কেন যে তারা চিনতে পারেন না, তাও বুঝতে পরি। আর যাদেরকে, এখন আর দেখিনা, সেই জোহরা তাজউদ্দিন আপা, আব্দুল মালেক উকিল সাহেব, আব্দুর রাজ্জাক ভাই, এস এম ইউসুফ ভাই, সফিকুল আজিজ মুকুল ভাই, সৈয়দ আহমেদ ভাই, ফকির আব্দুর রাজ্জাক ভাই ‘ ইয়াহিয়া পিন্টু ভাই, শাহ মোহম্মদ আবু জাফর, গোলাম সরোয়ার ভাই, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন,রবিউল মোক্তদির চৌধুরী, ক্ষ ম জাহাঙ্গীর ভাই, বহ্লুল মজ্নুন চুন্নু ভাই,কাজী ইকবাল ভাই,বেঞ্জির আহমেদ ভাই, সামসু ভাই, গোলাম মহিউদ্দিন ভাই, রকিবুর রহমান ভাই,হবিবুর রহমান খান ভাই, শাহ নেয়াজ চৌধুরী আজাদ ভাই, মহিবুর রহমান বাবুল ভাই, রুমি ভাই, দিজেন দা, সালাম ভাই, অনেকের সাথে এখন আর দেখা হয় না। কারন তাদের অনেকেই এখন, এই ধরাধামে নেই। যারা নেই তাদের জন্য বেহেস্ত ও স্বর্গ কামনা করছি। আর যারা বেচে আছেন,যাদের অনেকেরই ভলো রাজনৈতিক অবস্থানে নেই, তাদের নিয়ে কিছু বলতে চাইনা। কিছুদিন পূর্বে আমার কাছের একজন মানুষ, যার ৭৫ এর পর অনেক অবদান ছিলো এবং ভলো দাইয়ত্ত্বেও ছিলেন তিনি কয়েকবার। কিছুদিন পূর্বে তাকে এক জায়গায় পেয়ে বললাম, কোথাকার কোন “,,,,,,,,,,,,,,” সে নাকি, ওমোক সংগঠন এর ওমোক পদে ছিলেন, এখন শুনি। তিনি কোনো প্রতিবাদ করেননি। তিনি প্রতিবাদ করবেন না,বুঝেই কথাগুলো বলেছি। আসলে জীবিত মানুষের, অনেকের ইতিহাস এমনটাই হয়। বছর ২ আগে, আমার একজন কাছের মানুষ, যিনি পেশায় একজন বিজ্ঞ আইনজীবী এবং সাবেক মাননীয় প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। তিনি প্রায়ই আমার হাইকোর্টের চেম্বারে আসেন। একদিন চেম্বারে বসে, ১৯৭৫ থেকে ৮০ পর্যন্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির নিয়ে অনেক কথা বলে যাচ্ছিলেন। যার অনেকগুলো কথাই সঠিক ছিল না। আমি নীরবে শুনছিলাম। তারপরও আমাকে বলছিলেন, জানেন এগুলো ?। আমি বললাম, না ভাই, আমি ঢাকাই এসেছি ৮১এর পরে। উনি বললেন, “সে জন্যই তো আপনি জানেন না ” !। এখন অনেকেই যেন এধরনের কথা বলছেন। নিজেদের জাহির করার জন্য, অনেক রাজনৈতিক মানুষই এখন এমনটি করেন। এইতো বছর ২ আগে, এক ভদ্রমহিলা, যিনি এখন মাননীয় এম পি। আমার সাথেও তার পরিচয় ছিল। তার স্বামী একদিন আমার চেম্বারে আসলেন, বিভিন্ন আলাপ প্রসঙ্গে এক সময়,গর্ভের সঙ্গে বললেন, জানেন আমার স্ত্রী, ২০০৪ এর গুলিস্থানে জননেত্রীর উপর গ্রেনেড হামলার ঐ প্রোগ্রামে, নেত্রীর খুব কাছে ছিলেন। আমি বললাম, না ভাই, আমি ২০০৪ এর পর ঢাকা এসেছি !। উনি বললেন, এজন্যই তো আপনে জানেন না। আসলে অনেকেই এখন এমনটি বলছেন। একজন আরেক জনকে, হাইব্রিড বলছেন, নব্য আওয়ামী লীগার বলছেন, সুবিধাবাদী বলছেন। কিন্তু কে নব্য, কে সুবিধাবাদী, কে হাইব্রিড, সেটা কে বিচার করবে, সেটাই বুঝতে পারছি না।(ক্রমশঃ) এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ৯ জুলাই ‘২০২১।

শেয়ার করুন
More News Of This Category
ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102