এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ
বিগত পর্বগুলোতে বলেছিলাম, আমেরিকান রাষ্টবিজ্ঞানী, ফ্রেডারিক টেইলর তার সাইন্টিফিক ম্যানেজমেন্ট তত্ত্বে যে “মোটিভেশন এন্ড প্রডাকটিভিটি” এর কথা বলেছেন এবং যেখানে তিনি প্রশসনিক ব্যাবস্থাপনা প্রসঙ্গে বলেছেন। কিন্তু বিষয়টি যে রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ও সমভাবে প্রযোজ্য তা বলাই বাহুল্য। ইদানিং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্ধ,তাদের মূল্যয়ান নিয়ে অনেক কথা বলছেন, পত্রিকায় ও সমাজিক যোগযোগ মাধ্যমে। বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবং সহযোগী সংগঠনের নেত্রীবৃন্ধ এবিষয় প্রায়ই বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। বলছেন জামাত,রাজাকার,বি এন পি,হাইব্রিড আর ৭৫ পরবর্ত্তী বঙ্গবন্ধু বিরোধী অনেকেই আওয়ামী লিগের বিভিন্ন পদ দখল করে আছেন। প্রশাসনেও আছেন অনেকে। কেন যে এগুলো হচ্ছে,তাও বুঝা যাচ্ছে না। অথচ জননেত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয় কখনো কোন ছাড় দেন না। তরপরও একথা গুলো বার বার সবাই বলছেন। কেন এমনটি হচ্ছে। অনেকেই দলের গঠনতন্ত্র এবং মুলনীতির ধারায় চলতে চাচ্ছেন না। এগুলো নিয়ে কোন গবেষণা পরিচালনা করা যায় কি,সেটাও কেউ ভাবছেন না। জননেত্রী শেখ হাসিনার যখন প্রতি মুহুর্তে ৪১ এর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মহান ব্রত নিয়ে দিনরাত নিরন্তন কাজ করে যাচ্ছেন, তখন তার কাজ ম্লান করার জন্য,কিছু লোক উঠেপড়ে লেগেছেন। দুর্ভাগ্য যাদের মাঝে আমাদের দলের লোকও কম না। ফেসবুক এ ছবি দিয়ে, কিছু দৃশ্যমান ইত্যাদি ধরনের প্রভৃতি, আর পুরাতন নতুন ছবি ছাপিয়ে কাজ দেখাচ্ছেন। অথচ কেউ কেউ খুব কম সময়ই অন্দোলণ সংগ্রাম আর প্রগ্রামে দেখা যেতো, তারা বা তাদের পক্ষে অনেকে বগল দাবড়িয়ে বলছেন,ওমুক সংগঠনের অবিভাবক, ওমুক সংগঠনের নিউক্লিয়াস, কিংবদন্তি, অর্জন, গর্জন ইত্যাদি। আবার কিছু ব্যাক্তি এমনসব ভুল স্টেটাস দেন, যার অর্থ বুঝে বা নবুঝে সেটাকে শেয়ার করছেন। মনে হয় ওরাই সব কিছু করছে। এর আগে কেউ কিছু করেনি। আসলে সবাই যেন ক্যামন অস্থির হয়ে পড়েছেন। যার যখন যা মনে হচ্ছে, তাই বলছেন। নিয়ম নিতী মানছেন না,গঠনতন্ত্র মানছেন না। আবার উপর থেকে কেউ বলছেনও না। উপরের কথাগুলো আমার বলা কথা না। এইতো মাত্র কদিন আগে, আমার এক কাছের মানুষ, আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, ধানমন্ডি অফিসে বসে বলছিলেন, যখন বিশ্বের ১৩০ টি দেশ এখনো করোনার টিকা পায়নি, সেই সময় আমাদের নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা, বিনা মূল্যে লক্ষ লক্ষ মানুষকে কত সুন্দর ব্যবস্থাপনায় টিকা প্রদানের ব্যাবস্থা করেছেন। অথচ আমরা কি করছি প্রতিদিন। কোথায় নিয়ে যাচ্ছি আমাদের রাজ্নীতীকে।জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমদেরকে যে আদর্শের পথ দেখিয়েছেন, আমরা দিনে দিনে কি সেখান থেকে সরে যাচ্ছি। ৩০ লক্ষ শহীদের যে বাংলাদেশ, যেখানে মানুষের জন্য রাজ্নীত, দেশের জন্য রাজনীতি,অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য রাজ্নীতি,সেই বাংলাদেশে আমরা অনেকে নিজেদের ভাইগ্য উন্নয়নের রাজনীতি করছি এবং নিয়ম, নিতী, আদর্শের ব্যাপ্তয় ঘটিয়ে। অপ্রতিরোধ্য ভাবে সেই ব্যক্তিরাই এগিয়ে যাচ্ছেন, সে ভাবেই বিভিন্ন যোগযোগ মাধ্যমে বলার চেষ্টা করছেন। অথচ সমাধানের পথটা কেউ বলছেন না। ( ক্রমশঃ ) এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ২ মার্চ ‘ ২০২১।