জনাব রবিউল আলমঃ
বিএনপির রাজনৈতিক অদক্ষতাকে প্রমান করলেন তৈমূর আলম খন্দকার। জনগণের ও গনতন্ত্রের পাশে না দ্বারিয়ে দাবী আদায় হয় না। গনতন্ত্রের কথা বলা যায় না। জনগণকে ভোটের প্রয়োজনীয়তা বুঝাতে না পারলে, জনগণ ভোট দিতে আসে না। বিগত অনেক নির্বাচনেই এমনটা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব ৩৮/৪২% ভোটার উপস্থিতি করতে ব্যার্থ হয়েছে। কুমিল্লা, নোয়াখালী, নারায়নগঞ্জের নির্বাচনে সেই অভিযোগকে জনগণ প্রত্যাক্ষান করেছেন। বিএনপি যখনি জনগণের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে গনতন্ত্রের ফরিয়াদ নিয়ে হাজির হয়েছেন, কিছুটা হলেও সহানুভূতি পেয়েছেন। গাজীপুর সহ চারটি সিটি করপোরেশনের জয় তার প্রমান বহন করে। নারায়নগঞ্জের নির্বাচনেও একটা কিছু হতে পারতো। সেই সুযোগ তারা গ্রহন করলেন না, উপরন্তু গনতন্ত্রের প্রতিক তৈমুরকে দলীয় পদ পদবী থেকে অভ্যাহতি দিয়ে বিএনপির ও গনতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিলেন।
বিএনপি জনগণের কাছে যাইতে ভয় পায় তাদের অপকর্মের জন্য, জনগণ ক্ষমা করতে পারে, এ বিশ্বাস তাদের নাই বলেই কি। তৈমূর সেই বিশ্বাসকে জাগিয়ে তুলেছেন, এতো প্রতিকুলতাকে উপেক্ষা করে জনগণ লক্ষাধিক ভোটের কাছাকাছি নিয়েছেন। আইভীর বিকল্প নাই, শামিম ওসমান ছাড়া নারায়নগজ্ঞের নির্বাচনের সুন্দয্য নাই, গনতন্ত্রের ঘাটি, নারায়নগঞ্জের মাটি, নৌকার ঘাটি নারায়ণগঞ্জের মাটি। অনেক শ্লোগান শুনেছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার এবং তার গ্রহনযোগ্যতা ছাড়া, কার কত জনপ্রিয়তা ও শক্তি দেখার বাকী নাই। তৈমূর না থাকলে প্রমান করার ক্ষমতাও ছিলোনা ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে। বিএনপি কি কিছু শিখলেন ? আওয়ামীলীগ কি কিছু বুঝলেন ? তৈমুর আপনাদেকে বুঝাতে না পারলে, আর বুঝানো যাবে না। বন্দুকের নলে আর ক্ষমতায় যাইতে পারবেন না। ক্ষমতায় যাইতে হলে জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে। অতিতের ভুলক্রুটি থেকে ক্ষমা আদায় করতে হবে। জনগণকে ক্ষমা করার সুযোগ দিতে হবে, নির্বাচনই ক্ষমা করার একমাত্র মাধ্যম। তৈমূরকে একলক্ষ মানুষ ক্ষমাও করেছে। এই ক্ষমা বিএনপির হতে পারতো। হারতে না চাইলে জিৎবেন কীভাবে ? গনতন্ত্র হত্যা করে, সরকারকে অপবাদ দিয়ে, বিদেশী প্রভুদের সহায়তার ক্ষমতার দিন শেষ। এই দেশের জনগণের মন জয় না করে ক্ষমতার বিকল্প রাস্তা বন্দ। লণ্ডন বসে আঙুল ঘুরিয়ে গনতন্ত্রের দাবী হাস্যকর। ভোট আদায় অনেক দুরের পথ। স্যালুট নারায়নগজ্ঞের গনতন্ত্রের বিজয়ের প্রতিক তৈমূর আলম খন্দকারকে। স্যালুট আওয়ামীলীগ ঐক্যের প্রতিক শামিম ওসমানকে। স্যালুট নারায়নগঞ্জের জনগণ ও নির্বাচন কমিশনকে, অহিংস নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্যে। আইভীর জন্য শুভকামনা।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।