নিত্যপণ্যে বাজার নিয়ন্ত্রনের ট্রাকসেল মানুষকে আরো সংকটে ফেলছে। প্রকৃত গরিব অসহায় মানুষরা হচ্ছে বঞ্চিত। লাইনে সময় নষ্ট, কর্ম নষ্ট দিনের। যারা পায়, তারা খুশী হলেও অনেকের একুল ওকুল দুই হারাতে হয় এবং সরকারের বিতরন খরচ অনেক বেশী হয়। চেয়ারম্যান মেম্বার ও কাউন্সিলরদের অজান্তে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা মাধ্যমে গরিব দুঃখী দের চিহ্নিত করে প্রতি সপ্তাহে রেশনিং পদ্ধতিতে টিসিবির স্থানীয় ডিলারের মাধ্যমে নিত্যপণ্য সরবরাহ করা যায়। লোক দেখানো জাকাতের মতো নিত্যপণ্য সরবরাহ করে মানুষ বাঁচানো নিত্য আর দেখতে চাইনা। বিশ্ব নিত্যপণ্যের মুল্য লাগামহীন। সরকারের আমলা কামলা ও পুঁজিপতিদের আয়ও লাগামহীন। যারা অভাব অনটনে লাগামহীন হয়ে আছেন ? তাদেরকে লাগাম মুক্ত করতে হবে। সচিবালয়ের গেটে, মতিঝিলের ফুটপাতে টিসিবির ট্রাকসেলের জন্য অনেকই অফিস ফাঁকি দেওয়ায় অবস্থ হয়ে পরছে এতে সরকারের দুই দিকেই ক্ষতি হচ্ছে। ভোক্তা অধিকারের কাজটা কি ? আজও বুঝতে পারিনি। জনগণের উপকারের চাইতে ক্ষতির বিষয় আবিস্কারক মনে হয়েছে আমার। মাংসের মুল্য তালিকার একটি সভায় উপস্থিত থেকে পর্যালোচনা করতে হয়েছে। আমাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, মাংসের দাম কত, তারা যান্তে চায় না। মুল্য তালিকার সাইনবোর্ড দেখতে চায়। জিগ্যেস করেছিলাম এতে আপনার আমার ও সরকারের লাভ কি ? উত্তরে বলেছিলো তা বলতে পারবো, আমাদের দায়ীত্ব পালনের নজির থাকতে হবে। নজিরের জন্য লোক দেখানো ট্রাকসেল হতে পারে টিসিবি। জাতিকে লাইনে দার করিয়ে সর্বনাশ করবেন না। স্থায়ী সমাধানের পথ আবিস্কার করুন। আমরা স্বাধীন দেশের, স্বাধীনতা ভোগ করতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়ার নিত্যপণ্য প্রয়োজনীয় দের কাছে আপনার পোচিয়ে দিবেন, সময় ও কর্মকে নষ্ট করবেন না।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।