পর্ব ৭২: “যে ইতিহাসটি বলা দরকার” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Tuesday, March 29, 2022
206 Time View
এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ
ইদানিং আমাদের অনেকে, নিচু স্থর থেকে উচু স্থর পযন্ত, সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে,এমন সব লিখছেন বা শেয়ার করছেন, তা তারা আওয়ামী লীগের হয়ে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক হয়ে, তা বলতে পারে কিনা, বা তা তাদের জুরিসডিকশনে পরে কিনা, তাও ভাবছেন না। এখানে একটি পুরাতন কথা মনে পরে যায়। পিছনের লেখায়ও বিষয়টা এনেছিলাম। ২০০৮ সনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন, ব্যারিস্টার ময়নুল হোসেন। ঐ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলের অডিটোরিয়ামে একটি খেলার অনুষ্টানে, একটি অপ্রতিকার ঘটনায়, একটি বিশেষ বাহিনীর কিছু সদস্যের সাথে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রের সাথে মারামারি হয়, যেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন। মারামারির বিষয়টা বাহিরের অনেকেই জানত না, এমনকি প্রশসন বা রাজনৈতিক ভাবে উপরের পর্যায়ও বিষয়টা গুরুত্ত দেয়নি। এমনই সময় কেয়ারটেকার সরকারে উপদেষ্টা, ময়নুল হোসেন সাহেব,সকল টেলিভিশনে সাক্ষাতকার দিয়ে বলে দিলেন, বিশেষ বাহিনীর সদস্যদেরর পাছায়, ছাত্ররা লাথি মেরেছে, এটা কি মেনে নেয়া যায় ?। অথচ ঐরকম খবর করো মুখেই আগে শোনা যায়নি। অথচ ঐ ব্যারিস্টার সাহেবের কথার কারনে, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে, ঐ বাহিনীর সদস্যদের সাথে ছাত্রদের মারামারি শুরু হয়ে যায় এবং মানুষের মনে এক ভয়ানক আতঙ্ক শুরু হয়ে যায় । ঐ ঘটনায় বহু ছাত্র গ্রেপ্তার হন, এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্মানিত অধ্যাপকও গ্রেপ্তার হন। সারা ঢাকা শহরে একটি ত্রাহি অবস্থা শুরু হয় অথচ সামান্য ঘটনা থেকে সেটার উত্পত্তি।আমাদের সমাজজীবনে, রাষ্টীয় জীবনে, এমন অনেক ঘটনা ঘটে, যা অনেক সময় মারাত্তক আকার ধারন করে। বর্তমান সময়ে, আমদের অনেকেই এমন সব মন্তব্য করছেন বা ফেসবুকে শেয়ার করছেন, এর মাঝে অনেকগুলোই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের জন্য কতটুকু যৌক্তিক সেটা দেখার কে আছেন। প্রসঙ্গটা আনলাম এজন্য, কিছুদিন পূর্বে একজন জাতীয় নেতা সম্পর্কে, একটি সহযোগী সংঠনের কিছু নেতৃবৃন্দ ফেসবুকে স্টেটাস দিয়ে লিখেছেন, আমাদের স্টানবাজ নেতাই আমাদের বড়শক্তি। ঐ লেখায় আরেক জন নেতা শেয়ার করেছেন। ভালোবাসার আর স্রদ্ধার মাত্রা কোথায় গিয়েছে। হয়তো না বুঝেই বিষয়টি করেছেন। ২দিন আগে, একটি সহযোগী সংগঠনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেলা পর্যায়ের এক কর্মী, যাকে আমি সহজ সরল বলে জানি, অথচ সে তার ফেসবুকে হাসানুল হক ইনু ভাই এবং মতিয়া আপাকে নিয়ে,এমন স্টেটাস দিয়েছে, যা তার পর্যায় বা তার অনেক উচু পর্যায়ও সেটা গ্রহনযোগ্য নয়। এমন অনেক অনেক কিছু নিয়ে এস্টেটাস দিচ্ছে যা খুবই মারাত্তক এবং যা আমাদের কোন সংগঠনের কোন গঠনতন্ত্র বা নীতিমালা পারমিট করে না। এছাড়া আবার অনেক সময়, ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করার বিরাট প্রচার দেখিয়ে থাকেন। কিভাবে যে তারা সেটা আবার কখনো ৪০,কখনো ৫০ আবার কখনো ১ কোটির হিসাব কেমনে বানায়, তাও বোঝা যায় না। কেউ এক ছবিকে আরেকটি মিটিং দেখিয়ে পোস্ট করেন। কেউ পুরাতন ছবি লাগিয়েও পোস্ট দেয় । বোঝাই যায় না। বছর ২ আগে, আমার একজন কাছের মানুষকে একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের “নির্বাচন পরিচালনা কমিটির” সদস্য করায়, আমার আরেকজন কাছের মানুষ, ঐ নেতাকে নির্বাচন “মনোনয়ন বোর্ডের” সদস্য করায়,ফুল দিচ্ছেন দেখিয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট দিয়েছেন। পরে তাকে আমি ফোন করে বললাম, ফুল কখন দিলেন। তখন তিনি বললেন ওটা পুরাতন ছবি ছিল, ঐটাই পোস্ট করেছি। আমি বললাম উনি তো নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হয়েছেন, মনোনয়ন বোর্ডের নয়। বললেন ভুল হয়ে গেছে। আসলে সব কিছুতেই যেন ক্যামন হয়ে যাচ্ছে। অথচ জননেত্রী শেখ হাসিনা কত নিরন্তন চেষ্টা করছেন দেশটা কে এগিয়ে নিতে। অথচ কিছু লোক নিজেদের আখের গুছিয়ে, বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করে জনগনকে আওয়ামী লীগ থেকে বিচ্ছিন্ন করার সুগভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। আবার অনেকে নাবুঝেও করছেন। কেউ কেউ নিজের অবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য কোন নেতার আশীর্বাদ নেন। আর যখনই কোন সুবিধা পান তখন, বিভিন্ন বড় বড় তোষামোদি বক্তব্য রাখেন, আর যখন অবস্থা খারাপের দিকে যায, অন্যের তুলনায় ভালো পদ পদবী না পান, তখন অন্যরকম শুরু করেন। অনেকেই আছেন,যারা মঞ্চে একরকম কথা বলেন, আবার মঞ্চের নিচে নামলেই, তখন অন্য রকম কথা বলা শুরু করেন। এরকম স্ববিরোধী কথা, উচ্চ পর্যায়েরও অনেকে বলেন। আসলে সবাই যেন কেমন হয়ে গেছেন। ক্রমশঃ এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশে কৃষক লীগ ।১৮ এপ্রিল,২০২১