খাস খবর বাংলাদেশ ডেস্কঃ নারী মমতাময়ী, নারী অবলা, নারী মায়ের জাত, নারীর গর্ভে আমাদের পৃথিবী দেখার আনন্দ।নারীর আঁচলের ছায়াতে, ছুয়াতে মনের আনন্দ কি আর লিখে বুজানো যাবে!
বিস্ময়কর এই পৃথিবী একটু ছায়ার আশায় দিন শেষে নারীর জাতির কাছেই শান্তির ঠিকানা খুঁজতে হয় আমাদেরকে। হতে পারে মা খালা, ফুপু চাচি, বড় ছোট বোন, নিজের মেয়েটির কাছে, তার বাবা ডাক দিয়ে মধু লাগে।
প্রিয়সী জীবন সঙ্গিনীর জারী মারার ডাকেও একপ্রকার আনন্দ আছে, মনের মাঝে অনুভূতি জাগ্রত হয়, নিরব থাকলে মনে সন্দেহ হয়, না জানি ঘরে কিছু একটা হয়েছে। নারীকে নিয়ে ভাবনার জগতটাই আলাদা। একটি বয়স ছিলো, মনে কত রঙ্গিন স্বপ্ন আকতে হতো নারীকে নিয়ে। বয়সের সাথে ভাবনার পরিবর্তন হয়েছে। নারীর স্পর্শে জীবনের স্বার্থকতা খুজতে হয়েছে।
আজও নারী বান্ধব জীবন কিযে মধুর, ধর্ষণকারী ধর্ষকরা কি বুজতে পারেন? নাকি জীবনকে ভোগ করতে পেরেছেন। এক মিনিটের জীবনের জন্য পুরো জীবনটাই জাতীয় কলংক, অন্ধকার জগতে বিলিয়ে দিলেন। একবারও আপনাদের সংসারের মা বাবা, ভাই বোনের কথা মনে হয় নাই? যারা ইতিমধ্যে সমাজের হিতাকাঙ্ক্ষীর রূপ ধারন করেছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য পুস্তলিকা দাহ করছেন, সেই আগুনেই শাহাবাগে বসে নেশার জগতে বিভোর।
আমি সেই নারীদেরকে কি নামে ডাকবো? নারী ছলনাময়ী, নারী ব্যাবিচারী, নারীর জন্য লংকাকাণ্ডে কত না দেশ, কত না জাতি আগুনে পুরেছে। এই পৃথিবী ধ্বংস হবে নারীর জন্য, সেই আলামত কি দেখতে হচ্ছে শাহাবাগে? শহিদ জননী জাহানারা ইমামের জন্য শাহাবাগ ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রতিক হয়ে উঠে ছিলো, নারী মুক্তি আন্দোলনের, কবি, শিল্পী সাহিত্যিক সংস্কৃতি কর্মিদের মিলন মেলা শাহাবাগকে মাদকাসক্ত আড্ডায় পরিনত করবেন না। এই ছলনা, ললনা দিয়ে ধর্ষণ, ধর্ষক মুক্ত সমাজ গড়তে পারবেন না। নিজেকে মাদক বিস্তারের রানীর আসনে বসাতে পারবেন।
আপনার ও আপনাদের ঠিকানা হবে শেখ হাসিনা নির্মিত মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে। তার পদত্যাগের মুল্য দিতে হবে বাঙালী জাতিকে। নিজেদের জীবন নিয়ে আপনারা যা করতে চান করেন, মুল্য পরিষোদ করবে আপনাদের ব্যার্থ পিতা মাতা। জাতিকে নিয়ে খেলার অধিকার, মাদকাসক্ত করার অধিকার, নারী মুক্তি নামে ধর্ষিত হওয়ার অধিকার আপনাদের নাই। বেপোরোয়ার জীবন যাপনের জন্য ধর্ষিত হয়ে বিচার চাইবেন শাহাবাগে।
সোনাইমুড়ী নির্যাতিত নারীর জন্য একটু সহানুভূতি হাত কি প্রসারিত হয়েছে? আপনাদের একদিনের মাদকের টাকায়, আন্দোলনের পোস্টার ব্যানার প্লেকার্ডের টাকায় নির্যাতিত নারীদের পুর্ণবাসনের সহায়ক হতে পারতো। মানবিক, মানবতা জাগাতে চাইলে নিজেকে জাগিয়ে তুলুন, সংশোধিত হউন।
শেখ হাসিনাকে লহ্ম রাখুন নির্যাতিতার পাশে একমাত্র শেখ হাসিনাকে পাওয়া যায়, নিজ দলের নেতাকে সংশোধনাগারে পাঠায়। আপনাদেরকে পাওয়া যায় শাহাবাগে, সংশোধনাগারে নেওয়ার কেহ নাই।সংশোধন হবেন, সমাজকে কি সংশোধন করবেন? জীবনের আর বাকী কিছু আছেতো?।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।