আসলে আমাদের জন্য পৃথিবী, আর কদিনের জন্য। হ্যাঁ ঐ লোমহর্ষক ঘটনার ফরিয়াদী বাবুল ভাই এখন আর নেই, সেই কবে চলে গেছেন এই ধরাধাম থেকে !। হ্যাঁ ঐ ঘটনার নায়কও নেই পৃথিবীতে। তাদের আর দেখা হবে না কখনো। ঐ লোমহর্ষক ঘটনার আগে আরেকটি কথা নিয়ে আসবো। তবে সেই আগের মতই বলছি, আমার কথা, ঘটনা, স্থান বা কাল সবই কাল্পনিক। কারো সাথে মিলে গেলে ক্ষমা প্রার্থী।”বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা, একজন বিজ্ঞ আইনজীবী একটি চেম্বারে আসেন, চেম্বারটা ভরা লোকজন। কয়েকজন বিজ্ঞ আইনজীবীও ছিল। একজন প্রতিষ্টিত আইনজীবী তিনি। অনেক টাকা আয় করেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হল , কেমন আছেন তিনি। কেমন আয় টায় হচ্ছে। তিনি বললেন,ভাল নেই তেমন, তবে তার আয় এখন অনেক। তিনি আরো আগবাড়িয়ে বললেন, আমার এখন অনেক আয়, কিন্তু আমার প্রথম জীবনে ওকালতি করে কিছু মানুষকে কষ্ট দিয়ে এবং অনৈতিক ভাবে যা আয় করেছি, সেই টাকা গুলো, ওদের ফেরত দিতে খুব ইচ্ছা করে, কিন্ত তাদের তো আর খুজে পাচ্ছি না !”। চিন্তা করা যায়, কত মারত্নক কথা । ঐ ভদ্রলোক তো তবু আফসোস করে চলছেন। কিন্তু অনেকে তো বগল দাবিয়ে এরকম আয়কে বড় গলায় প্রচার করছেন। আসলে সবই নিয়তি। আমরা যে যেরকম চাচ্ছি, সে রকম হচ্ছে। এখন সময়টাই যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে। মানুষের সেবাই যদি রাজনৈতিক দলের প্রধান মেনিফেষ্টো হত, তাহলে এখন এই দু:সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন, বিরোধীদল গুলো এগিয়ে আসতে পারতো অন্তত করোনা মোকাবিলায়। কিন্ত আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠন ছাড়া কাউকে দেখা যাচ্ছে না। সরকারের সাথে না হোক, ভিন্ন ভাবেও তো তারা করতে পারতো। তাতে নিশ্চয়ই সরকার বাধা দিতেন না। আসলে এখন দৃশ্যমান কোন বিরোধী রাজনৈতিক দল নেই, যারা দেশ বা মানুষের জন্য কাজ করবে। শুধু ক্ষমতায় কি ফন্দিতে যাওয়া যায়, সেই পথ খুজ্চ্ছেন। জনগন নিয়ে তাদের কোন চিন্তা নেই। আসলে ৭৫ পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমান, আর্মি ক্যু মাধ্যমে ক্ষমতায় গিয়ে, সামরিক স্বৈরাতান্ত্রীক প্রক্রিয়ায় যে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, বিভিন্ন দল থেকে কেনাকাটা করে এবং উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে। ” বাজাদল “(বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) থেকে নাম পরিবর্তন করে বি এন পি ( বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি ) করেছেন, তারা দেশ ও জাতির জন্য কাজ করার ক্ষমতাই রাখেনা ! শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ বিরোধিতার নামে জামাত,আল-বদর আর রাজাকারদের ভরসায় তারা থাকে। তাই জনগণের সুবিধা বা অসুবিধা তাদের কাছে কোন বিষয় না। কিন্ত অভিযোগ করতে থাকবে, তাদের মাঠে নামার সুযোগ দিচ্ছে না। সুযোগ করে দেবে আপনাদের আওয়ামী লীগ ! । জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা, নেত্রীকে হত্যা করার কত পরিকল্পনা। আইভি রহমান হত্যা, কিবরিয়া হত্যা, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা সহ কত হাজার হত্যার উদাহরন তাদের দেবো !। আপনাদের আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ প্রটেকশন দেবে অথবা চেয়ে চেয়ে দেখবে আর আপনারা বাসে আগুন দিয়ে, বোমা হামলা করে, আগুন সন্ত্রাস করে, মানুষ হত্যা করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাবেন, সেই সুবিধা চাচ্ছেন। আপনাদের তো অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী আছেন, বড় বড় নেতা আছেন, অনেক বিজ্ঞ আইনজীবী আছেন, তাদের দিয়ে বড় বড় হল ভাড়া করে, টেলিভিশনের চাঙ্ক ভাড়া করে, নিজেদের পরিকল্পনার কথা বলেন, জনগণের কথা বলুন, আওয়ামী লীগ সরকারের ভুল কোনটি, ধরিয়ে দিন । আপনারা তো নকশাল পার্টি না, তাহলে গনতন্ত্রের ভাষায় কথা বলতে অসুবিধা কি !। বর্তমানে ভাস্কর্য নিয়ে উগ্র সম্প্রদায়ীক শক্তির আস্ফালন নিয়ে একেবারে নীরব কেন তারা !। না সঙ্গোপনে অন্য কোন বিষয় আছে ! । আসলে গণতান্ত্রিক ভাবে প্রতিষ্টিত কোন দল ছাড়া। কেউ গণতান্ত্রিক রাজ্নীতীতে এগুতে পারে না। সেই জন্যই হয়তো বা তারা কেউ কেউ, ভিন্ন দু:স্বপ্ন দেখছেন ! (ক্রমশঃ)। এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ। ৯ ডিসেম্বর ‘২০২০