শেখ আসাদুল্লাহ্ আহমেদ (আপন), ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রোববার বিএনপির হরতালের দিন জেলা ও থানা পর্যায়ে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বিএনপির ডাকা রবিবারের হরতাল পালন না করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এসময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপিকে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। হরতাল অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে। বাড়াবাড়ি করলে আমরা জবাব দেব।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রবিবার সারাদেশে শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা ছিল, আছে, থাকবে। বিএনপি যাতে জনগণের কোনো ক্ষতি করতে না পারে এজন্য সব পাড়া-মহল্লায় সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এদের এই নৈরাজ্যের হরতাল কেউ মানবে না। এই অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে। এই ভোঁতা অস্ত্রে কাজ হবে না। আমরা আগামীকাল মহানগর, থানা, জেলা, উপজেলা সারা দেশে শান্তি সমাবেশ করবো।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নাকি পশ্চিমাদের সাহস পাচ্ছে। বিএনপিকে আমি বলতে চাই তারা (বিদেশিরা) ছেড়ে গেলে পার পাবেন না। দেখি, কাল থেকে কে আপনাদের পাশে দাঁড়ায়। দুর্বলের পাশে কেউ থাকে না। নেতারা পালায়, পিছে পিছে কর্মীরাও পালায়।
তিনি বলেন, আমি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আমরা শান্তি চাই। নির্বাচনে ও নির্বাচনের পরেও শান্তি চাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে খেলার মতো খেলতে হবে। এদেরকে শিক্ষা দিয়ে দিতে হবে। এদের স্বভাব আয়নার মতো পরিষ্কার। এদেরকে আর ক্ষমা করা যায় না। এদের বাড়াবাড়ির জবাব আমরা দেব।
এসময় খেলা হবে, খেলা হবে স্লোগান দিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, খেলা হবে৷ ফখরুল কই? বিএনপি কোথায়? কোথায় গেছে? মহাযাত্রা এখন মহা মরণ যাত্রা। বিএনপির মহাযাত্রা এখন মরণ যাত্রা।তাদের যাত্রা ব্যর্থ। পল্টনে এখন কেউ নাই, সব ছেড়ে চলে গেছে। সেমিফাইনাল সামনে। তারপরে ফাইনাল। নির্বাচনে ফাইনাল খেলা। খেলা হবে। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে খেলার মতো খেলতে হবে। এদেরকে শিক্ষা দিয়ে দিতে হবে। এদের স্বভাব আয়নার মতো পরিষ্কার। এদেরকে আর ক্ষমা করা যায় না। এদের বাড়াবাড়ির জবাব আমরা দেব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টার্নেল আমাদের নেত্রী উদ্বোধন করেছেন। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র টার্নেল নদীর তলদেশে। এই টার্নেলের শুভ উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিএনপি কত নোংরা দল। খুনি দল, সন্ত্রাসী দল, পুরনো চেহারা, আজকে জাতির সামনে তারা তুলে ধরেছে৷ এদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আজকে একজন স্বচ্ছ মানুষ, প্রধান বিচারপতি। তার বাড়িতে কারা হামলা করেছে? এদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। পুলিশের ওপর হামলা করেছে, একজন পুলিশ সদস্য মৃত্যবরণ করেছে। এদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। এদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
শেষ কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর সংঘর্ষের সময় চট্টগ্রাম ছিলেন। তিনি দুপুরে খাননি। দুশ্চিন্তা। এ বিষয়ে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেত্রী বলেছেন, দেখি ওরা কী করে।
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আব্দুর রহমান, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজি, ইকবাল সোবহান অপু, গোলাম রাব্বানী চিনু, তারানা হালিমসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের নেতারা।