কল্পনাকে স্বপ্ন বলে, ভাবনাকে বলা হয় রূপ। বাস্তবায়ন এর কঠিনতা অনুধাবন করতে হবে জাতিকে।স্বপ্ন দেখা, স্বপ্ন দেখানো ও বাস্তব রূপ জাতির সামনে হাজির করানো এক বিষয় হতে পারে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের কল্পনা গুলো এক এক করে বাস্তব রূপে বাঙালি জাতির সামনে বিদাতার ইচ্ছে ছাড়া সম্ভব হয় নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পছন্দ করেছেন বলেই আল্লাতালা তার হাতে সেতুর চাবি তুলে দিয়েছেন।আপনাদের কাছে কল্পনা অতিত মনে হয় না ? দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র, পদ্মানদী বৈড়ী আচরণ প্রতিহত করে পদ্মাসেতু নির্মাণ শেখ হাসিনার একার পক্ষে সম্ভব হয় নাই, সাথে আল্লাপাকের সু-নজর ছিলো। আমার এক বন্ধু ৩০ বছরের একটা দিন, বিএনপির পক্ষে যুক্তি না দিয়ে আমাকে ছাড়েন নেই । পদ্মাসেতুর জন্য তার কাছে কোনো যুক্তি নাই। তার কথা, কত টাকা খরচ হয়েছে, কত টোল আদায় করা হবে, এই বিষয়গুলো যুক্তি দিয়ে হবে না। পদ্মানদীতে টাকা দিয়ে সেতু নির্মাণ করা যাবে না। পদ্মাসেতু আমার কাছে অলৌকিক, লৌকিক করেছেন শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধ করেছি, বিএনপির অনুসারী হয়েছি, তারেক রহমানের লন্ডন থেকে রাজনীতিকে ঘৃনা করতে শিখেছি। আমার বাড়ী ফরিদপুর, শেখ হাসিনাকে একটা স্যালুট না দিয়ে পদ্মাসেতুতে উঠবো কীভাবে। আমাদের বাপের টাকায় সেতু হয়েছে বলেইতো আমরা জাতির পিতার জন্য গর্বিত। বড় ভাই দুঃখ করে বলতেন, আমার বুজি শেখ হাসিনার সেতু দিয়ে ঢাকায় যাওয়া হবে না। গত মাসে ইহকাল ত্যাগ করেছেন। ২৫ তারিক পর্যন্ত আল্লাপাক হায়াৎ দান করলে স্বপ্ন পুরণ হবে। তার কথাগুলো কানে আসতেই চোখে জল আসতে শুরু করলো। আমার বড় ভাই এর কথা মনে হওয়াতে। ভাই এর ইচ্ছে ছিলো রায়ের বাজার বদ্ধভুমি কবর স্থানে তার শেষ ঠিকানা হবে। হয় নাই, কবরস্থান উদ্বোধন করার একমাস আগেই তার মৃত্যু হয়েছিলো। এই কারনেই ২৫ জুন আমার কাছে অনেক লম্বা সময় মনে হচ্ছে। বুকটা দুরুদুরু করছে। একটি করে দিন কীভাবে গত হচ্ছে, বলতে পারবো না। কীভাবে যাবো পদ্মাসেতু দেখতে, আমার ভাঙা বেজপায় ? আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপির গাড়ীতে ? প্রিয় নেত্রী আখি আপার সঙ্গে ? পরিকল্পনার অভাব নাই। বাস্তব কী হবে জানিনা। স্বপ্নের সেতু যেনো স্বপ্ন না হয় পরপারে ডাকের জন্য। মাবুদ একটি বার সেতু পার হওয়ার তাওফিক দিয়।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।