December 6, 2023, 12:45 am
শিরোনামঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা শুরু ২৩ ফেব্রুয়ারি, আবেদন শুরু ১৮ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা-১৩ আসনের জাতীয় পার্টির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত মাংসের দাম নিয়ে বিতর্কে, ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ হবে না ভারত বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫২ বছর,ভেজনেবকে বাদ দিয়ে স্মরণ করা যায় না শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকাকে জয়লাভ করাতে হবেঃ সৈয়দা আরজুমান বানু নার্গিস বাঙালী হৃদয়ে হাজার বছরঃ কবি মোঃ নাসির উদ্দিন দুলাল বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেব লীগ রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি রাজবাড়ী-২ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী হক বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিতদের জন্য আওয়ামীলীগকে জবাবদিহি করতে হয়েছে মনোনয়ন বঞ্চিতদের জন্য আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপির করণীয় থেকে

পর্ব ৫৬ :- ”যে ইতিহাসটি বলা দরকার” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা

Reporter Name
  • Update Time : Tuesday, January 11, 2022
  • 145 Time View
এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ
১৯৮০ সনের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন বিভাগে এম এস এস পরীক্ষা দিয়ে, আমি আর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে থাকার চেষ্টা করিনি । যদিও ডাক্তার মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন ভাই সভাপতি ও খ ম জাহাঙ্গীর ভাই সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর, নিউমার্কেটের কাছে নুর ম্যানসনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অফিস উদ্বোধন পর্য্যন্ত আমি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। যদিও আমার সমসাময়িক, শাহে আলম, হবিবুর রহমান সহ অনেকেই ১৯৯০ পর্যন্ত ছাত্র রাজ্নীতী করেছে। ১৯৮১ সনের মার্চ মাসে, এম এস এস এর রেজাল্ট হওয়ার পরই, আমি বি সি এস পরীক্ষার প্রস্ততি নেই । তখন ১৭০০ মার্কের পরীক্ষা ছিল। ছাত্র হিসেবে খুব ভাল না হওয়ায় পাশ করতে পারিনি। ঐ সময় সেশন জটের কারনে এক বারই মাত্র পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। যদিও কৃষি ব্যাংকে এবং সাব রেজিস্ট্রার পদের চাকুরি পেয়েও আব্বার নিষেধে যাইনি। এরপরই আব্বার নির্দেশেই এল এল বি তে ভর্তী হই, ধানমন্ডি ল কলেজে। সৈয়দ রেজাউর রহমান ভাই তখন ভাইস প্রিন্সিপাল এবং পরে প্রিন্সিপাল হন। তিনি আমাকে পেয়ে খুব খুশি হলেন। কেননা রাজনৈতিক কারনে আব্বার খুব কাছের মানুষ ছিলেন তিনি । এরপর এল এল বি পাশ, ১৯৮৭ সনে ঢাকা বারে যোগদান। সৈয়দ রেজাউর রহমান স্যার পাশ করার পর, আমাকে ঐ কলেজে পারটাইম টিচারও বানাতে চেয়েচিলেন। আমার ৭৫ পরবর্তী ছাত্রলীগের রাজনীতির সহযোদ্ধা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সানা ভাই, ঐ সময় ধানমন্ডি ল কলেজের পারটাইম শিক্ষক হন। যিনি পরে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের মানণীয় বিচারপতিও হযেছিলেন। আমাকে খুব পছন্দ করতেন। ভাল মানুষ ছিলেন । অকালেই তিনি পৃথিবী থেকে চলে গেলেন। ঢাকা বারে আইনজীবী হিসেবে যোগদানের পর, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সম্পাদক, ৭৩ এ আব্বার সাথের এম পি, কলাবাগানের আমার প্রিয় মানুষ, ডাক্তার এস এ মালেক সাহেব আমাকে ডেকে নিয়েই, পটুয়াখালী জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক করে দেন। এরপর শুরু হয় আমার নতুন রাজনীতি। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী কত অন্দোলন করেছি, তার হিসেব নেই। রাসেল স্কয়ারে,গুলিস্থান কেন্দ্রিক কত মিছিল মিটিং করেছি তার হিসেব নেই। ৯১ নং নবাবপুর রোডে আওয়ামী লীগ অফিসে কত মিটিং করেছি, হিসেব দিতে পারবো না।এরপর আমার প্রিয় মানুষ আলহাজ আমির হোসেন আমু ভাইর এর সাথে পরামর্শ করে সেই, ১৯৯২ সনে, বাংলাদেশ কৃষক লীগে যোগদান। আলহাজ রহমত আলী সভাপতি এবং আলহাজ রাশেদ মোশারফ তখন সাধারণ সম্পাদক। ৯২ সনে মানিকগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের এর কাউন্সিল। আমু ভাই ঐ কাউন্সিলর প্রধান অতিথি। আমার ৭৫ পরবর্তী ছাত্রলীগের রাজনীতির সহযোদ্ধা গোলাম মহিউদ্দিন ভাই ও আব্দুস সালাম ভাইও ঐ কাউন্সিলে ছিলেন। এরপর ১৯৯৩ বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল। ঐ কাউন্সিলে রাশেদ মোশররফ ভাই সভাপতি ও মিজানুর রহমান মানু ভাই সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ঐ কমিটিতে মাননীয় জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আইন সম্পাদক নির্বাচিত করেন। সেই থেকে কৃষক লীগের রাজনীতিতে চলা। ২৮ বছর !। কত দীর্ঘ সময়। ৯৯ এর কাউন্সিলে পুনরায় আইন সম্পাদক এবং ২০০৩ সনে জননেত্রী আমাকে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করেন। এরপর সেই ২০১২ সাল। প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন। কৃষক লীগের এই দীর্ঘ ২৮ বছরের পথ চলায়, হয়তো অনেক কিছু করতে পরিনি। তারপরও বলবো নেত্রীর নির্দেশ মোতাবেক, সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা ভাইকে সহ এক ঝাক নিবেদিত সাবেক ছাত্রনেতা এবং অন্যান্য নেত্রীবৃন্দকে নিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিন, ঢাকা জেলা উত্তর,ঢাকা জেলা দক্ষিন সহ সমগ্র বাংলাদেশে বিভিন্ন নতুন মহানগর কৃষক লীগ গঠন সহ সমগ্র বাংলাদেশে কৃষক লীগকে একটি গুরুত্তপুর্ণ সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। ২০১৯ এ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে একটি সফল কাউন্সিল উপহার দিতে পেরেছি। হয়তো আমাদের সফলতা এটুক !(ক্রমশঃ) এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ৮ জানুয়ারি, ২০২১।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Dairy and pen distribution

ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102