এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ
সেই ১৯৯২ সন থেকে আমি বাংলাদেশ কৃষক লীগে ছিলাম। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে, ১৯৭৮ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক এবং পরে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসার পরে,১৯৮১ সনে মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন ভাই সভাপতি এবং খ ম জাহাঙ্গীর ভাই সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, লোক প্রশাসন বিভাগে, এম এস এস শেষ করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিম উদ্দিন হল ছেড়ে, ছাত্রলীগের রাজনীতির থেকে বিদায় নেয়া, পরে এক বারের জন্য ১৭০০ নম্বরের বি সি এস পরীক্ষার সুযোগ পাওয়া, অতপর অকৃতিকার্য্য। পরে সাব-রেজিস্ট্রার পদে এবং কৃষি ব্যাংকের চাকুরিতে কৃতিকার্য্য হওয়ার পর, আব্বার কারনে যোগ না দেয়া , তারপর আবার পড়াশুনা, অতপর এল এল বি করে, ১৯৮৭ সনে ঢাকা বারে আইনজীবী হিসেবে যোগদান।পরে ১৯৯০ থেকে বাংলাদেশ সূপ্রীম কোর্টে যোগদান এবং ২০০১ থেকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে নিয়মিত প্রাক্টিস শুরু ।এভাবেই চলছে আমার কর্ম জীবন। বর্তমানে ঐ পেশাতেই আছি। আর রাজ্নীতী, আগেই বলেছিলাম, ১৯৮১ পরে, পারিবারিক নতুন ব্যাবসা “লেকভিউ ডিপার্টমেন্ট ষ্টোর ” ব্যবসায় সময় নাদিয়ে, কলাবাগানে এস এ মালেক সাহেবের সাথে, বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং ১৯৯২ সন আলহাজ আমির হোসেন আমু ভাইর পরামর্শক্রমে, বাংলাদেশ কৃষক লীগে যোগ দেই। পরে ১৯৯৩ সনে এবং ১৯৯৯ সনে,২ বার আইন সম্পাদক, ২০০৩ সনে, ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সর্বশেষ ২০১২ সনে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই। যা সবই জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান। ২০১২ সনের বাংলাদেশ কৃষক লীগের কাউন্সিলে, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মঞ্চে বসে, প্রিয়নেত্রী আমাকে ডেকে, কানে কানে শুধু জিজ্ঞেস করেছিলেন, ” তুমি বাউফলের মরহুম আব্দুল আজিজ খন্দকার এর ছেলে”। আমি বল্লাম “জি”। শুধু এটুকুই। তারপর আমাকেই বিকেলের অধিবেশনে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করলেন, আর যা, ২০১৯ এর নভেম্বরের ১ম সপ্তাহ পর্যন্ত। সেই কবে মোহতারেমা মিস ফাতেমা জিন্নাহর পাকিস্থানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, বরিশালের অশ্বিনীকুমার টাউন হলের নির্বাচনী জনসভায় আব্বার সাথে যোগদান থেকে শুরু। পিতা ১৯৫৮ সন থেকে পটুয়াখালী মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এবং ১৯৬৯ সন থেকে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, ১৯৭০ সনে আওয়ামী লীগের এম পি এ,১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধ পটুয়াখালী অঞ্চলে নেত্রীত্ত্ব দেয়া , তারপর গন পরিষদ সদস্য, ১৯৭৩ সনে পুনরায় এম পি নির্বাচিত হওয়া । ১৯৭২ সনের পরে, পটুয়াখালী জেলা রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান, জেলা প্রাথমিক স্কুল নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান, জেলা প্রথমিক শিক্ষক নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান। যা সবই করেছেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এভবেই,আমাদের সাথে রাজ্নীতর তথা, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে একটি পারিবারিক, তথা আত্মার সম্পর্কে হয়ে গেছে। এখন কোন পদ পদবীতে না থাকলেও সেই সম্পর্ক আছে চিরন্তন। তাইতো মাঝে মাঝে কিছু কথা শুনলেও কষ্ট পাইনা। এইতো বেশ কিছুদিন পূর্বে আমার এক কাছের মানুষ, বর্তমানে তিনি সংসদ সদস্য, হইকোর্টে আমার চেম্বারে আসলেন। তিনি ৭৫ থেকে ৮০ সনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতি নিয়ে কথা বলছিলেন, যার অনেক গুলোই সঠিক ছিল না !। তিনি আমাকে আবার প্রশ্ন করে বসলেন, জানেন এগুলো। তখন আমি তর্ক না করে, শুধু হেসে বললাম, না ভাই আমি ৮১ পর ঢাকা এসেছি !। তখন তিনি বললেন, তাইতো এগুলো জানেন না। এইতো বছর ২ আগে এক ভদ্রলোক, সেও আমার কাছের মানুষ। তিনি আমাকে বলছিলেন, জানেন ভাই, তার স্ত্রী ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য বেচে গেছে। আমি বললাম, না ভাই আমি ২০০৪ এর পর ঢাকা এসেছি । তখন তিনি বললেন, এজন্যই তো আপনি জানেন না। অথচ ঐ ভদ্রমহিলাকে আমিই গুলিস্থানে জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভা শুরুর আগে, তাকে সহ সব মেয়েদের ট্রাকের সামনে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। মিটিং শেষে মিছিলের সুবিধার জন্য। আসলে এধরনের কথা ইদানিং প্রায়ই অনেকের কাছে থেকে শুনতে পাই। অথচ এসব কথা যারা বলেন, তারা বুঝতে চান না, তারা নিজেরা সবটা জানেন কিনা। আসলে নিজেকে জাহির করার জন্য, এভাবে অনেকে বলেন। রাজ্নীতীতে এখন এগুলো খুব বেশী দেখা যায়।(ক্রমশঃ)এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা,সাবেক সাধারন সম্পাদক,বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ১৪ জানুয়ারী ‘২০২১।