জনাব রবিউল আলমঃ কোথাও আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা:মনে মনে। হারিয়ে যেতে হবে আমার ভাষার মাঝে, আমার ইতিহাস ঐতিহ্যের মাঝে। আমার স্বাধীনতা স্বার্বভোমত্বে মাঝে। ২১ আমার হাতের কাছে, বিশ্বব্যাপি মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে মাতৃভাষার স্বীকৃতি নিয়ে। বাঙালীর গর্ব করার অনেক বিষয় আছে, আমরা তার সঠিক প্রতিনিধিত্ব করতে পারছিনা, বাঙালীর জীবন একগিয়ারে চলে, কখন যে কীহয়ে যায় :বুজাটাই দায় হয়ে পরে। পৃথিবীর সব চেয়ে শান্ত, নিরহ বাঙালী। খোঁচালে, আত্নমর্যাদায় আঘাত করলে হিংস্র হতে একমুহুর্ত সময় লাগে না। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে ভাষা ও বাংলার স্বাধীনতা অর্জন ছিলো অপ্রতিরোদ্ধ। জাতির জনকের উক্তি বাঙালীকে দাবায়ে রাখতে পারবানা,পারেনি হায়ানারা। ৫২ ভাষা আন্দোলনে ৬০ দশকে ২১ শের মর্যাদা, পাদুকা বিহীন পায়ে শহিদের প্রতি শ্রদ্ধার অন্যন্য নজির সৃষ্টি করেছিল জাতি। মুখে মলিনতা, হৃদয়ে ভাবগাম্ভীর্যের শহিদ মিনার হয়ে উঠতো করুন। শহর থেকে গ্রাম, বাংলার আকাশে বাতাশে কবিতা গানের সুরে সংস্কৃতি অঙ্গনের দিনব্যাপী কর্মসুচি মানুষের হৃদয় ছুয়ে দিতো। ২০ ফ্রেরুয়ারী রাত থেকেই পাড়ায় মহল্লায় শহিদ ব্যাধি নির্মাণ হতো, কাক ডাকা ভোরে পাদুকা বিহীন পায়ে ভাষা শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিয়ে হাজির হতাম, সুশৃঙ্খল ভাবে। স্কুল কলেজের ছেলে মেয়ে ও নারীদের প্রতি সম্মান রেখেই আমাদের প্রভাতফেরী এগিয়ে চলতো। অনেক শ্রদ্ধনীয়দের কে আগে যাওয়ার সুযোগ করে দিলেও গ্রহন করেন নাই, একদণ্ড বেশী করে শহিদ মিনারে দ্বারিয়ে থাকার জন্যে। শুধু ফুল নয়, মন দিয়েও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখেছি জাতিকে। ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাহীন কোনো পাকিস্তান প্রেমির স্বাদ্ধ ছিলোনা জুতা পায়ে রাস্তায় বের হতে। অনেকের জুতা গলায় নিয়ে বাড়ী ফিরতে হয়েছে। এখনো শহিদ মিনারে যাই, শত চেষ্টা করেও আগের মতো ভাবগাম্ভীর্য সৃষ্টি করতে পারি না মনে। আগের চেয়ে লোকসমাগম বেশী হয়, লাইন দীর্ঘ হতে হতে আজিমপুরেই অনেক সময় পার হয়ে যায়। হ্মমতাশালী, রাজনৈতিক ও ব্যাস্ত নেতাদের অতিব্যাস্ততার জন্য শৃঙ্খলা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পরে। কিছু চামচা থাকেন নেতাকে আগে নেওয়ার জন্য। শিশু কিশোর, নারী ও বিদেশী মেহমান দের কে ধাক্কা দিয়ে আগে যেতে হবে। মনকে অনেক প্রশ্ন করি এরা কি শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী দিতে এসেছেন ? না-কি টেলিভিশনে চেহারা দেখাতে। ছোট ছোট স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা ঘন্টার পর ঘন্টা দ্বারিয়ে ২১ শের উপর বিরক্ত হয়ে উঠেন। নারী শিশু কিশোরদের অসহায়ত্ব দেখে, চুপ করে, মাথা নিচু করে ভাষা শহিদদের প্রতি ভাবগাম্ভীর্য দরে রাখতে পারি না। বিদেশী অতিথিদের শ্রদ্ধাঞ্জলী যথাযোগ্য মর্যাদায় গ্রহন করতেও পারেন না ২১ শের কমিটি। আমরা রাজনীতি করি, ইতিহাস ঐতিহ্যের কথা বলি, বিশ্ব আমাদের ভাষা আন্দোলন ২১ কে মাতৃভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে, আন্তর্জাতিক ভাবে পালন হচ্ছে : আমরা গর্বিত। গর্ব কী শুধু নিজের জন্য: জুতো পরে শহিদ মিনারে উঠার জন্য ? নাকি ভাষার জন্য জীবনদান কারী শহিদদের জন্য ? এই প্রশ্ন এগিয়ে নেওয়ার সময় হয়েছে। ২১ শে ফ্রেরুয়ারী আসলেই বিচার বিভাগ সহ সরকারের প্রশাসন বাংলা নিয়ে গবেষণায় মেতে উঠেন, সাইনবোর্ড পরিবর্তন নিয়ে অনেক বুদ্ধিজীবী দুই কলম লেখেন,কার্যহ্মেত্রে গ্রহন ও বাস্তবায়ন দেখন না। মার্চের অগ্নিঝড়া দিনে ২১ শের বিনয়ী কথা মনে রাখেন না, গর্জে উঠে বাঙালীর মন। আমার ভাইয়ে রক্তে রাঙানো সুর ভুলে গিয়ে জয় বাংলার শ্লোগানে মুখোরিত হয়ে উঠেন। পাকিস্তান বিরোধী লড়াই সংগ্রামের কথা মনে করেই আমাদেরকে গর্জে উঠতে হয়। আগস্টের শোকের ছায়ায় বাঙালী মনকে উতলা করে নেতৃত্ব হারানোর বেদনা থেকে। দেশী, বিদেশী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালী জাতিকে একটি সঠিক পথের সন্ধান দিতে পেরেছেন বলেই আমি মনে করি। হারানো স্মৃতির পাতা থেকে জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য একসাথে আমরা রহ্মা ও ফিরিয়ে আনতে পারবোনা। তবে যখন যার পাওনা বুজে নিতে হবে জাতিকে। নিজের মনকে গড়ে তুলতে হবে। ফ্রেরুয়ারী বেদনা, আগস্টের শোকের ছায়ী, মার্চের গর্জে উঠা, দেশ জাতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার ঐক্য বাঙালীকে হতেই হবে, বিকল্প নাই, মনে রাখতে হবে। ২১ শের ভাষা দিবশে সম্মান সুশৃঙ্খলতা ছাড়া রহ্মা করতে পারবোনা। লোক দেখানো সম্মান ভাষা শহিদরা চায়ও না। সময় দিতে না পারলে শহিদ মিনারে যাবেন না ব্যাধিকে অপবিত্র করতে।
লেখকঃ বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগের সভাপতি জনাব রবিউল আলম।