“না হুনছি কথার রাজনীতি চলছে, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আরো কী শুনার বাকী আছে ?
Reporter Name
Update Time :
Tuesday, January 12, 2021
199 Time View
জনাব রবিউল আলমঃ রাজনীতির আবিস্কারদের ভাবনা বিষয় ছিলো রাজা বাদশা ও অর্থশালীদের কে মানব সেবায় আকৃষ্ট করা। নিজের সুখ সাছন্দ ত্যাগ করে রাষ্ট্র ও সর্ব সাধারনের সেবায় আত্ন উৎসর্গ করা। এখন শুনতে হচ্ছে হরতালে গাড়ী পোড়ানো, বোমা মারা, জেলখানা থাকা জন্য ত্যাগের মুল্যায়ন চাইতে হচ্ছে রাজনীতির জন্য। সরকারের আমলা, এমপি, মন্ত্রী, মেয়র কাউন্সিলর সবাইকে দুর্নীতির অভিযোগ শুনতে হয় এবং কোনো না কোনো ভাবে যুক্ত ও হয়। দেশের জন্য, জাতির জন্য দল ও নেতা কর্মীর জন্য সরকারের সুবিদা নিতে হয়। নিজের জন্য সুবিদা গুলো অনেকে ত্যাগ করে সততার পুরুস্কার গ্রহন করতে পারেন। তবে তার সংখ্যা বাংলাদেশ বেশী নয়। জাতির জনক ও মেয়র হানিফের মত মানুষকে ও মৃত্যু পরে দুর্নীতির জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিলো। সাঈদ খোকনকে বাড়ী বিক্রী করে নির্বাচন করতে হয়েছে। জাতির জনকের সম্পর্তি বলতে ৩২ নম্ভর বাড়ী ছাড়া আর কীইবা আবিস্কার করতে পেরেছিলেন ? তার পরেও শুনতে হয়েছে না হুনছি কথা। সাঈদ খোকন তাপশের সম্মানের বাজার মুল্য জানতে চেয়েছেন, তাপশ চুনোপুঁটির দুর্নীতিবাজ বলেছেন। ১২ তারিকে বক্তব্যে মামলার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন। অতি উৎসাহিদের মামলা পত্যাহারের কথা বলেছেন। আমি আশাবাদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। আব্দুল কাদের মির্জার বক্তব্যে জন্য কিছুটা রাজনৈতিক আলোচনার প্রয়োজন। এরশাদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা আপনাদের অনেকেই মনে আছে।ধানমন্ডি ১৫ নম্বর থেকে বাঘ মার্কায় সিদ্দিকুর রহমানের কথাও মনে থাকার কথা। বিএনপির রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস ১৫ নম্বর ভাড়া থাকতেন। সিদ্দিক সাহেব তার কাছে পরামর্শের জন্য যান। কীভাবে বিহ্মাত হওয়া যায়। বিশ্বাস তাকে না হুনছি কথা আবিস্কার করতে পরামর্শ দিলেন এবং মিডিয়ায় বলতে পারলেই প্রচার পাবেন। তিনি জানতে চাইলেন কেমন না হুনা কথা। ধরুন মানুষকে কুকুরে কামরদেয়। কুকুরকে কী মানুষে কামরদেয় ? এরকম কিছু একটা আবিস্কার করুন। পরেরদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সিদ্দিক সাহেব ঘোষণা করলেন একটি বেশী সন্তান হলে বাঘ দিয়ে খাইয়ে ফেলবেন তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে, জর্ম্মনিয়ন্ত্রনে ইতিহার গড়তে চাই। সিদ্দিক সাহেব নিজের চার ছেলে তিন মেয়েকে কী করবেন? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে উত্তর এরিয়ে পলায়ন করেন, মিডিয়ায় তুলপার।আব্দুল কাদের মির্জা কী সেই পথে ? শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেড়েছে, তার জনপ্রিয়তাকে নোয়াখালীর সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করে জনগনকে লুটতরাজ করছে। এই ব্যার্থতার জন্য নোয়াখালীর নেতৃত্ব ও নিজের অযোগ্যতাকে দায়ী না করে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি কেনো কাঠগড়ায় দার করালেন, আমার বোধগম্য নয়। তিনি দলিয় পদ থেকে পত্যাগ করলেন না, নৌকা মার্কার নির্বাচন ছাড়লেন না। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা তিনি কোন কাজে লাগাবেন বলেন নাই। বিগত ১২ বছরে একজন সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনেছিলেন কীনা জানা নাই। তারপরেও বসুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান হয়ে কী করবেন ? না হুনছি কথার রাজনীতি চলছে বিহ্মাত হওয়ার জন্য,এই পথেই থাকবেন? নাকি নতুন কিছু আবিস্কার করে আব্দুল কাদের মির্জা এবার পৌরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পরে নোয়াখালীকে সন্ত্রাস মুক্ত করার জন্য হুনছি কথার রাজনীতি উপহার দিবেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, নোয়াখালী বাসীকে ?
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।