লেখার জন্য ভাষার প্রয়োজন, ভাষার জন্য অভিজ্ঞতা। লোভ লালসা বিহীন, আপোষহীন জীবনের অধিকারী না হয়ে একজন লেখক হওয়া যায় না।সংগঠক হওয়ার জন্য নীতি আদর্শের ও অর্থের বাছবিচার করলে চলবে না।
আপনি বন্দুক রেখে কলম হাতে নিতে পারবেন, কলম রেখে বন্দুক হাতে নিতে পারবেন না।আপনার বিবেকের সবকটা জানালা খুলে দেয় কলমে। ভাষা আন্দোলনের সৈনিকরা সংগঠক থেকে লেখক কবি সাহিত্যিক, কলম যুদ্ধা হয়েছিলেন, জীবনের বাকী সময় রাজনৈতিক সংগঠক হতে পারেননি। রাজনীতির চুলচেড়া বিশ্লেষক হয়েছিলেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিশ্লেষক আব্দুল গাফফার চৌধুরী, এবিএম মুসা, নিলিমা ইব্রাহিম, অধ্যাপক ডক্টর সৈয়দ আনোয়ার হোসেনরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন, আদর্শ ছাড়া রাজনীতির স্থায়ীত্ব হয় না। এখন শুনছি শুধু আদর্শ দিয়ে রাজনীতি হয় না।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আবিস্কারক জিয়া,অর্থের বিনিময় ধানের শীর্ষের মার্কা কিনে নিয়েছিলেন,কিছু লেখক দিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করেছিলেন, শত চেষ্টা করেও খালেদা জিয়া মিথ্যে জন্মদিন ও এরশাদের কবিতার স্থায়ীত্ব দিতে পারেননি। সেই লেখকদের নাম উল্লেখ না’ই করলাম। রমজানের ঐ রোজার শেষে , আমার ভাইএ রক্তে রাঙানো, গ্রামের নওজোয়ান, আমার সোনার বাংলা, এখন জাতীয় সংগীত। সৃষ্টির শেষ হয় না। রং দিয়ে সং সাজলে কাক মৈয়ূর হয় না। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগঠক থেকে লেখক হওয়ার পরের ইতিহাস,আমাদের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের বাংলাদেশ।
নীতি আদর্শের জাতীয় ঐক্য ছাড়া এই বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তির প্রতিক হতে পারবে না। অর্থের রাজনীতি ক্ষনিকের।গুণ্ডা পাণ্ডা,পোস্টার আর বিলবোর্ডে। টাকা দেওয়া নেওয়ার রাজনীতি এখন লন্ডনে, কানাডার বেগম পাড়ায়, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোমে। কয়জন লেখক আছে সেইখানে ? কয়েকজন লাল-হলুদ নামধারী সাংবাদিক আছে, ইউটিউব ও ফেসবুকে লাফালাফি করে, কিছু অর্থের বিনিময়ে। বেগম পাড়ায় সেকেন্ড হোমে তাদের ঠিকানা নাই। অর্থ আর সম্মান একসাথে হবে না, মেধা বিক্রির জন্য নয়, জাতির কল্যাণে উৎসর্গ করতে হয়।
অনেকেই বিনাচিকিৎসা জীবন দিয়ে অমর হয়েছে। অমর হয়ে থাকবেন লালন, শাহ আব্দুল করিম, কাজী নজরুল ইসলাম, রবিন্দ্র নাথ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান।কোনো অর্থে, রাজনৈতিক বিচারে তাদের অমরত্ব ক্ষুন্ন করা যাবে না।অর্থের জন্য খন্দকার মোস্তাক, মির্জাফর, নাথুরামদের ইতিহাস সবার জানা। ক্ষমতার ভার সবাই, শেখ হাসিনার মতো সইতে পারে না।
তারেক হইতে চায়, আসমান কিনতে চায়, এমপি মন্ত্রী কাউন্সিলর,চেয়ারম্যান,আমলা অনেকেই জেলখানায়। মাদক কারবারী, ক্যাসিনো ব্যবসায়ীরা ভালো হয়েছে ? প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক আলেমরা রিসোর্ট কাণ্ড ঘটালে হেদায়েতের বানী আসবে কোত্থেকে ? অর্জন থেকে বিষর্জন হলে কিছুই থাকে না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি জনাব রবিউল আলম।