নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বিএনপির কোনো অবদান নেই বলে মন্তব্য করেছন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, বিএনপি এ দেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলেই, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা আছে বলেই এ সরকার দেশে এতো উন্নয়ন করতে পারছে। গত ২৯ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা দেশের মানুষের জন্য কী করেছে? কিছুই করেনি। যা করেছে আওয়ামী লীগই করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার দাবি নিয়ে অনশন করেছে। খালেদা জিয়া নাকি অনেক অসুস্থ। তার হ্যাঁ বয়স হয়েছে, আবার অসুস্থ হতে পারে। কিন্তু এতো অসুস্থ হলে তার ছেলে দেখতে আসে না কেন? তার কেমন ছেলে। খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার অনশন করেছে। তারা কয়টা থেকে অনশন শুরু করেছে? বাসা থেকে কী দিয়ে নাস্তা করে এসেছে, কী দিয়ে দুপুরে গিয়ে খাবে? কয় ঘণ্টার অনশন? কারো চিকিৎসার দাবি নিয়ে নাটক করার-তো একটা সীমা থাকে।
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া পাকিস্তানের ধারাবাহিকতা এ স্বাধীন দেশকে নিয়ে চলতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ভোট চুরি করে পার্লামেন্টে বসিয়েছিল বিএনপি। রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, যারা এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে, তাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল খালেদা জিয়া। জিয়াও বসিয়েছিল, এরশাদও, খালেদা জিয়াও। কাজেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে এদের কোনো অবদান নেই। তারা সেটা করতেও চায় না। এটাই হচ্ছে সব থেকে দুর্ভাগ্যের বিষয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। দেশের উন্নতি তারা সহ্য করতে পারছে না। এ দেশের মানুষের ভাগ্য বদলে বিএনপির কোনো অবদান না থাকলেও ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করেছিল তারা। ১৯৯৬ সালে ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগে বাধ্য করতে বাধ্য করা হয়েছিল। জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার করেছি। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ দেশের মানুষের অধিকারের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছে।