জনাব রবিউল আলমঃ
পরিবহনের গায়ে লেখা থাকে সাধারণ পরিবহন। এই লেখার অর্থ আমি বুজি না, না বুজেই আমার পরিবহনে লেখেছি সাধারন পরিবহন। এখন রাস্তায় চলাচলের সময় অসাধারণ গতিতে চালতে হচ্ছে ব্যাংকের ঋৃন পরিষোদের আশায়। তার পরেও শেষ রক্ষা হয় নাই। একে একে ১৬ পরিবহন বিক্রি করতে হয়েছে। আমি নিজেই এখন সাধারন হয়ে গেছি। পরিবহন ব্যবসা এখন সাধারন পরিবহন ব্যবসায়ীদের হাতে নেই। বাংলাদেশে তেল হলুদ মরিচের মত পরিবহন সহ সর্বস্তে চলছে সিন্ডিকেট, এমনকি মাংস ও সিন্ডকেট থেকে মুক্ত হতে পারে নি। মরা গরুর মত পরিবহনে শকুনে থাবায় ছিন্নভিন্ন হয়ে পরেছেন। শ্রমিক-মালিক সংগঠনের অভাব নাই। বড় বড় কোম্পানির নাম ছাড়া রাস্তায় চলাচলের অনুমতি নাই। কার চাঁদা কত, তারও কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাক্ষা নাই। যুক্ত হয়েছে যাত্রী কল্যান সমিতি, যাত্রীর জন্য কি ধরনে সেবার ব্যবস্তা এবং যাত্রীরা এই সমিতির সদস্য কি-না, তার সঠিক উত্তর নেওয়ার ও দেওয়ার কেউ আছেন বলে আমার জানা নাই। পরিবহনের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়, পরিবহন ও নিয়ন্ত্রণ হীন ভাবে চলাচল হয়। পরিবহনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আইনের অনেকগুলো ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে। সংযুক্ত এবং সংক্রিয় আছে অনেক সঃস্থা। তার পরেও নিরাপদ সড়কের আন্দোলন করতে হয়। নিরাপদ সড়কের জন্য নিরাপদ চালক গড়ে তোলার জন্য কোনো কায্যক্রম উল্লেখ করার মত আমাদের চোখে পরছে না। উপরন্তু মাদক সেবনরত অদক্ষ চালক যুক্ত হওয়ার কারনে অনেক মুল্যমান জীবন হারাতে হচ্ছে। দেশ জাতি সরকার ও সাধারণের জীবন মানে বিজ্ঞন ঘটছে। ছাত্রদের অধিকার হাঁপ ভাড়ার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের পরেও। আইন কি তার নিজস্ব গতিতে চলছে ? না-কি চলতে পারছে। আইনের নিজস্ব গতিকে মাঝে মাঝে প্রতিরোধ করা হয় মানবিক ও মানবতার প্রশ্নে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সৃষ্ট ধুম্রজাল কাটাতে আইনের গতি কোনপথে গড়ায়, দেশের মানুষকে কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। তবে তারেক রহমান প্রমান করেছেন, দেশ জাতি, দল এবং মায়ের চেয়ে তার জীবনের আরাম আয়ে সের মুল্য অনেক বেশী। সমাধান কোথায়, আমরা কেউ জানিনা।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।