March 23, 2023, 12:09 pm
শিরোনামঃ
জন্মদিনে শুভেচ্ছায় সিক্ত নাঈমুল হাসান রাসেল উত্তাল মার্চের গনহত্যার স্বীকৃতি ও পাকিস্তান বাহিনীর বিচার বেলাবো-মনোহরদী আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থী হচ্ছেন তুলি রাজবাড়ীতে দশ গ্রাম হেরোইন সহ মিলন কসাইকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ ১/১১ সরকার বাংলার মাটিতে কায়েম হতে দেয়া হবে নাঃ জাহাঙ্গীর কবির নানক ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন করুন : বাংলাদেশ ন্যাপ সমস্যার আগে সমাধান করলে নাকি রাজনীতি অর্থবহ হয় না  রাজধানী মোহাম্মদপুর টাউন হলে, ‘মুনিয়া ফাস্টফুড কর্নার’নামের নতুন ফাস্টফুডের দোকান উদ্বোধন ঝিনাইদহ ইসলামী ব্যাংকের সুদ করবারি আবু সাঈদ এখনো বহাল তবিয়তে

পর্ব ৬০: “যে ইতিহাসটি বলা দরকার” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা

Reporter Name
  • Update Time : Tuesday, February 7, 2023
  • 195 Time View

আমার শ্রদ্বেয় শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য,সম্প্রতিকালের কয়েকটি মন্তব্য আমার ভীষণ ভাবে দাগ কেটেছে। বছর খানেক আগে তিনি বলেছিলেন, জি পি এ পদ্ধতি বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি কি ভাবে ঐ কথাগুলো বলেছেন তা আমি অতটা জানতে পারিনি। কয়েক দিন পূর্বে আরেকটি মন্তব্য করে বলেছেন,এখন আর ভাল মানুষদের জন্য রাজ্নীতী নেই। রাজ্নীতী বিষয় তার ব্যাখ্যা গুলো আমি দেখেছি। দেশের সর্বচ্চ একটি বিশ্বিদ্যালযের, দীর্ঘ দিনের উপাচার্য এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন প্রতিভবাান মানুষ যখন, কোন কথা বলেন,তখন অবশ্যই আলোচনার অপেক্ষা রাখে। তাহলে সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান যে বলেছিল, “আই উইল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফরদি পলিটিসিয়ান্স ” তারই আদর্শ অনুসরণ করেই কি এগুলো হচ্ছে কিনা, সেটাও আলোচনার অপেক্ষা রাখে। আসলে কোথায় যাচ্ছি আমরা তা বুঝতে পারা যাচ্ছে না। যেভাবে ইদানিং অনেক পুরাতন রাজ্নীতীবিদ গন, যে ভাষায় কথা বলছেন,তা ভাবাই যায় না। কেউ কেউ এমন করে কথা বলছেন, যা খুবই কষ্টকর। যারা দল,নিতী,নেতা মানছেন না অথচ তারা দীর্ঘদিন ধরে তারা এই দলটি করছেন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন বিভাগের ছাত্র ছিলাম। প্রায় ৩৯ বছর আগে মাস্টার্স করেছি। যতদূর মনে পড়ে আমাদের একটি সাবজেক্ট ছিল “কমপারেটিভ পাবলিক এডমিনিষ্ট্রেশন” সেখানে একজন আমেরিকান রাষ্টবিজ্ঞানী ফ্রেডারিক টেইলর, তার ” সাইনটিফিক ম্যানেজমেন্ট গ্রহন্তে” প্রশাসন ব্যাবস্থাপনা নিয়ে অনেক গুরুত্তপুর্ণ কিছু তত্ত উল্লেখ করেছেন। তিনি ” Motivation and productivity” তত্তে বলেছেন, মানুষকে প্রশাসনিক কাজে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য তাকে মোটিভেশন করতে হবে এবং সে জন্য তার পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন নিড ফুলফিল করতে হবে। একজন মানুষ যখন প্রথম