মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংগঠনের একাংশ ২২ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে।
আহ্বায়ক হিসেবে এ পি এম সোহেল ও সদস্য সচিব হিসেবে ইসমাঈল সম্রাটের নাম রাখা হয়েছে।
আজ ১৫ অক্টোবর ২০২০ রোজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই ঘোষণা দেন। আগের ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ নামেই তারা নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে সরে গিয়ে মানুষের আবেগ ও বিশ্বাস নিয়ে নোংরা রাজনীতি, আর্থিক অস্বচ্ছতা, স্বেচ্ছাচারিতা, অগণতান্ত্রিকভাবে সংগঠন পরিচালনা, ত্যাগী ও দুঃসময়ের সহযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অবমূল্যায়ন করা এবং সম্প্রতি ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলাকে কেন্দ্র করে নোংরা রাজনীতিকিকরণের অপচেষ্টার প্রতিবাদ ও সাংগঠনিক সংস্কারের উদ্দেশে তারা সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, নীতি-নৈতিকতার আচরণ, তৃণমূলকে অবমূল্যায়ন, ত্যাগীদের ও পুরাতন নেতাদের বহিষ্কার, নারী কেলেঙ্কারি, ঢাবি সিন্ডিকেটের আধিপত্য, রাজনৈতিক দল গঠনের প্রতিবাদ করেন। এছাড়া, সংগঠনের নাম সংক্ষিপ্তের বিরোধিতা ও ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য তুলে ধরেন।
সংগঠন যে উদ্দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা থেকে দূরে চলে যাওয়ার জন্য এই সংগঠন করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে এ বছরের ৪ মে এ পি ম সোহেলকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।