মোঃ ইব্রাহিম হোসেনঃ বাংলাদেশের পুলিশ পারেনা, এমন কি আছে ? বাঙালী নয় মাসে দেশ স্বাধীন করতে পারে, ভাষার জন্য জীবন দিতে পারে, অধিকার আদায়ে পরাশক্তির রক্ত চোখকেও উপেক্ষা করতে পিছুপা নয়। একবার জেগে উঠলে, উঠাতে পারলেই হয়। ধর্ষণ, নির্যাতন, মাদক বাঙালির কাছে বড় বিষয় নয়।
আমাদের পুলিশতো আর বিনদেশি নয়, বাঙালি জাতির অংশ। এই পুলিশ বিশ্ব শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সুনামের সাথে দেশকে কত গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। আমাদের পুলিশ ইচ্ছে করলে দেশের মা-বোনের সম্মান, ভাই বোনকে নেশার জগত থেকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন না, এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। চাই ইচ্ছে শক্তি। চাই আন্তরিকতা, চাই সততা।
সারা বাংলাদেশ ব্যাপি পুলিশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরোধী সমাবেশের অংশ ছিলাম আমিও। সমাবেশ থেকে কিছু প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল। এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিহ্মক ও মসজিদ মাদ্রাসার ধর্মীয় শিহ্মকদের সমন্বয়ে আইন শৃঙ্খলা রহ্মায় একটি কমিটি করে এগুতে হবে।
মাদককে চিহ্নিত করে সভা সমাবেশ, সামাজিক র্যালী, কবিতা, দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে গনজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। মাদক কারবারী, ধর্ষক ও নারী নির্যতন কারীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে হবে। পুলিশ সমন্বয়ে ভুমিকা পালন করলে, আমরা সর্বাক্ত সহায়তা করবো।
রায়ের বাজার সহ ঢাকা ১৩ নির্বাচনী এলাকা হবে বাংলাদেশের মডেল। আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান এমপি মত জনহতিকর নেতা থাকতে আমরা মানব সেবায় কাজে লাগাতে পারবোনা শুধু উদ্যোগের অভাবে, সমন্বয়ের অভাবে। একঘন্টার সমাবেশ ৫ মিনিটের র্যালীর পরে পুলিশ আর কোনো প্রয়োজনিয় আলোচনার ব্যবস্থা করে নাই। আমার ব্যাক্তিগত মত দায়সারার জন্যই কি এত ঢাকডোল পেটানো হয়েছে ? নাকি পুলিশের কোনো গোপন পরিকল্পনা আছে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও মাদক নির্মূলে ? পুলিশ একাই পারলে আমাদের আপত্তি কোথায়। আমরা দেশকে অপরাধ মুক্ত দেখতে চাই, পুলিশকে অপরাধ থেকে দুরে রাখতে চাই। আমাদের চাহিদা পুরণ হলে স্বেচ্ছায় শ্রমের কি প্রয়োজন। আমরা অনেক লোভী মানুষ। পুলিশকে কাজে লাগিয়ে, কিছুটা শ্রম দিয়ে আমাদের নির্বাচনী এলাকাকে মাদক ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মুক্ত করে বাংলাদেশকে উপহার দিতে চেয়েছিলাম, আঃলীগ চাইলে সমন্বয় করতে পারলে অপরাধ অপরাধীর চিহ্ন মুছে দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, দেশের মানুষের কাছে প্রশংষিত হওয়ার লোভ সংবরন করতে পারিনি বলেই পুলিশকে এতগুলো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। পুলিশ আমাদের প্রস্তাবকে কি ভাবে গ্রহন করেছে, আমার বোদগম্য নয়। আমি বিশ্বাস করি পুলিশের একার পহ্মে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্বব নয়। কারন অনেক পুলিশ ইতিমধ্যে অপরাধে জরিয়ে পরেছে। আমাদের অহংকার স্বাধীনতার প্রতিক পুলিশ, অপরাধী পুলিশের সমন্বয়হীনতা দেশকে আজ প্রশ্নবৃদ্ধ করেছে। দেশপ্রেমি রাজনীতি ও ক্যাসিনো মাদকের রাজনীতিকে সমন্বয় করতে পারে পুলিশ। অপরাধীকে দিয়ে অপরাধ নির্মূল, প্রেম দিয়ে স্থায়ীত্ব, আইনদিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। পুলিশ কেনো সমন্বয়হীনতায় ভোগছে ? অনেক কষ্টে বাংলাদেশে আইন ও জনতার সমন্বয়ের একটা সুযোগ এসেছে। পুলিশ ইচ্ছে করলে আইন শৃঙ্খলার কাজে লাগাতে পারেন। মিস করলে, লাউ আর কদু এক হয়েই থাকবেন, শত সমাবেশও কাজের কাজ কিছু হবে না।