কোন কাজে যোগ দেয়, তখন তার জীবনধারনের জন্য ফিজিওলোজিকাল নিড চায়। এরপর তার পর্যায়ক্রমে তার কাজের উন্নয়নের সাথে সাথে তার বিভিন্ন নিড ফুলফিল করতে হয়। এই ধারাবাহিক নিড গুলো হচ্ছে, ফিজিওলজিকাল নিড, সেফটি নিড,বিলংগিং নিড,এষ্টিম নিড এবং সবশেষে সেল্ফ একচুয়ালাইজেশন। এবং এ নিডগুলো একজন কর্মী বা কর্মকর্তারা কাজের ধারাবহিকতায় সন্তশ্টি হয়ে এবং সন্তশ্টির কাজ করলে, ধারাবাহিক ভাবে ফুলফিল করতে। যদি এর কোনো ব্যাপ্তয় ঘটে, তখন একজন ব্যক্তি কাজ করতে উত্সাহ হারিয়ে ফেলে। ফলে তার দ্বারা কোনো কাজের প্রডাকটিভিটি হয় না। যদি এমন হয়, কোনো ব্যক্তি যখন কাজের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে বা কাজে অবিস্বস্ত হয়ে যায, তখন তাকে তার পদে রাখা যায় না। আবার যখন একি যোগ্যতার দুই ব্যাক্তি কেউ একজন উচ্চ পদে চলে যায়, তখন নিম্ন পদের ব্যাক্তি মানুষিক ভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পরে। তখন তার দ্বারা আর আশানুরুপ কাজ করা সম্ভব হয় না, এটাই মানুষের স্বভাবিক বাস্তবতা। এখানে প্রশঙ্গক্রমে বলে নেই, আমার স্ত্রী সাজেদা বেগম, বর্তমানে অধ্যাপক। তার যখন ১৯৯৬ সনে বি সি এস পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে, লেকচারার হিসেবে চাকুরি হয় এবং বরিশালের সরকারী চাখার কলেজে পোস্টিং হয়,তখন আমার মেঝ ছেলের বযস মাত্র ৫ মাস। তাকে ৭ দিনের মইধ্যে চাখারে জয়েন্ট করতে হবে। ঐ শিক্ষা মন্ত্রনালযের সিনিয়র সহকারি সচিব, ভদ্রমহিলাকে বলছিলাম, আমরা শেষ তারিখে বরিশালে লঞ্চে যেয়ে চাখারে জয়েন্ট করবো।তিনি বললেন, কেন আগামীকাল জয়েন্ট করেন।আমি বললাম আমার ৫ মাসের বাচ্চা আছে তার উপর আজকে লঞ্চে যাওয়ার সময়ও নেই। তিনি বললেন,কেন বরিশালে বিমান যায়, আপনারা কালকেই জয়েন্ট করেন। ওনার কাছ থেকে কারণটাও জানলাম। যখন ভবিষ্যতে কোন প্রমোশন, ট্রেনিং বা অন্যকোন বিশেষ সুবিধার বিষয় বিষয় আসবে, তখন যার জয়েন্ট এর সিরিয়াল আগে থাকবে সেই, সেই সুবিধাগুলো আগে পাবে। ঐ ভদ্রমহিলা অনেক বড় কর্মকতা হয়েছেন। আমরা শেষ পর্যন্ত ৫ মাসের বাচ্চা রেখে ১৭ সিটের এরোবেঙ্গল প্লেনে বরিশারের চাখার শেরে বাংলা একে ফজলুল হক সরকারি কলজে আমার স্ত্রীকে জয়েন্ট করিয়ে ঐ দিন বিকেলে ঐ বিমানে ঢাকা আসি। কথাগুলো এজন্য আনলাম, চাকুরির মত রাজ্নীতীতেও টেইলরের সাইনটিফিক ম্যানেজমেন্ট তত্ত অনেকটাই প্রসাঙ্গীক। ফলে কোন রাজনীতিবিদ যদি তার কাজের সাথে সাথে তার আশানুরূপ প্রমোশন বা মুল্যায়ন না পান, তখন তার দ্বারাও আশানুরূপ কাজ পাওয়া যায় না এবং মানুষিক ভাবে তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। আর যা পুরো প্রশাসন বা রাজনৈতিক দলের উপর বিরূপ প্রভাব পরে। আর যে বাস্তবতাটা আমরা অনেকেই বুঝেতে পরিনা বা বোঝার চেষ্টা করি না।(ক্রমশঃ) এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা,সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ৫ ফেব্রুয়ারী ‘২০২১

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102