January 24, 2025, 12:49 pm
শিরোনামঃ
আরাফাত রহমান কোকোর কবরে মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির শ্রদ্ধা আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু বার্ষিকীতে সাখাওয়াত হোসেন নান্নুর গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি বিএনপি মহাসচিব নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটা ১/১১ সরকার চাইছে: নাহিদ ইসলাম ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনঃ ইসি আব্দুর রহমানেল মাছউদ দেশে আমরা জিয়াবাদ, মুজিববাদ চাই নাঃ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হয়েছে: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর আরাফাত রহমান কোকোর ১০ম মৃত্যু বার্ষিকীতে শুক্কুর মাহমুদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন

পর্ব ৪৭ :- ”যে ইতিহাসটি বলা দরকার” : এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Saturday, November 6, 2021
  • 262 Time View

এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ

ইদানিং প্রায়ই আমার ৭৫ এর ১৫ অগাস্ট পরবর্তী কষ্টের দিনগুলো মনে আসে। একটি বিয়োগান্ত,কলঙ্কের ইতিহাস। হটাৎই সব কিছু ওলট পালট হয়ে গেলো। হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মাঝে নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক অন্দোলনের দিনগুলোর কথা। মনে আসে সেই মুখগুলোর কথা ! অনেকেই এখন দেখি না। ঢাকায় আমাদের চলাফেরার জায়গা ছিল সীমিত। ৪৬ পর্বের লেখা দেখে,৭৫ পরবর্ত্তী এবং বর্তমান কৃষক লীগের করম আলী ভাই আরো উচকিয়ে দিয়েছেন ! অথচ সেই মুখ, গোলাম সরোয়ার, কাজী ইকবাল,সামসুল হক,দিজেন দা,মহিবুর রহিম বাবুল ভাইদের কোথায়ও দেখি না। রাউফুন বসুনিয়া কত কাছের মানুষ ছিল আমার, মনে পরে সেলিম- দেলোয়ার এর কথা। সেলিম আমার স্কুল জীবনের বন্ধু ছিল, ও আমাদের বন্ধুদের দোস্ত বলে ডাকত। ওর ছোট ভাইও আমার ছোট ভাইর বন্ধু ছিল।আওয়ামী লীগ নেতা এস এম ইউসুফ, সৈয়দ আহমেদ, ইয়াহিয়া পিন্টু, সফিকুল আজিজ মুকুল,ফকির আব্দুর রাজ্জাক ভাইরা কোথায় চলে গেলেন ! জীবিত যারা তাদেরও অনেককে দেখিনা। ঢাকা মহানগর ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক সিদ্দিক ফরাজি কে খুজেও পাইনা।আবার সভাপতি কামাল মজুমদার সাহেব এর ঠিকানা জানলেও, যাই না। ঝিকাতলায় রাজ্জাক ভাইর বাসা বা বেগম জোহরা তাজউদ্দিন এর জিকাতলার বাসা এখন আর চেনা যাবেন না হয়তো। পুরাতন ঢাকার সলিমুল্লাহ কলেজটায় প্রায়ই যেতে ইচ্ছা করে, সময় করে উঠতে পরি না। ৭৫ এর পরে কতো গোপন মিটিং করিয়েছেন ইউসুফ ভাই,জাফর ভাইরা। সেই লালবাগ শায়েস্তা খান কমুনিটি সেন্টারের ছাত্রলীগের কাউন্সিল বা ৭৮ এর বটতলার ছাত্রলীগের কাউন্সিল এর কথা এখনও স্পষ্ট মনে আসে। হ্যাঁ ২য় অধিবেশন আমার হল,কবি জসিম উদ্দিন হলেই বসেছিল। ৩ দিন পর কমিটি গঠন। হেমায়েত উদ্দিন আওরঙ্গ ভাইদের নাম অন্তরভুক্ত কি ভাবে হলো, সেই ইতিহাসটা। আরো কতো কি।আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের,সেই চাদপুরের গোলাম মোর্শেদ, সেই যে কবে আমেরিকা চলে গেল, এখন আর খোজও পাইনা। হ্যাঁ আব্দুস সালাম এখনও আছেন মানিকগঞ্জের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। নোয়াখালির ছেলে, পটুয়াখালীর জামাই, গোলাম মাওলা জজ হয়ে হটাৎই চলে গেলেন। কুমিল্লার সুন্দর মুখের সেই সেলিমও অকালে চলে গেলেন। নেত্রকোনার ভাল ছেলেটা কোরেশী এম পি হয়েছিলো। আর বড়ভাইরা, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ভাই, খ ম জাহাঙ্গীর ভাই, রবিউল মোকতদির ভাই, বাহ্লুল মজ্নুন চুন্নু ভাই,গোলাম মহিউদ্দিন ভাই, হাবিবুর রহমান খান ভাই,বেনজির আহমেদ ভাই, রকিবুর রহমান ভাই, শাহনেয়াজ চৌধুরী আজাদ ভাইরা এখনও আছেন, তবে দেখা হয়না অনেকের সাথে। কাদের ভাই এই শরীর নিয়েও কতো পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কাদের- রবিউল এর প্যানেলের ” ডাকসু” নির্বাচনের কথা এখনো মনে পরে প্রায়ই। অনেকের সাথে আমিও হেরেছিলাম। লিয়াকত আলী লাকির পিয়ানোর গান, এখনো আগের মতোই ভাসে। কয়েকদিন আগে হটাৎই শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়েছিলাম, লিয়াকত আলি লাকির খোজে।করোনায় আক্রান্ত তিনি। দেখা হয়নি। দোয়া করি দ্রুত সুস্থতার জন্য। হাইকোর্ট থেকে, সেই আমাদের সময়,ডাকসুতে নির্বাচিত সদস্য,কবি জাফর ওয়াজেদের অফিস একেবারে কাছে হলেও,ফেসবুক ম্যসেঞ্জার ছাড়া দেখা হয় না। মধুর রেস্তরাঁয় শেষ কবে গিয়েছি মনে নেই। জহিরুল হক হলের ২১১ নং রুমে বা জসিম উদ্দিন হলের ৪২২ নং রুমে কবে শেষ গিয়েছিলাম, মনে নেই। মহিবুর রহিম বাবুল ভাই অকালে চলে গেলেন। কত ভালবাসত আমাকে। কত বিশ্বাস করতেন আমাকে। নোয়াখালির অনেকে তাকে পছন্দ করতেন না। ভাল বক্তা ছিলেন তিনি। একবারের একটি ঘটনা আমার প্রায়ই মনে আসে। ৭৯ সনের প্রথম দিকের ঘটনা হবে। মাস বা তারিখ মনে নেই। তখন বাংলাদেশে ছাত্রলীগের মৈধ্যে গ্রুপিং প্রকট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি কর্মীসভা। সভাটি আমিই পরিচালনা করছিলাম। মনিক্গঞ্জের সালাম ভাই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সভাপতিত্ত করছেন। গোলাম সারোয়ার ভাই, ফজলু ভাই,রবিউল মোকতদির ভাই, খ ম জাহাঙ্গির ভাই সহ সিনিয়ার নেতারা উপস্থিত। সভা শুরু করার পরও সাধারণ সম্পাদক বাবুল ভাই আসছেন না। তখন মোবাইলের যুগ ছিল না। কোনো খবর নেয়া সম্ভব ছিল না। আগের দিন মধুর রেস্তরাঁয় কথা হয়েছে । টেনশন নিয়ে সভা শেষ করলাম। জাহাঙ্গির ভাই যাবার সময়, বাবুল ভাইর খোজ খবর নিতে বলে বাসায় চলে যান।আমার কলাবাগানে বাসা থাকলেও, তখন জসিম উদ্দিন হলের ৪২২ নং রুমে আমি থাকি। মিটিং এর পরে হলে চলে আসি। একটি লোক এসে আমাকে ছোট্ট একটি চিরকুঠ দিয়ে গেল। লোকটাকে চিনি না। চিঠিটা খুলে দেখি, বাবুল ভাই লিখেছেন। বিকেলে কলাবাগান স্টাফ কোযাটারের কাছে একটি ম্যাচে জরুরীভাবে যেন আমি তার সাথে দেখা করি। সেই মোতাবেক বিকেলে কলাবাগান বশির উদ্দিন রোডের একটি ম্যাচে গেলাম। ম্যাচে ঢোকার পর বাবুল ভাই আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলেন !। তারপর মুধুর রেস্তরাঁয় মিটিং না যেতে পারার ঘটনা বললেন। সে ঘটনা এতই, লোমহর্ষক তা অনেকে বিশ্বাস করতে চাইবেন না !।(ক্রমশঃ) এডভোকেট খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ । ৬ ডিসেম্বর ‘২০২০।
শেয়ার করুন
More News Of This Category
ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102