September 18, 2024, 1:58 am
শিরোনামঃ
সারা দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে প্রজ্ঞাপন বাউফলে সিরাতুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আলোচনা সভা সংসদীয় সরকার ছাড়া সংস্কার স্থায়ী হয় না: তারেক রহমান বাউফলে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর তুলতে বাঁধা দেওয়ায় শতাধিক ফলদ বৃক্ষ কর্তনের অভিযোগ বাউফলে শিশুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ শাহরিয়ার-মোজাম্মেল-শ্যামল দত্ত ৭ দিনের রিমান্ডে হঠাৎ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন সাবেক এসবি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ঢাকার আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় মাস্কট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সামনে  শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ২৫ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা একটি ব্যতিক্রমী আন্দোলন! ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাজধানী গুলশানে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ উন্নয়ন প্রচারে আওয়ামী লীগ ঘর গোছাতে ব্যস্ত বিএনপি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : Saturday, July 8, 2023
  • 85 Time View

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজবাড়ী-২ (বালিয়াকান্দি-পাংশা-কালুখালী) আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা মাঠে নেমে পড়েছেন। তারা যে যার মতো করে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা- প্রচার করছেন। পাশাপাশি নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরছেন নানা কর্মকা-ের মাধ্যমে। এদিকে বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়া এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে ঘর গোছাচ্ছে বিএনপি। পুরনো কমিটি ঢেলে সাজানো ও দলের মধ্যে বিরোধ মেটাতে ব্যস্ত নেতারা। জাতীয় পার্টির যেসব নেতা নির্বাচনে অংশ নিতেন, তারা মৃত্যুবরণ করায় প্রার্থীসংকটে ভুগছে দলটি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী-২ আসন থেকে ১৯৭০ সালে মসলেম উদ্দিন মৃধা (আওয়ামী লীগ), ১৯৭৩ সালে খন্দকার নুরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), ১৯৭৯ সালে আব্দুল মতিন মিয়া (জাসদ), ১৯৮৬ সালে নাজির হোসেন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), ১৯৮৮ সালে মসলেম উদ্দিন (সম্মিলিত বিরোধী দল), ১৯৯১ সালে একেএম আসজাদ (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী), ১৯৯৬ সালে (১৫ ফেব্রুয়ারি) খোন্দকার ছদরুল আমিন হাবিব (বিএনপি), ১৯৯৬ সালে (১২ জুন) জিল্লুল হাকিম (আওয়ামী লীগ), ২০০১ সালে নাসিরুল হক সাবু (বিএনপি) নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ২০০৮, ২০১৪ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের জিল্লুল হাকিম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

জিল্লুল হাকিম পাঁচবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং চারবার এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে তিনি ৮৮ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ২০০১ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৩৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৬১ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। ২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন। পরাজিত প্রার্থীর সঙ্গে তার ভোটের ব্যবধান ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার। জিল্লুল হাকিম নৌকা প্রতীকে পান ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাসিরুল হক সাবু ধানের শীষে পান ৫ হাজার ৪৭৫ ভোট।

বিএনপি থেকে নাসিরুল হক সাবু তিনবার অংশগ্রহণ করে ১ বার বিজয়ী হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের একেএম আসজাদ দাঁড়িপাল্লায় ৭০ হাজার ৯০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ওই নির্বাচনে ন্যাপ-মোজাফরের প্রার্থী নাছির উদ্দিন অংশগ্রহণ করে ৬৮ হাজার ২২৩ ভোট পান। তবে বিজয়ী হতে পারেননি।

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতি সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী হক।

বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দলটির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক জেলা সভাপতি নাসিরুল হক সাবু, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ হারুন মনোনয়ন চাইবেন। আর জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য মাঠে আছেন পার্টির পাংশা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. রাকিবুল ইসলাম শামীম।

বিএনপি নেতা হারুন-অর রশিদ হারুন বলেন, বিএনপি একটি বড় দল। বর্তমানে কোন্দল নেই, তবে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে। দলকে সুসংগঠিত করতে দীর্ঘদিন ধরে মাঠে কাজ চলছে। দলকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠন ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সকল বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে। তিনি বলেন, হামলা-মামলা ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মাঠে আছি, মাঠে থাকব। দল নির্বাচনে অংশ নিলে মনোনয়ন চাইব।

বর্তমান সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে অবস্থান, নতুন ভোটারদের সমর্থন, ব্যক্তিগত ইমেজ ও তৃণমূল নেতাকর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত রাজনৈতিক পরামর্শ ও বেকার যুবকদের বিনা টাকায় চাকরির সুপারিশ করায় নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের সমর্থক বেড়েছে। তাছাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকা-কে প্রশয় না দেওয়ায় মানুষ আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন। এ কারণে জনগণ আবারও আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। তিনি বিএনপির উদ্দেশে বলেন, দূতাবাসে ঘুরে লাভ হবে না। বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে। শেখ হাসিনার উন্নয়নে বিএনপিকে জনগণ প্রত্যাখান করেছে বলেও মনে করেন তিনি।

রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সোহেল রানা টিপু বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকা- মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি। মানুষ কেন আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার চালিয়ে আসছি। সব নেতাকর্মীকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে মাঠে আছি। ইতোমধ্যে নেত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেছি। মনোনয়ন পেলে বিজয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।

বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতি সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, তৃণমূল থেকে রাজনীতি করছি। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী এলাকার তৃণমূল অবহেলিত মানুষের আপদে-বিপদে পাশে আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মকা- প্রচারের পাশাপাশি দলকে সংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচার চালিয়ে আসছি। করোনাকালেও অসহায় ও দুস্থদের পাশে ছিলাম। নেত্রীর নির্দেশনায় এখনো অসহায়দের পাশে থেকে কাজ করছি। দল মনোনয়ন দিলে বিজয় নিশ্চিত হবে বলে আশা করছি।

সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরুল হক সাবু বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের দলীয় সিদ্ধান্ত হলে আশাকরি দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজবাড়ী-২ (বালিয়াকান্দি-পাংশা-কালুখালী) আসনের আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, এবারের নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ আসনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে নুরে আলম সিদ্দিকী হক এর বিকল্প নেই। কারণ বিগত বছরগুলোতে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারদের খোঁজ খবর নিতে ছুটেছেন গ্রাম থেকে গ্রামে। সব মিলিয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব ও কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করেছেন তিনি। এমন দ্বিতীয় জন রাজবাড়ী-২ আসনে নেই বলেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মুখে শুনা যাচ্ছে।

শেয়ার করুন
More News Of This Category
ডিজাইনঃ নাগরিক আইটি ডটকম
themesba-lates1749691102