October 14, 2024, 8:01 pm
শিরোনামঃ
হাসনাত-সারজিসকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণাঃ মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা তারেক রহমানের সব মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিঃ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার ফেক আইডি খুলে ফেসবুকে প্রেম, দেখা করতে গিয়ে দেখলেন প্রেমিকা নয়, নিজের স্ত্রী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আলেমকে করা হলো হত্যা মামলার আসামি পটুয়াখালী বাউফলে স্বামীর ‘গোপনাঙ্গ’ কেটে পালিয়েছেন স্ত্রী ডিজিএফআইয়ের নতুন ডিজি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম পাবনায় ‘ক্লাবের দখল নিয়ে’ আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২৫ নাটোরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৫ এনজিও পরিচালনাকারীরা এখন দেশ চালাচ্ছেন, তাদের অভিজ্ঞতা নেই: সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

পর্ব ১৭: “যে ইতিহাসটি বলা দরকার”: খন্দকার মোস্তাক বা জিয়াউর রহমানের শাষণ আমল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Wednesday, August 25, 2021
  • 259 Time View

এডভোকেট খোন্দকার সামসুল হক রেজাঃ

খন্দকার মোস্তাক বা জিয়াউর রহমানের শাষণ আমলে, আব্বা কেনো সরকারি মিটিং এ বা কোনো আওয়ামী লীগের সভায় বক্তৃতা রাখালে, তিনি সব সময় একটা কথা বলতেন,” জাতির পিতার খুনিরা, খুন হবেই”। তিনি সব সময় একটা সত্য ঘটনার উধাহরণ দিতেন। আব্বা তখন পটুয়াখালীতে জজ কোর্টে ওকালতি করতেন এবং সিভিল মামলা করতেন। তবে দলের লোকজন মামলায় পড়লে ক্রীমিনাল কোর্টে যেতেন। আব্বা পটুয়াখালী এডভোকটে বারের সভাপতি ও সম্পাদকও ছিলেন কয়েকবার । তার উধাহরনটা ছিলো এভাবে । ১৯৭১ সালের আগের ঘটনা। আব্বার চেম্বার ছিলো পুরাতন আদালতের পিছনে। পিছনেই আমদের বাসা ছিলো । আব্বা সবসময় জামাতে নামাজ পড়তে চেষ্টা করতেন। বড় মসজিদ আমাদের বাসার কাছে। সকালে ফজরের নামাজ পরেই চেম্বারে বসতেন । ঐ সময় একদিন খুব সকালে, আব্বার এক সিভিল মোয়াক্কেল হটাৎ চেম্বারে আসে। তার বাড়ি গলাচিপায়। তিনি এসেই বললেন, উকিল সাহেব আপনার মহরীদের একটু বাহিরে যেতে বলেন। একটা গোপন কথা বলবেন। তখন আব্বার ৪ জন মহরী( ঐ সময় এডভোকেট ক্লার্কদের মহরী বলা হত) । কোনো মামলার ব্যাপারে কখনো কেউ এভাবে বাহিরে যেতে বলে না । তারপরও , আব্বা সকলকে বাহিরে যেতে বললেন। তখন সে পায়ের কাছে পরে বললেন, উকিল সাহেব আমাকে বাচান । আব্বা শান্ত হয়ে ঘটনাটা জানতে চাইলেন। তখন তিনি বললেন ” তার দ্বিতীয় পক্ষের পুত্র , গতকাল তাকে খুন করতে এসেছিল, অল্পের জন্য বেচে গেছেন । এখন আমি কি করবো, আমাকে বাচান”। তখন তিনি তার পেছনের ইতিহাসটা জানতে চাইলেন। তখন তিনি যেটা বললেন সেটা এরকম “তাদের অনেক বিষয় সম্পত্তি আছে,বংশের অনেক লোক,ঐ সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিগত ৩ পুরুষ ধরে ,তাদের বংশে , বাপ ছেলেকে, ছেলেকে বাপ, চাচা- ভাতিজার মৈধ্যে খুন করার অনেক গুলো ঘটনা ঘটেছে । এখন দ্বিতীয় স্ত্রীর এক ছেলে, সম্পত্তির জন্য তাকে খুন করতে চায়”। একথা গুলো নিয়েই আব্বার ঐ খুণের প্রসঙ্গটা। আব্বা সব সময় বলেতেন, খুন একটি জঘন্য ক্ষমতাহীন অপরাধ। একাজ আমরা সমর্থন না করলেও নিয়তি তাকে টেনে নিয়ে যায়। খন্দকার মোস্তাকের পর জিয়া আরো খারাপ ভাবে, কালো চশমা পরে, সামরিক শাষণ চালায়। সমগ্র বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উপর এবং বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর দমন নিপীড়ন চালাতে শুরু করে। তারপর নিজেকে প্রেসিডেনট ঘোষনা, ভোটার বিহীন “হা না: ভোট দিয়ে, পরে প্রেসিডেনট নির্বাচন দিয়ে, বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংশ করে স্বৈরাচারী ব্যাবস্থা চিরস্থায়ী করার পথে এগুতে থাকে। জিয়াউর রহমানের ঐ সকল অবৈধ নির্বাচনের সময় পটুয়াখালীতে আব্বা ব্যাপক ভুমিকা রাখেন, ছাত্রলীগ নেতারাও ভুমিকা রেখেছে। আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক, যে সন্মেলনটা, ৭৫ এর পর, ঢাকায় প্রথম পুর্নাঙ্গ কাউন্সিল। ৭৭ এর শেষ দিকে। মধুর রেস্তরাঁর সামনে আমাদের সন্মেলন হয়। বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই তখন জেলে। গোলাম সরোয়ার , ওবায়দুল মোক্ততাদির চৌধুরী, ফজলুর রহমান, খ ম জাহাঙ্গির , বহ্লুল মজনু চুন্নু রকিবুর রহমান , গোলাম মহিউদ্দিন ভাই সহ অনেক ছাত্র নেতারা ঐ সন্মেলনে ছিলেন । সন্মেলনে বাবু মুকুল বোস দাদা সভাপতি নিরচিত হন এবং নোয়াখালীর মহিবুর রহিম বাবুল সাধারণ সম্পাদক হন। আমি দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হই । আমার সাথে ঐ কমিটিতে ছিলো,তারা হলেন আব্দুস সালাম, ( বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লিগ সাধারণ সম্পাদক),মঞ্জুর কাদের কোরেশী ( সাবেক এম পি) ড: ফজলে এলাহি ( উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক হিসেবে অবসরে গেছেন) আক্কাস, গোলাম মাওলা ( জেলা জজ থাকা অবস্থায় স্ট্রক করে মৃত্যুবরন করেন), গোলাম মোর্শেদ (আমেরিকা প্রবাসী, এক সময় লেবার পার্টি থেকে ব্রিটেনের সংসদে নির্বাচন করেছিলেন,) মোক্তার হোসেন (বর্তমানে কোটালিপারা আওয়ামী লীগের সম্পাদক), সত্তেন্দ্র নাথ ভক্ত সহ আরো অনেকে । আমাদের সন্মেলনের পরে আমি ও খ ম জাহাঙ্গির ভাই ইত্তেফাকে ও সংবাদে প্রেস রীলেজ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে একটি বেবিট্যাক্সিতে আসছি । তখন “টি এস সির” মোড়ে একটি আর্মির গাড়ী আমাদের থামায় এবং আমাদের নামতে বলে । আমাদের সাথে পার্টির অনেক কাগজ পত্রও ছিলো। আমরা নামার পর একজন অফিসার, আমাদের চারিদিকে ঘুরলো, কিন্তু কোন চেকিং করলোনা। তারপর আমাদের দিকে তাকিয়ে, তারাতারি ওখান থেকে চলে যেতে বললো । আমরা বুঝতে পারিনি কেনো আমাদের ছেড়ে দিলো বা কেনো তারাতারি চলে যেতে বললো, হয়তো সে আমাদের চিনতে পেরেছে । আমরা তারাতারি মধুর রেস্তরাঁয় চলে অসি।পরে খবর পাই ঐ রাতেই মুকুল বোস দাদাকে আর্মি গ্রেপ্তার করেছে । এখানে পিছনের শুরুটা বলা দরকার। ১৯৭৫ সনে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হই । ২১ মে ‘২০২০

লেখকঃ এডভোকটে খোন্দকার শামসুল হক রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগ।

শেয়ার করুন
More News Of This Category
ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102