এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ
আসলে রাজ্নীতীর কোন শতশিদ্ধ সিলেবাস নেই। এক সময় গণতন্ত্র,সমাজতন্ত্র, সাম্যবাদ রাজতন্ত্র, সামন্তবাদ, অটোক্রেসি, ডিক্টেটরশিপ সব কিছুর একট সঙ্গা ছিল। এখন এগুলোর কেউ ধার ধারে না। যে যার মত করে চালাচ্ছে এবং তার তাদের মত করে নাম দিচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্ট ( বি এন পি) যার সাবেক নাম ছিল “জাগদল” ,অতপর “বাজাদল” ( বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) সংগঠনটি সম্পর্কে আমার সম্যক ধারনা নেই। তাদের রাজ্নীতীর লক্ষ্য কি, সমাজ, রাজ্নীতী, অর্থনীতি বা সামগ্রিক নীতি সম্পর্কে, অনেকের মত আমারও ধারনা নেই। আসলে পৃথিবীর ইতিহাসে যে রাজনৈতিক বা সমাজিক সংগঠন গুলো সৃষ্টি হয়েছে,তার সবগুলো কোন না কোন ইতিহাস আছে। আছে প্রেক্ষাপট, আছে নেতা বা নেতৃত্ত্ব। একটি রাজনৈতিক দল বা সামাজিক সংগঠন যারা করছেন, তাদেরই প্রকৃতিই বলে দেবে, তার সংগঠনটি কি প্রকত্রির হবে। বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের দেশ ও মানুষের অধিকার নিয়ে জন্ম নেয়া দল,আর সামরিক ক্ষমতার মাধ্যমে, ক্ষমতায় যেয়ে,ক্ষমতাকে স্থায়ী করার জন্য, যখন কোন দলের সৃষ্টি করা হয়, তখন তার ধারাই আলাদা হয়। আর সে সংগঠনের দ্বারা আর যাই হোক, বিরোধী দল করা সম্ভব নয়,সম্ভব নয় জনগণের অধিকার নিয়ে অন্দোলন সংগ্রাম করা । আর যে কারনে বি এন পি আজকে বিরোধী দল করতে পারছে না। তারা কি একজন নেতার নাম বলতে পারবেন, যার জনগনের দাবী নিয়ে বা সরকারের ব্যার্থতা নিয়ে কোন রাজ্নীতী করার যোগ্যতা আছে, সাহস আছে । হয়তো সে কারনেই তাদের দন্যতা। তাদের সবসময় ভাবনা থাকে, কি ভাবে শর্টকার্ট উপায় ক্ষমতায় যাওয়া যায় । বি এন পি নামের সামরিক গর্ভে জন্ম নেয়া দলটির অস্তিত্ব অনেক আগেই শেষ হয়ে যেতো। ইতিপূর্বে ক্ষমতায় যাওয়া এমন দল আরো আছে। কিন্তু তাদের অবস্থা আমরা সবাই জানি, কি ভোটের রাজ্নীতী বা রাজনৈতিক দল হিসেবে অস্তিত্ত্বের প্রসংগে। বি এন পি আছে অপেক্ষায় অথবা সুযোগে,নেগেটিভ রাজ্নীতীতে, কখন মানুষ আওয়ামী লীগের উপর বিরক্ত হয়ে, নেগেটিভ ভাবে আওয়ামী লীগ বিরোধী,একটা দলে ভোট দেবে এবং সে ভোট তারা পাবে। এটার নামও রাজ্নীতী। এটা রাজ্নীতীর কোন তত্ত্বে পরে, সেটা তারাই ভাল বলতে পারবে। অপেক্ষা করুন সেই নীতিতে। অন্তত আর কোন জালাও পোড়াও দয়া করে করবেন না। তবে ভুল স্বীকার করা কোন অপরাধ না। আমেরিকায় দেখেছি, খুব কড়া আইন, কেউ ভুল করে ভঙ্গ করলে এবং সরি বলে তখন, তাকে মাফ করে দেয়া হয়। ম্যাডাম খালেদা জিয়া আজকে যদি ঘোষনা দিয়ে বলেন, “২০১৪ সনের আগে বা পরে, তাদের হরতালের নামে, জালাও পোরাওর নামে যে সন্ত্রাস, বোমাবাজি,প্যাট্রল বোমা, আগুন সন্ত্রাস এবং হত্যাযজ্ঞ করা হযেছে, তার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাই “। তাহলে মানুষ বি এন পির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার চিন্তা করতে পারেন। এতে দেশের মানুষেরও ভালো হয় আর বি এন পিও একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্টা করার সুযোগ পেতে পারে। (ক্রমশঃ) এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ১৭ ফেব্রুয়ারী ‘২০২১