মাংস, চামড়ার দাম,পশুর বর্জ্যে রক্ষার ও কোরবানীর গরু নিয়ে তালবাহানা। গরুর হাটে,খাজনার নামে কোরবানি দাতা থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় নিয়ে আর লেখতে ইচ্ছে করে না। জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা এফ এ ও একটি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। বাংলাদেশের জবাইখানা, পশুপালন নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে,খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়। শুধু ঢাকায় দুইটি আধুনিক জবাইখানা স্থাপিত হলেও স্মার্ট বাংলাদেশ সমপযোগী স্মার্ট মাংস শ্রমিকের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না। এই বিষয় নিয়ে সিটি কর্পোরেশন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাথে আলোচনার প্রয়োজন অনুভব করছে না। কোরবানীর পশু নিয়ে অনেক ভুল তথ্য আছে, তবু দেশীয় খামারীরা কোরবানীর জন্য পশুপালনে, চাহিদা পুরণে ভুমিকা পালন করছে। প্রানি সম্পদ মন্ত্রী দেশীয় পশুপালনে উৎসাহিত করার জন্য বিদেশি পশুর আমদানি ও অবৈধ পাচার বন্দের জন্য প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে,চলতি বছর পশু কোরবানীর সাথে পশু লালন পালনকারীদের কোরবানী করতে হবে, অবৈধ পশু পাচার হয়ে আসার দৃশ্য দেখার পরে। পৃথিবীর সব দেশে ঈদ উৎসব ও বিশেষ দিনের জন্য সরকার ও ব্যবসায়ীরা মুল্য ও ট্যাক্সের ছাড় ঘোষণা করে, বাংলাদেশ একমাত্র গরুর হাটের খাজনা দ্বিগুণ করে।
দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি চামড়া নিয়ে ভাবনার কোনো লক্ষ্মণ দেখছি না। এখনো কাঁচা ও লবন যুক্ত চামড়ার মুল্য নির্ধারন হয় নাই, এই লেখা চলাকালীন। শিল্প মন্ত্রনালয় নাকি চামড়া রপ্তানীর উপযুক্ত মান নির্ধারনে অনুমতি দিতে পারছে না। চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা পুরণে শিল্প স্থাপন হয় নাই। ডলার কুকুরে খাবে, লেখে আর কী হবে। জাতিসংঘে প্রতিনিধিদের কাছে দেশের দুর্বলতার কথা বলে লজ্জিত হওয়ার মাঝে আনন্দের কিছু নাই। আমরা কী খাচ্ছি, কী খাওয়াচ্ছি, এই বিষয় কী কখনো অনুদাবন করেছি ? নিজে থেকে সচেতন হতে না পারলে, বিশ্ব আমাকে সচেতন করতে পারবে না।
ভারতীয় গরু পাচার বন্দ করার পরে মাংস আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো, মাংসের দাম কমানো যায় নাই। কারণ তদারকির অভাবে। পশুপালনে বিপ্লব ঘটেছে, ফার্ম নির্ভর, দানাদার খাদ্য নির্ভর। অতিরিক্ত ফ্যাটের জন্য কোরবানীর মাংস অনেকের জন্য বিষ। সাধারণ কৃষক কে পশুপালনে উৎসাহিত করা যায় নাই সঠিক পরিকল্পনার অভাবে। এফ এ ও আলোচনায় উঠে আসে, বাংলাদেশের কোনো জবাইখানা স্বাস্থ্য সম্মত নয়, আমি কিছুটা লজ্জিত হয়েছি। মনে মনে বলেছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাপরিকল্পনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট মাংস শ্রমিক গড়ে তুলতে হবে।
দায়ীত্বে থাকারা প্রশিক্ষনের অর্থ কীভাবে খরচ করছেন ? জবাবদিহিতায় আনতে না পারলে, শুভংকরের ফাকি। আমি শুধু শুধু লেখি, সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান কাগজ নষ্ট করেন দেশপ্রেমের দায়বদ্ধতা থেকে। যদি একদিন ভারতের মতো পশুপালনে একক মন্ত্রনালয় গঠিত হয়। মহাপরিকল্পনা একজন মানুষের মগজ থেকে বের হয়। দেশের পশুপালনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধ হয় ? চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে বিশ্ব জয় হয়। মনকে বুঝাইতে পারি না বলেই লেখতে হয়।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত সভাপতি ও খাস খবর বাংলাদেশ পত্রিকার সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলী জনাব রবিউল আলম।