চাল-ডাল-তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতি, ভোজ্যতেল-বিদ্যুৎ-পানির মুল্যবৃদ্ধি, চারদিকে লুটপাটের কালো থাবা’ সব কিছু মিলিয়ে দেশ এক গভীর সংকটে পতিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দুবৃর্ত্তায়নের কারণে লুটেরা গোষ্টির জন্ম হচ্ছে একের পর এক। ফলে দেশের রাজনীতি আজ দুবৃত্ত ও লুটেরাদের নিয়ন্ত্রনে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের লক্ষে প্রয়োজন মশিউর রহমান যাদু মিয়াদের মত মেধাবী রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
শনিবার (১২ মার্চ) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ন্যাপ’র সাবেক চেয়ারম্যান জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মশিউর রহমান যাদু মিয়াকে বাদ দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাস রচনা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি মেধাবী ও দুরদর্শী রাজনীতিক হিসেবেই পরিচিত। আজীবন তিনি সংগ্রাম করেছেন গণমানুষের মুক্তির জন্য। প্রতিবাদে প্রতিরোধে ও সংগ্রামে তিনি কখনো পিছপা হননি।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, দেশে সিন্ডিকেট তৈরি করে কিছু মানুষ ব্যবসার নামে জনগনের পকেট কাটছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রীরা উল্টা পাল্টা কথা বলেন। তখন প্রশ্ন জাগে তাহলে কি সমগ্র রাষ্ট্রটাই সিন্ডিকেটের হাতে বন্দি ? ‘বাংলাদেশ কি তাহলে সিন্ডিকেটের’ দেশ হয়ে গেছে ?
তিনি আরো বলেন, নীতিহিন রাজনীতির কারেণে সমাজের সকল ক্ষেত্রেই অধ:পতন ঘটেছে। করোনা ভাইরাস আমাদের আক্রান্ত করেছে, যখন বৈষম্য আমাদের আক্রান্ত করে, তখন লুটেরা গোষ্টি অর্থকামানোতে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে।
বাংলাদেশ ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. কামাল ভুইয়া’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, দলের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, মহানগর প্রচার সম্পাদক বাদল দাস, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, মহিলা সম্পাদক আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।