ধর্ম কি মানুষের জন্য ? না-কি মানুষ ধর্মের জন্য ? এই প্রশ্নে সমাধান কার কাছে ?
রিপোর্টারের নাম
আপডেট সময় :
Thursday, October 21, 2021
399 Time View
জনাব রবিউল আলমঃ
উপরের ছবিটি, কান্না জরিত মানুষটি দেখে বুজা যাবে না, মানুষটা হিন্দু না মুসলমান। পুড়া বাড়ী দেখে অনুমান করা যায় হিন্দু। তবে একজন মানুষ। সৃষ্টির মালিক আল্লাহ, আমরা মুসলমানরা সবাই বিশ্বাস করি। হিন্দু খৃষ্টানরাও একজন সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করেন। মানুষ সৃষ্টি করেই ধর্ম পেরন করা হয়েছে বলে জানি। ধর্ম পেরন করে মানুষ সৃষ্টি করা হয় নাই। ধর্ম যদি মানুষের জন্য প্রেরন করা হয়ে থাকে। সকল ধর্মে শান্তির কথা বলা হয়েছে। মুসলমানকে হুকুম দেওয়া হয়েছে শান্তি বজায় রাখার জন্য। এই মুসলমান কারা যারা মানুষের জীবন ধারনে বাঁধা সৃষ্টি করে ? এই হিন্দু খৃষ্টান কারা যারা ধর্ম নিয়ে মানুষের জীবন নাশের পরিকল্পনা করে ? ভারত সহ বিশ্বকে আলোচনায় আমি আনতে চাইনা। বাঙালির, বাংলাদেশের ঐক্য আমার কাছে বড় বিষয় হওয়াতে। এটিএন নিউজ মুন্নিশাহ উপস্থাপনায় একটি অভিযোগ বার বার উঠে এসেছে। আওয়ামীলীগ সকল মসজিদ কমিটি চালায়, ক্ষমতায় থাকার জন্য এই অপমান আমাদেরকে সইতে হয়। আমার নির্বাচনী এলাকায় একটি মসজিদ মাদ্রাসার কমিটিতেও আঃলীগ আছে বলে আমার জানা নাই, পরিবর্তন ও করা যায় নাই। রায়ের বাজার সম্প্রদায়ীক সম্প্রতি নিয়ে সুদীর্ঘ ৫০ বছর আমরা নিরাপদেই ছিলাম,মসজিদ আর মন্দির একি সাথে অবস্থান । হেফাজতের কোসাদক্ষ মাওলানা ইলিয়াস ইতিমধ্যে জেল থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পরে, এই প্রথম দুর্গাপূজার ঠাকুর বিসর্জন দেওয়ার সময় হামলা হয়েছে। পুলপার, বুদ্ধীজীবী, শাহআলী গলির মসজিদের ইমাম সাহেবরা গালামহীন। কিছু মসজিদ কমিটির দায়ীত্ব এখন কাউন্সিলর নিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, না-কি করছে না। এই প্রশ্নে অনেক বার লেখা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে, নেতারা দায়ীত্ব পালন করলে বাংলাদেশ একটি মন্দির মসজিদে হামলা করা সম্ভব নয়। হামলাগুলো ও স্থান চিহ্নিত করে প্রশাসন ও দায়ীত্বে সরকারী দলের নেতাদেরকে জবাবদিহিতায় আনতে হবে। মসজিদ-মন্দির থেকে উগ্রবাদীদের বিতারিত করতে হবে। উগ্র বক্তার সাথে আঃলীগারদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যেই মসজিদের ইমাম উগ্র বক্তা : কমিটিতে আঃলীগ, তাঁদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। স্থানীয় চেয়ারম্যান কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনি ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারলে বাংলাদেশ হবে বিশ্ব সম্প্রিতির উদাহরণ। কেনো আঃলীগ দায়ীত্বহীন নেতাদের বসে বসে বড় বড় বক্তব্য শুনবে ? মনে রাখতে হবে মানুষের জন্য ধর্ম পেরন করা হয়েছে, মানুষকে বাচাতে না পারলে ধর্মকে রক্ষা করবে কে ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছে বলেই কি আঃলীগারা নিরব ? থাকতে পারবেন না।রাজনীতি করবেন ঘরে ঘুমাবেন। দায়ীত্ব পালন করবেন, না হয় জেলখানার আশায় থাকবেন,বিকল্প নাই।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।